somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বই রিভিউ - এমন রিভিউ আগে দেখিনি

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ঠোঁট কাটাঃ (একটি বই পর্যালোচনা) [যদিও রিভিউয়ার বলেছেন ঠোঁটকাটা রিভিউ, আমার কাছে তেমন মনে হয় নি]

[পাঠকদের জন্য কিছু কথাঃ আগে থেকেই বলে রাখি এই ব্যবচ্ছেদের উদ্দেশ্য সাহিত্য গুণবিচার নয়। এই বিচার করার ধৃষ্টতা আমার বা আমার মডেলটার নেই। এই মডেলটা দিয়ে শুধুমাত্র দেখা হচ্ছে বইটার পাঠক আকর্ষণ ক্ষমতা কেমন হতে পারে তার একটি পরিসংখ্যান করে ধারণা করা। এতে লাভ হল, একটা বই কিনে আপনার সময়টা কেমন যেতে পারে, কি নতুন শিখলেন, কোন রেফারেন্স হিসেবে এই বইয়ের কথা উল্লেখ করা যায় কিনা এসব। সব মিলিয়ে পয়সা উসুল হল কিনা।

বইয়ের দাম আমি উল্লেখ করছি না। কস্ট-বেনেফিট রেশিও আপনারা নিজ দ্বায়িত্বে করে নিতে পারেন। যুক্তি হল, একটা ছোট বই এর পেছনে লেখক ও প্রকাশক অনেক খরচ করে ফেলতেও পারেন; ১০০ পৃষ্ঠার বইয়ের নাম ১০০টাকা হতেই হবে এমন কোন নিয়ম নেই।
বুঝতে হবে, পরিসংখ্যান একটা মিথ্যা। এই পরিসংখ্যান দিয়ে কতবেশী বই বিক্রি হতে পারে তা নির্ধারণ করবে না। লেখকের সুনাম, লেখকের পরিচিতি, চটকদার মোড়ক, বিজ্ঞাপন, রাজনৈতিক টোপ, সেলিব্রিটি এপিয়ারেন্স, ট্রেন্ডি টপিক, বা কপালগুণে অনেক বই বিক্রি হয়েও যেতে পারে।]


বইঃ গুড মর্নিং বাংলাদেশ
লেখকঃ মোকাম্মেল করিম

১) ভূমিকাঃ
প্রিয় Mokammel Karim করিম, কেমন আছেন? খুব বেশী সাহস করে আপনার বইটার ব্যবচ্ছেদের কাজটা সেরে নিলাম। একজন প্রফেশনাল জাঁদরেল লেখকের লেখা কাটাকুটি করতে গিয়ে হাত কাঁপাকাপি হয়েছে সত্যি। এবারেও আপনি যে আমাদের বন্ধু মহলে মোঁপাসা নামে বিখ্যাত তারচেয়ে একটু বেশী প্রমাণ পেলাম।

ক) ম্যাক্রো/মাইক্রোঃ আপনার লেখাটি ম্যাক্রো বা ব্যাপক পরিধি জুড়ে – দুষ্টচক্র সর্বত্র (এফডিআই থেকে দানবাক্স পর্যন্ত)। কিন্তু মাইক্রো উদাহরণ দিয়ে কঠিন বিষয় এত সহজভাবে বুঝিয়ে দিলেন যে হয়ত সোশাসিয়াল সাইয়েন্স এর ছেলেপেলেরা ১০০ তে লেটার মার্ক তুলে ফেলবে। যেমন দুটো ছেলে কথা বলছে ভোরবেলাকার একটা দুর্ঘটনায় অসুস্থ বন্ধুকে নিয়ে হাসপাতাল যাবে কিনা, আর তারা পারবে না; কেননা তাদের পেশা তাদের স্বচ্ছ সমাজে মিশতে দেবার সুযোগ দেয় না। এই সিম্পল কথা দিয়ে এত বড় বিষয় বুঝানো কি করে পারলেন অবাক হয়ে গিয়েছি।

খ) রিডার ক্লাসঃ অবশ্যই ‘সচেতন’ পাঠকদের জন্য আপনার লেখা। অন্তত যারা পত্রিকা পড়ার অভ্যাস রাখে।
গ) পৃষ্ঠাঃ ৪৮টা

