কেউশেখ সাদীর পুরা গল্প আর উপসংহার দিয়ে কি পাঠককে অবমূল্যায়ন করলেন না?
দৈনিক আমাদের সময় কি অভিজাত? ‘পোশাক নয় গুণেই মানুষের পরিচয়’
নাঈমুল ইসলাম খান:
বাংলাদেশের প্রবীণতম রাজনীতিক এবং মুক্তিযুদ্ধাকালীন সরকারের জীবিত একমাত্র উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশের হাতেগোনা কয়েকজন আদর্শ স্থানীয় রাজনীতিকদের একজন হচ্ছেন ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।
তিনি নিয়মিত দৈনিক আমাদের সময় পড়েন এবং মাঝেমধ্যে ফোনে আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তার এই আগ্রহে আমি অনুপ্রাণিত বোধ করি।
বয়সে আমার প্রয়াত বাবার চেয়ে প্রবীণ হয়েও দেশ ও সমাজ নিয়ে এখনো তার তারুণ্যদীপ্ত উৎসাহ আমাকে অভিভূত করে, আমি তাকে সালাম জানাই। কয়েকদিন আগে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ আমাকে বললেন, আমদের সময় বিজ্ঞাপনের আয়ে যে বৈষম্যের শিকার এ নিয়ে তিনি দু’একজন বড় ব্যবসায়ী বিজ্ঞাপন দাতার সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের কেউ কেউ জনাব মোজাফফরকে বলেছেন, আমাদের সময়ের ঈর্ষণীয় সার্কুলেশন হওয়ার পরেও এর ‘আভিজাত্য’ নিয়ে কিছু সংশয় আছে। এরকম ইঙ্গিত মন্তব্য আমি আরো দু’একজনের কাছে শুনেছি। তাই ভাবলাম এই বিষয়টি একটু খতিয়ে দেখা যাক।
প্রথমেই দেখা যাক, অভিজাত সংবাদপত্রের বিপরীতে চটুল, রসালো সংবাদপত্রের বৈশিষ্ট্য দৈনিক আমাদের সময়ের আছে কিনা? দৈনিক আমাদের সময় কি সেক্সি অথবা ভালগার ছবি ছেপে পত্রিকা বিক্রি করে? দৈনিক আমাদের সময় কি বিশাল বিশাল হরফে নানান রঙের মোটা মোটা শিরোনামে দিয়ে পত্রিকা ছাপায়? আমাদের সময় কি কোনো লঘু চটুল বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন করে?
আমাদের সময় এসব করে না। তারপর অভিজাত্যের নির্ণায়ক হতে পারে অন্যান্য খবরের প্রকৃতি ও গঠন বৈশিষ্ট্য দিয়ে। বাংলাদেশে কি কোনো ‘অভিজাত’ সংবাদপত্র আছে? সেই সংবাদপত্রের রিপোর্টিংগুলোর সঙ্গে আমাদের সময়ের রিপোর্টিংগুলোর ভাষা ও গঠনে কি কোনো অনভিজাত পার্থক্য আছে? সাধারণভাবে এসব প্রশ্নের উত্তরই হবে ‘না’।
আমাদের সময় মূলতই নন্দিত ও পাঠক প্রিয় হচ্ছে তার বিশেষ প্রতিবেদনগুলোর জন্য, প্রতিদিনই আমাদের সময়ে তেমন থাকে ৪-৫টি, তার অনেকগুলো অন্যান্য সংবাদপত্র জানতেই পারে খবরই পায় আমাদের পরে, তাই ছাপেও আমাদের পরে।
আমাদের সময় সম্পর্কে গড়পড়তা প্রধান দুটি ইতিবাচক মন্তব্য হচ্ছে, এই পত্রিকায় আগে আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবর (আগাম খবর) পাওয়া যায় এবং আমাদের সময়ের ছোট্ট পরিসরে এত খবর ঠাসা থাকে যে অন্য পত্রিকা আর না-ও পড়লে চলে। এসবের মধ্যে ‘অনভিজাত’ বৈশিষ্ট্য কোন্টি?
