আচ্ছা,জীবনটা যদি এক দেয়ালের হতো ?
দিনের বিরতিতে বিব্রত হয়ে রোদ্দুর গিলতে হতোনা ৷
নিজেকে ব্যস্ত বলে কলঙ্কিত করতে হতোনা ৷
পেশি গুলোতে নিরূপিত ব্যাথার নিমন্ত্রণ দেখতে হতোনা ৷
আমার অহং আমিত্বকে দৃষ্টগোচর হতে হতোনা ৷
আমার আগমনে যেদিন ঠিক সাতটায় ঘড়ির কাঁটায় বিরক্তি নামে,
যে কাকগুলো শকুনের সাথে দলবাঁধে,
যার পরিহিত বসনে লজ্জা লজ্জিত হয়ে পড়ে,
সেই লজ্জা সেই কাক-শকুনের দল আর সেই ঘড়ির কাঁটাটা ও আজ দেয়ালকে সান্ত্বনা সাধে ৷
অপরিণত ভবিষ্যতে দাঁড়িয়ে বিকেল নিয়ে ব্যস্ত শিশুর আনন্দে,
আমার প্রেমিক মনে নীলাঞ্জনার অনুপস্থিতে,
অথবা ঘাসের দলে বন্দী সবুজের হাহাকারে,
এখনো দেয়াল কেঁদে মরে অস্তিত্ব বাঁচাতে ৷
আচ্ছা,জীবনটা যদি এক দেয়ালের হতো?
বিচারকের আসনে বসে বিচারাধীন হয়ে যেতো বিচারক,
এই দুপুর প্রমাণে ব্যস্ত সূর্যের নিষ্টুরতা নিজেকে ধিক্কার দিতো,
জীবনকে মিথ্যে মনে করে হেসে উড়িয়ে দিতো প্রতারিত প্রতারক ,
আর আমাকে দেখে রাস্তার কুকুরটা একটা বিশাল হাসি দিতো ৷
যেদিন আমি খুব ভোরে উঠে একটা শীতের সকালকে কুয়াশা মুক্ত দেখব,
আমার পরিষ্কার চোখে অন্ধত্ব চোখাচোখি করবে,
শালিক ভিজবে সে সরোবরের সকালে,
সেই অন্ধত্ব সেই সরোবরের সকাল,সেই সকালের কুয়াশা আর শালিকও সেদিন দেয়ালকে দেয়াল বলে উত্তেজিত করবে ৷
কেন,কিভাবে,কখন জীবনটা এক দেয়ালে হবে ?
কার প্রার্থনায় একটা অমঙ্গল মন্দাভাবের শিকার হবে?
আমিবা কেন এই পাহাড়ের উপর ঘাস গুলোকে বিরক্ত করছি?
কেনই বা নিষ্পাপ পাপীদের পটভূমি করে কষ্ট দিচ্ছি?
আসলে আমরা দেয়ালের পর দেয়ালে বন্দী,
এখানে এক দেয়ালে ঐ আকাশ, আকাশটার মতোই অধরা ৷
আসলে আমাদের জীবনী শক্তিতে পিছুটান আমরাই দিই,
তাই জীবন এক দেয়ালে হবেনা,বাঁচবনা অনিয়ম ছাড়া ৷
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২