২) প্রথম স্ট্রাইকঃ
আপনার বই এই বইমেলায় অনন্য তার প্রমাণ পৃ ২ এর ‘উপন্যাসের কাঠামো – বাংলাদেশের কল্পিত আর্থসামাজিক –রাজনৈতিক দুষ্টচক্র’ ডায়াগ্রামটা। এটা যে সূচীপত্র আবার এটা যে ব্লু ওয়েল গেইমের মত পাজলনেট – একদম জালে জড়িয়ে এই বৃত্তে পাঠক ঘুরতে বাধ্য। এটাও আপনার লেখনী সম্মোহন শক্তির অদ্ভুত প্রমাণ।

সিদ্ধান্তঃ দা কুইকার স্ট্রাইক, দা মোর এট্রাক্টিভ। এই মোটো আনুযায়ী – ৯৬% সফলভাবে আপনি পাঠককে স্টলে ডায়াগ্রামটা পড়াতে দাঁড় করিয়ে রাখতে পারবেন। বলা যায়, আপনি প্রথম বল এ ক্রিস গেইলকে আউট করে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। এই এক ডায়াগ্রামে যে এত কিছু – আমিও চক্রজালে আটকে গিয়েছিলাম বইটা পড়তে পড়তে।

৩) টার্নিং পয়েন্টঃ
আমার পড়ার অভিজ্ঞতা থেকে যে বইতে প্রতি লাইনে টুইস্টের পর টুইস্ট দেয় তা আসলে ক্লাইম্যাক্সে গড়ায় যা একটা টুইস্টের ৩ থেকে ৫ গুণ বেশী ক্ষমতা রাখে পাঠক ধরে বসিয়ে রাখার। অর্থ্যাৎ ক্লাইম্যাক্স অন্য সবগুলোর চেয়ে শক্তিশালী। আপনার গল্পে ক্লাইম্যাক্স প্রচুর, এখন দেখি কেমন বেশী!
ক্লাইম্যাক্স গ্যাপঃ ০.৮১২ পৃষ্ঠা (একটা ক্লাইম্যাক্স থেকে অন্য ক্লাইম্যাক্স পড়তে পাঠকের অপেক্ষার পৃষ্ঠা)
ক্লাইম্যাক্সঃ ১২৫% (২০ টা পয়েন্ট পেলাম কমিয়ে) – (কত বেশী আকর্ষণ করতে পারে পড়ার ক্ষেত্রে)

সিদ্ধান্তঃ এরমানে বইটা নিয়ে বসলে উঠার চান্স কম দেখা যায়। পাঠক ২ ঘণ্টা পড়ার জন্য সময় ঠিক করলে (x ১.২৫) আড়াই ঘণ্টা বেশী দিতে পারে। অভিজ্ঞতা বলে এই ধরণের লেখা কম পৃষ্ঠার হলেও পড়তে সময় লাগে বেশী – কারণ পাঠকের চিন্তা করার ভাবার বা সচেতন হবার একটা ক্ষেত্র তৈরী করে এরকমের লেখা।
আবার ওয়ার্ডস অফ মাউথের (জনে জনে বলে বেড়ানোর প্রচার) চান্সও থাকে বেশী।

৪) কম্বিনেশান ও লজিকঃ ( থিম/ প্রেসেন্টেশান/ যুক্তি/ কোরিলেশান/ আর্গুমেন্ট)
“তুমি মুখোশ পড়া – নাকি মেকআপ করা -হে সজনী?
যে সময়কে বল তোমার কর্মব্যাস্ত ভোর; হায়! আমার তখন ক্লান্ত রজনী”
একজন নেতাও একজন পিতা - একটা ঘুষ খাওয়া থানাতেও একজন গরীব পুলিশও আছে – একটা বেশ্যাও ওয়ার্ল্ড ইকোনমি নিয়ে পড়ে – একটা সৎ উপার্জনের মা, তার অবুঝ শিশুকে ফাঁকি দেয় – একজন ডাক্তারও সিস্টেমে পড়ে যায় – একটা ছেলে আত্মহত্যা করার আগে বাঁচার কথা বলে – একজন ইমামেরও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আড়তদারের পা ধরতে হয় ----- এসব কিছুই নাটুকে প্রেসেন্টেশান হয়েছে (মোটেও স্বস্তা সিনেমাটিক আবেগী নয়)

সিদ্ধান্তঃ এখানে লেখকের স্কিল ফ্রিকোয়েন্সি ধরাটা আমার জন্য কঠিন হয়ে গেছে। একটা নতুন চরিত্র যেখানে গল্পের শেষে আসে আবার আরেকটা গল্পে সেখানে চরিত্রটা শুরু হয়, আবার আরেকটা নতুন চরিত্রের সাথে মিশে ঘটনা হয় – পরের ঘটনা নতুন চরিত্রের আবর্ত হয় আর এভাবে আবার বইটার শুরুর গল্পে কিভাবে যেন পৌঁছে দেয়া হয়।
আমি জীবনে এত অদ্ভুত পরিকল্পিত সিনেট্র্যাপ বাংলা গল্প পড়িনি। অনন্য! অসাধারণ!