আমাদের সময়ের নিউজপ্রিন্ট বাংলাদেশে তৈরি। অধিকাংশ পত্রিকার চেয়ে এই কারণে এর ছাপার মান সামান্য অনুজ্জ্বল। এটা কি অনভিজাত কোনো বৈশিষ্ট্য? যদি এই প্রশ্নের জবাব ‘হ্যাঁ’ হয় তাহলে তো বলতে হবে বাংলাদেশের সকল পত্রিকাই মাত্র কয়েক বছর আগে অনভিজাত ছিল কারণ তখন সকল সংবাদপত্রই দেশি নিউজপ্রিন্ট ব্যবহার করত।
আমাদের সময়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা কম এটা কি ‘আভিজাত্য’ বিরোধী বৈশিষ্ট্য? তাহলেও বলতে হয় আমাদের ঐতিহ্যবাহী অভিজাত পত্রিকাগুলোও একসময় কম পৃষ্ঠার ছিল। তাহলে কি তখন পত্রিকাগুলো অনভিজাত ছিলেন? বাংলা ভাষায় পৃথিবীর সর্বাধিক প্রচারিত ও সবচেয়ে প্রভাবশালী দৈনিক হচ্ছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।
আনন্দবাজার যখন প্রকাশনা শুরু করে তখন ছিল দুই পৃষ্ঠা মাত্র। যাত্রা শুরুর পর দুই পৃষ্ঠা, দুই পৃষ্ঠা করে পৃষ্ঠা সংখ্যা বাড়িয়ে মাত্র ১২ পৃষ্ঠা হতে তাদের সময় লেগেছে ৭৮ বছর। আনন্দবাজার পত্রিকা কি অনভিজাত? দৈনিক আনন্দবাজার এখনো ১২ পৃষ্ঠা এবং আমাদের বাংলাদেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো প্রতিদিন ২৮ পৃষ্ঠা প্রকাশিত হয়। তাহলে কি প্রথম আলো আনন্দবাজারের চেয়ে অভিজাত মর্যাদাশীল ও গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা?
দৈনিক আমাদের সময়ের মূল্য মাত্র দুই টাকা। এই দাম কি অভিজাত্য নির্ণয় করে? আমাদের সময় কি নিুবর্ণের অর্থাৎ কম জাত? ভারতে সকল প্রধান প্রধান দৈনিকের দামই কম বেশি দুই রুপি। তাহলে সেগুলো কি মর্যাদাহীন।
আমাদের সময় নিয়ে কেউ কেউ মন্তব্য করেন যে, এটি মিলিটারিদের পত্রিকা। এই প্রচারণাটা প্রতিবাদ করার যোগ্য নয়। তবে আমরা বুঝতে পারি মিলিটারি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছু আগাম বিশেষ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমেই অনেকের মধ্যে এরকম একটি ধারণা সৃষ্টি হতে পারে। তবে যেটা কারো কারো অলক্ষ্যে থেকে যায় সেটা হচ্ছে, আমাদের সময়ের বিরাট দুর্দান্ত রিপোর্টিং টিম প্রতিদিনই সিভিল প্রশাসন ও রাজনীতির কমপক্ষে ৪-৫টি বিশেষ খবর পরিবেশন করে যা অন্য কোনো পত্রিকা পায় না। সেনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন গড়ে সপ্তাহে একটা থাকে হয়তো।
আমাদের রিপোর্টিং টিমে অন্তত চারজন সিনিয়র রিপোর্টার আছেন, সেনা সম্পর্কিত প্রতিবেদন করার উপযুক্ত। সচিবালয় থেকে প্রতিদিনই অসাধারণ সব প্রতিবেদন বের করে আনছেন আমাদের অপর ৪ জন প্রতিবেদক, প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে প্রতিবেদন করার জন্য আছেন ৩ জন সিনিয়র রিপোর্টার, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন বিষয়ে উšে§াচনমূলক বা আগাম খবর বের করার জন্য আছেন অন্তত ১০ জন সিনিয়র রিপোর্টার, এর বাইরে অন্যান্য বিষয়ে আগাম খবর বের করে আনতে প্রতিদিনই আগ্রাসীভাবে ঢাকা শহর চষে বেড়াচ্ছেন আরো ২০ জন চৌকস সাংবাদিক। দৈনিক আমাদের সময় পৃষ্ঠা সংখ্যায় বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট পত্রিকা অথচ এর রিপোর্টিং টিম সবচেয়ে বড় পত্রিকাগুলোর চেয়েও বড়।