৫) পাওয়ার স্ট্রাইক ও এন্ডিং স্ট্রাইকঃ
শেষ হইয়াও পুনরায় নেতার কাছে ফিরে যাওয়ার আবর্তটা গল্পের সার্থকতা প্রমাণ রাখে। নামকরণটাও স্পষ্ট হয় – আবার অন্ধকার রাতের নরক হতে বেরিয়ে আসার ভোরে নতুন পবিত্রতার স্বপ্ন নিয়ে শুরু। এরপর কি হল? তা পাঠকের ধারনার উপর ছেড়ে দেয়া। এটা অনেক পাওয়ার মেসেজ থাকে।

পাওয়ার স্ট্রাইকঃ (এখানে অনেক জায়গায় যুক্তির উপর যুক্তি চলে – অর্থাৎ একটার চেয়ে একটা ডায়ালগ আছে এমন)
পৃ ১০ কুকুরটা ভেতরে চলে যায়
পৃ ১৩ নষ্ট কইরা ফেলো।
বাসায় যান ভালোমতো খান, তারপরে একটা ঘুম দেন
পৃ ১৬ ফিউজিটিভের গাড়িতে পুলিশকে দেখলে হৈ চৈ পড়ে যাবে
পৃ ১৯ যতখানি তার ইমপ্যাক্ট ততখানি তার প্রাইস
পৃ ২২ ঈশান তার মানিব্যাগ ফাঁক করে দেখে
পৃ ২৭ মা আমার সাদা বলটা নীচে পড়ে গেছে - (সাদা বল মানে যে সাদা প্রফেশনালিজম এটা দারুণ প্রেসেন্টেশান)
পৃ ৩২ বোকা মা, ঝুঁকে দেখলে ঠিকই বুঝতে পেতো – বাবু জেগে আছে (একটা নিষ্পাপ মনকে একটা পবিত্র সম্পর্কও ধোঁকা দিতে পারে – দারুণ)
পৃ ৩৭ পোভার্টি এখন একটা কমোডিটি...... বিল গেটস...... আমাদের দেশে এলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বস্তি দেখাতে ( আরো আছে, ভীষণ আর্গুমেন্ট আর তাও একটা শিক্ষিত বেশ্যা বনাম গরিবানা বেচা ব্যাবসায়ীর মধ্যে)
পৃ ৪১ (আরেকটা পাওয়ার আর্গুমেন্ট – পাঠকদের জন্য একটু বদলাচ্ছি)
বাবা বলছে ছেলেকে –“দেখ বেটা, আমি তোমার মত সচিবের ছেলে নই। আমি কৃষকের ছেলে......... বংশ চরিত্র রাতারাতি বদলে ফেলা সম্ভব নয়। তুমি ভান করতে পারো যে তুমি প্রগতিশীল বা সম্ভ্রান্ত। কিন্তু তা কেবল উপর উপর। তোমার রক্তে সেটা আসতে কয়েক প্রজন্ম লেগে যায়”।
এবার ছেলে বলছে বাবাকে, “তোমার বাবার একটা গুণ তুমি পাওনি। একজন সরকারী চাকুরীজীবী কিভাবে এত সম্পদের মালিক হয়!” (ডাবল স্টান্ডার্ড বাবা এবার কি বলবেন?)
পৃ ৪৩ (ইমাম সাহেবের ক্লাইম্যাক্স – এখানে আমার মাদক ব্যাবসায়োদেরকেই সৎ মনে হয়েছে) আমরা এমুন কামই করি যে আমাগো ছোড বেলার দোস্তের বিপদে আমরা যাইতে পারি না।
যে ৫ টাকা নিয়েছিল তা আবার বাক্সে রাখে (দানবাক্স নিয়ে তাহলে এই কারবার হয় মসজিদে – ব্যাপারটা আমিও সন্দেহ করেছিলাম)

সিদ্ধান্তঃ এমনিতেই প্রতি পৃষ্ঠায় ক্লাইম্যাক্স আছেই তার উপর ৪.৮ পৃষ্ঠা পর পর পাওয়ার স্ট্রাইক। পাঠক বইটা পড়তে পড়তে চায়ে চুমুক দিতে গিয়ে বিস্ময়ে গায়ে চা ফেলে দিলে আমি জানি না!


৬) কনফিউশানঃ যত কম তত সফল। একটা কনফিশান আমার হয়েছে দৃশ্যটা বুঝতে – পৃ ১৭ একদম শেষের লাইন – ‘বইটা কেটে ৫০০ টাকার নোটের’

৭) একটু দেখবেন প্লিজঃ

পৃ ১৪ – আমি দিবোই ... ওরে যদি (এন্টার দরকার নাই, পরের লাইনে চলে গেছে) – একটু টেস্টে এলাও করতেন
পৃ ১৪ – স্যার শহীদূরের আব্বা মারা (এন্টার দরকার নাই, পরের লাইনে চলে গেছে) – গেছে তিন মাস হইছে
পৃ ১৮ – সকালে .... (ট্র্যাশ) .... কি সব অনুষ্ঠান যে করো তোমরা!
পৃ ১৯ – পারফেক্ট ছিলো? .... না । আদর্শ (,/-) সময় একটা হাইপোথেটিক্যাল ব্যাপার। - এখানে কমা বা একটা হাইফেন দরকার হয়ত বা ‘আদর্শসময়’ একটা বাক্য করা যায় লেখকের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী
পৃ ২৪ – (টাক) পড়া ৪০-৪৫ বছর বয়েসী লোকের কাছে যায়।
পৃ ২৯ – আজকা (অর) বাপের লগে দেহা
পৃ ৩০ – তো চলতো না। দরকার অইলে (আমরা) নতুন জায়গায় বাসা লমু।
পৃ ৩১ – যাবি? যেন সে ফয়সালের (সঙ্গ) উপভোগ করছিলো আইচ্ছা যা,
পৃ ৩৪ –কি করি বলেন তো, সামনে ঈদ, এ সময় যদি (যদি – ডবল হয়েছে) হাতে টাকা না থাকে!
পৃ ৪১ – আয়ান উঠে গিয়ে (জানালার) কাছে দাঁড়ায়, রিচ পার্পল রঙের

সিদ্ধান্তঃ (এগুলোর দায় আসলে লেখকের পড়ে না তবুও লেখককে জবাবদিহিতায় পড়তে হয়)। প্রতি ৩.৪ পেইজ পর পর এরকম সমস্যাগুলো কড়াকড়িভাবে নজর দেয়া দরকার। হয়ত আমার ভুলও হতে পারে।

৮) একটু খেয়াল করবেন কি?
১. পৃ ৯ – ঐ প্রিন্সিপালটা একটা (****) – এটা আপত্তিকর লেগেছে

৯) যা শিখলামঃ

ক) রেফারেন্স উক্তি
১. পৃ ৪৭ নামায পড়া আর ভালো হওয়া এক জিনিস না
২. পৃ ৩৭ হাঁটু গেড়ে, মাথা নিচু করে পুরস্কার নিলে তাতে দাতার গৌরবই বাড়ে। গ্রহীতার এতে অহংকারের কিছু নেই।
৩. পৃ ২৫ পুলিশ, প্রেস, প্রস্টিটিউট – একশ হাত দূরে। খুব বিপজ্জনক এবং আঠালো।
৪. পৃ ২২ তোমার কানেকশান যত বেশী আউটপুট তত ইনফ্লুয়েন্সড হবে
৫. পৃ ২০ টেকনোলজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট আর মরাল ডেভেলপমেন্ট বা এক্সিলেন্স এক জিনিস নয়। এদের গুলিয়ে ফেলো না।
৬. পৃ ১৯ নগণ্য সৎ সাহসীর সব প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত নগণ্যই, যতখানি তার ইমপ্যাক্ট ততখানি তার প্রাইস, আদর্শ সময় একটা হাইপোথেটিক্যাল ব্যাপার
৭. পৃ ১৬ গেট টু গেদারে স্পট ইম্পর্ট্যান্ট না, একত্রে সময় কাটানোই আসল।

খ) আইকনিক ক্যারেক্টারঃ এখানে সামাজিক অবক্ষয় মুহুর্তে সাদা মনার ধুসর হবার প্রতিবাদ আর কালো মনার সাদা লেবাস পরিধান – প্রতিনিয়তই চাঞ্চল্যকর ছিল।