অভিজাত সাংবাদিক বলতে আমি বুঝি তাকেই যাকে কোনো অর্থ দিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট করা যায় না কিংবা হুমকি দিয়ে টলানো সম্ভব নয়। সাংবাদিকতায় আভিজাত্য বলতে আমি বুঝি একিউরেট তথ্যভিত্তিক এবং সাংবাদিকতার বিশ্বজনীন স্ট্যান্ডার্ড, নীতি-নৈতিকতা রক্ষা করে ন্যায়পরায়ণতা। সাংবাদিকতার আভিজাত্য হচ্ছে যথাসম্ভব নির্ভুল বানানে শুদ্ধ ভাষায় সংক্ষেপে সর্বোচ্চ তথ্য ও ব্যাখ্যা উপস্থাপন করার সামর্থ্য। সংবাদিকতার আভিজাত্যে কোনো ভুল হলে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নিঃসংকোচে স্বীকার এবং যেখানে যখন প্রযোজ্য দুঃখ প্রকাশ এমনকি ক্ষমা প্রার্থনাও করে ফেলা বাধ্যতামূলক। সাংবাদিকতায় আভিজাত্য হচ্ছে ব্যক্তির বিরুদ্ধাচারণের পরিবর্তে কোনো জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইসুকে তুলে ধরা। অভিজাত সাংবাদিকতার তাগিদ হচ্ছে সর্বোচ্চ জনস্বার্থে দুর্নীতি ও অনিয়মের উšে§াচনধর্মী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করা। আভিজাত সাংবাদিকতায় লেখক বা প্রতিবেদক অর্থাৎ সাংবাদিক সাধারণত পাঠকের উপর কোনো উপসংহার বা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় না বরং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সকল তথ্য এবং সকল পক্ষের বক্তব্য এমনভাবে উপস্থাপন বা বিশ্লেষণ করে যেন পাঠক নিজেই সহজে তার সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে। অভিজাত সাংবাদিকতা কোনো মানুষ বা প্রতিষ্ঠানকে ভোগান্তিতে ফেলে না, কারো প্রতি আক্রোশ পোষণ এবং প্রকাশ করে না অর্থাৎ অভিজাত সাংবাদিকতার অপর নাম ভালো সাংবাদিকতা। আর এই ভালো সাংবাদিকতাকেই আমরা এক শব্দে সাংবাদিকতা বলি। দৈনিক আমাদের সময় সেই সাংবাদিকতা করার নিরলস প্রচেষ্টায় নিয়োজিত।
এই সাধু সাংবাদিকতার পথ চলায় মাঝে মধ্যেই আমাদের ভুল-ভ্রান্তি বা বিচ্যুতি আছে। কিš' আমাদের প্রণোদনা ও প্রবণতায় কোনো পরিবর্তন নেই। আমরা ভালো সাংবাদিকতায় অঙ্গীকারাবদ্ধ।
একটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য অভিজাত বা অনভিজাত বিবেচনা এক ধরনের হীনমন্য এলিটিস্ট উন্নাসিকতা। বিজ্ঞাপন দাতাকে ভাবতে হবে তার প্রোডাক্টের জন্য কোনো সংবাদপত্রের পাঠক উপযুক্ত কিনা সেটুকুই। সে বিচারে বাংলাদেশের একটি অভিজাত ইংরেজি বা বাংলা দৈনিকের তথাকথিত টোটাল পাঠক সংখ্যা আমাদের সময়ের লাখ লাখ পাঠকের ভেতরে এমনিতেই বহুগুণ বেশি থাকে। আমাদের সময় পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সামরিক-বেসামরিক আমলা, ব্যবসায়ী ও শিল্প সংস্কৃতির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সকলেই ব্যাপকহারে পড়ছেন। তা না হলে একটি সংবাদপত্রের লাখ লাখ পাঠক আর এত সার্কুলেশন হয় কীভাবে? এছাড়া আমরা ঢাকা শহরে জরিপ করে জেনেছি আমাদের পাঠক কারা।
বাংলাদেশের তথাকথিত অভিজাত সংবাদপত্রগুলোর প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর সঙ্গে দৈনিক আমাদের সময়ের যেকোনো দিনের প্রতিবেদনসমূহের একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণে আমার আপত্তি নেই। দেখা যেতে পারে এভাবে কার অবস্থান কী?