সিদ্ধান্তঃ গল্পের ক্লাইম্যাক্স বোঝার গুরুত্ব এখানে বেশী। এর সাথে রেফারেন্স কোটেশানগুলো ১৪% শিক্ষামূলক গুরুত্ব রাখে। ক্লাইম্যাক্স এর সাথে কোটেশানের অনুপাত ৮০% : ২০%
(বেশী শিক্ষামূলক কথা থাকলে তখন আবার ওটা ঘটনা প্রসঙ্গ থেকে একাডেমিক বই হয়ে যাবে – এই বইটা তেমন নয়)

১০) অন্য প্রসঙ্গঃ
এখানে সব চিত্রগুলো ঘুরেফিরে প্রসঙ্গেই ছিল। অন্য প্রসঙ্গ লেখক দেখাননি বললেই চলে

১১) হতে পারতোঃ
ক) নেতাকে আরেকটু ক্রিটিক্যাল ক্রিমিন্যাল দেখানো যেতো। আবার নেতারও ঠেকা আছে (পরিবার ছাড়া) সেটাও করা যেতো।
খ) ১ম ২য় ৩য় ৪র্থ ৫ম –বিভিন্ন ব্যাক্তির অবতারণার আরেকটু স্পষ্ট করতে পারতেন। মাঝে মাঝে আমি গুলিয়ে ফেলছিলাম।
গ) আয়ানের বাবার সাথে মালিকের একটা ট্যাক্স রিলিটেড কোরিলেশান করে দেখাতে পারতেন
ঘ) আয়ানের কষ্ট আছে বোঝা যাচ্ছিল – কিন্তু পরিবারের ক্ষোভের সাথে সম্পর্ক পাচ্ছিলাম না। যেমন পরিবারের ডিউ কেয়ার এর অভাব এইসব। বাবা ঘুষ খায় তো পোলার অসুবিধা কি? পোলা তো এই ধান্দায় নাই, ঘুষের ভাগেও নাই। বাবার মরাল কমলেও বা বাড়লেও পোলার তো সমাজে স্ট্যাটাস ঠিকঠাকই থাকে!
ঙ) শ্রমিক মহিলাটি আমার হিসেবে আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক দুষ্টচক্রে পড়ে নাই। তার জৈবিক ক্ষুধা এই পয়েন্টের বাইরে। অথবা আপনার পয়েন্ট অফ ভিউ টা আমি ধরতে পারি নাই।

১২) মন্তব্যঃ
গল্পের প্রথম স্ট্রাইক (৯৬%); ক্লাইম্যাক্স গ্যাপ (০.৮২ পৃ); ক্লাইম্যাক্স (১২৫%); ক্লাইম্যাক্স-কোটেশান অনুপাত ৮০:২০; পাওয়ার স্ট্রাইক (৪.৮ পাতা পরপর) বলে দিচ্ছে আপনি পাঠকের মন জয় তো করবেনই আপনার সব লেখা পড়ার জন্য মানুষ ভিড় করবে।

তবে ত্রুটিগুলো সমাধানের জন্য আপনাকে কড়া হতেই হবে। (একথাটি সমস্ত লেখক প্রকাশকের জন্য; ত্রুটিপুর্ণ লেখা পাঠকের আস্থা পুরোপুরি হারায়)। যার এমন ডাইনামিক লেখা তিনি এমন সব সিলি মিস্টেইক করবেন না এটা বুঝলাম – কিন্তু দেখলাম না। আমি আপনারটা ছাড়া আরো অনেক বইগুলোতে এই অবস্থা দেখলাম।

আপনার সফলতা আসুক – এমনিতেই আমি আপনার ফ্যান। তারমধ্যে এরকম সাইকোলজিক্যাল ডকটর জেড এর মতন স্টোরই সিনেট্র্যাপ বই লেখা যায় কল্পনাতীত। এই প্রেসেন্টেশানটা শেখার মতনই। ধন্যবাদ – আর আমার ভুল ত্রুটি বা কষ্ট পেলে ক্ষমা করে দেবেন।

রিভিউয়ারঃ শামীম আহমেদ চৌধুরী
মূল লেখার লিঙ্ক
বইটি পাওয়া যাচ্ছে ৬৬৬ নং স্টলে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দাঁড়িকমা প্রকাশনীতে
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×