সবশেষে প্রশ্ন বাংলাদেশে অভিজাত কারা? প্রত্যেকটি মানুষের গায়ে এখনো অজপাড়া গাঁয়ের গন্ধ। আমাদের প্রকৃত আভিজাত্য এখনো সেখানেই। অন্য যে আভিজাত্যের দিকে আমরা কখনো কখনো ইঙ্গিত করি সেটা আসলে আমাদের হীনমন্যতা। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই আভিজাত্যের ধারণা প্রত্যাখ্যান করি এবং এ বিবেচনায় সত্যি সত্যিই দৈনিক আমাদের সময় অভিজাত সংবাদপত্র নয়। আর কখনো সেটা হতেও চাইবে না।
এ লেখা লিখতে লিখতে ছোটবেলায় পড়া “পোশাকের মর্যাদা” শীর্ষক একটি গল্প মনে পড়ে গেল সেটি আমি যেভাবে শুনেছি পাঠকের উদ্দেশ্যে এখানে সেভাবেই উপস্থাপন করছি।
[ভাবখানা এমন গল্পটা আর কেউ শোনে নাই]
অনেক অনেক দিন আগের কথা। ইরান দেশে ছিলেন এক নামজাদা কবি। তার নাম শেখ সাদি। একজন বড় কবি বলে তিনি ছিলেন খুবই পরিচিত এবং সকলের শ্রদ্ধার পাত্র। ইরান দেশে তৎকালীন বাদশাহও তার কবিতা খুব পছন্দ করতেন। এজন্য বাদশাহ মাঝে মাঝে কবিকে রাজদরবারে ডেকে পাঠাতেন। কবি নিজের কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি করতেন আর বাদশাহ মনোযোগের সঙ্গে সেগুলো শুনতেন।
একবার বাদশাহ কবিকে তার দরবারে আমন্ত্রণ করলেন। আমন্ত্রণ পেয়ে শেখ সাদি রাজধানীর পথে রওনা করলেন। তার পরনে ছিল সাদাসিধে পোশাক। পথ চলতে চলতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। রাত হলো। রাত কাটাবার জন্য কবি এক আমিরের বাড়িতে আশ্রয় চাইলেন। কবির পরনে সাদাসিধে পোশাক দেখে আমিরের লোকজন কবিকে সাধারণ মানুষ বলে মনে করল। তারা কবিকে খুব একটা গ্রাহ্য করল না এবং আশ্রয় দিল না। কবি পথে পথেই রাত কাটিয়ে রাজধানীর পথে চলে গেলেন।
রাজ অতিথি হিসেবে কিছু দিন কাটার পর কবি শেখ সাদি একই পথে বাড়ি ফিরছেন। পথে কবি পুনরায় সেই আমিরের বাড়িতে উঠলেন। এবার কিš' গায়ে সাদাসিধে পোশাক নয়। বাদশাহর দেয়া মূল্যবান ঝলমলে পোশাক। এই মূল্যবান ঝলমলে পোশাকে কবিকে দেখা মাত্রই আমিরের লোকজন মহাব্যস্ত হয়ে উঠলেন। মেহমানের খাতির-যতেœর আর শেষ নেই। আমির নিজে মেহমানখানায় এসে কবিকে অভ্যর্থনা জানালেন। দামি গালিচায় কবিকে বসালেন। কবির সঙ্গে অনেকক্ষণ আলাপ করলেন। রাতে বড় রকমের খানাপিনারও আয়োজন করা হলো।
আমির ও কবি একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া শুরু করলেন। কিš' কী আশ্চর্য! শেখ সাদি এক অদ্ভুত কাণ্ড শুরু করলেন। তিনি খাবার মুখে না তুলে জামার পকেটে পুরতে লাগলেন। শেখ সাদির এ কাণ্ড দেখে আমির আশ্চর্য হয়ে বললেন, জনাব আপনি এ কী করছেন? আমরা যে এর কিছুই বুঝতে পারছি না।
শেখ সাদি একটু হেসে বললেন, বুঝতে পারছেন না? একই মেহমান এসেছে সাত দিন আগে আর পরে। কেবল বদল হয়েছে তার পোশাক। সেদিন পোশাক ছিল সাদাসিধে। তাই কোনো খাবার-দাবারই ভাগ্যে জোটেনি। আজ দামি পোশাকের জন্যই এতসব খাবারের আয়োজন। কাজেই আজকের খাবার দামি পোশাকেরই খাওয়া উচিত। আপনারা তো মানুষের আদর-যতœ করেননি। আদর-যতœ করেছেন তার পোশাকের। কবি শেখ সাদির এ কথা শুনে আমির খুবই লজ্জিত হলেন। তিন মহাকবি সাদির কাছে ক্ষমা চাইলেন।
উপসংহার: বহিরাবরণে নয় অর্থাৎ পোশাক নয়, গুণেই মানুষের পরিচয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৩১