ঢুকতেই হাতের ডানে বাংলা একাডেমি-র সাদামাটা প্যাভিলিয়ন।
তবে এখানে রত্ন আছে। বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা সিরিজ বের করেছে বাংলা একাডেমি, জেলাভিত্তিক। এটা প্রথম বের হয় ২০১৩ সালে, আমার চোখে এতদিন পড়ে নি। সেলসম্যান জানালো এই মুহূর্তে তার কাছে ৫৮টি জেলার লোকজ সংস্কৃতি-র বই আছে। আমি নিলাম দু'টি - ময়মনসিংহ ও গাজীপুর এর, আমার শেকড় যে দু'খানেই! আজই সংগ্রহ করুন আপনার জেলার বইটি। এখনো পড়িনি, তবে আশা করছি ভাল হবে। এই উদ্যোগের জন্য বাংলা একাডেমি বড় একটা ধন্যবাদ পেতে পারে।
কথাপ্রকাশের প্যাভিলিয়ন টি নজর কাড়ছে সবার। অনেকেই দেখি সেলফি বা ছবি তুলছে।
রঙ আলোয় নজর কাড়লো শব্দশৈলীও।
আকাশে উড়ছে আদর্শের বেলুন।
আভিজাত্যের একটা ছোঁয়া লেগে আছে মাওলা ব্রাদার্সের প্যাভিলিয়নে।
পিছিয়ে নেই আগামী
শ্রাবণের স্টলটাও মন্দ নয়
তামাটে তাম্রলিপিতে এবারো প্রধান আকর্ষন মুহম্মদ জাফর ইকবাল
তাম্রলিপিতেই অদ্ভুত ঘটনাটা দেখলাম। একই লেখকের দু'টো বইয়ের জন্য দু'রকমের রিসিট। এর মানে কি সাইক্লোন ৫২৭৪ কপি বিক্রি হয়েছে!
অনিন্দ্য প্রকাশ ভাল লাগল। ছবিটা ভাল উঠল না।
অবসর দেখে মনে পড়ল বই কেনার ফাঁকে ক্রেতাদের অবসর নেবার বা বসার জায়গা থাকা জরুরী।
অনন্যা খুব একটা অনন্য হতে পারে নি।
ভাল লেগেছে ঐতিহ্য
দূর থেকে দেখলাম প্রথমাকে
হুমায়ুনময় অন্যপ্রকাশ
সৌন্দর্যের ধার ধারে না কাকলী। এখানেও হুমায়ুনের রাজত্ব
কাকলী থেকে ২০১৬ তে বেরিয়েছিল আমার গল্পগ্রন্থ যে দেশে কোনো মানুষ ছিল না। বইয়ের অবস্থা দেখে মনে হচ্চে গুদাম থেকে শেষ কপিটা আনা হয়েছে। (মেলার প্রথম দিকেই ভাল কপি দেখেছি)। অর্থাৎ প্রথম মুদ্রণ প্রায় শেষ।দেবার কথা ছিল অথচ একটা টাকাও এখনো আমাকে দেননি প্রকাশক। আমিই তাকে এড়িয়ে চলি !!!
ভাল লাগল অন্যধারার স্টল
সংহতির আলো ভাল লাগল
অন্বেষাতেও সবার উপরে বইমেলার রাজা হুমায়ুন
মনোরম লাগল ভাষাচিত্রের কালার কম্বিনেশন
জার্নিম্যান বুকস উপস্থিতি জানান দিয়েছে ভাল মতোই
সেবাতে ভিড় দেখে নস্টালজিক হয়ে গেলাম
মেলার একপ্রান্তে দাঁড়িকমার ৬৬৬ নং স্টলে আমার এবারের বই
ইউপিএল - এখানে আছে আমার আরেকটি বই। আছে বলতে বুকলিস্টে, মেলায় নেই। অনেক আগের লেখা।
বাতি জ্বেলেছে চাটগাঁ-র বাতিঘর
এটা কি সেই পাঞ্জেরী! গাইড বই ছাপানোর জন্য যাদের আমি ঘৃণা করতাম?
আমার মতে বইমেলা হওয়া উচিত এই জলাশয়ের চারপাশে
বাসায় ফিরতে দেড় ঘন্টা লাগল, অথচ পনেরো বিশ মিনিটের পথ। উত্তর এবং দক্ষিণ ঢাকায় দুটি বইমেলা হওয়া উচিত। উত্তরা থেকে কে বইমেলায় আসতে চাইবে?
কেনা বইয়ের ভারে মেলায় হাঁটতে পারছিলাম না। বাসে উঠে বসার সাথে সাথে সে ভার হালকা হয়ে গেল। এত কম বই কিনেছি! কাঁটাবনে রাস্তা ফাঁকা, ট্রাফিক পুলিশ যাবার সংকেত দিচ্ছে তবু ড্রাইভার যাবে না, তার আরো যাত্রী চাই। আমি বসেছি মাঝখানে, দুপাশের সীটের দুজনই মোবাইল টিপছে। বিরক্ত হয়ে চোখ বন্ধ করে দিলাম।
বাসায় ঢোকার মুহূর্তে মনে হল, না, বই বেশি কেনা হয়ে গেছে। দেখামাত্রই মাতৃদেবী হুঁশিয়ার করে দিলেন এবছর যেন আর কোন বই বাসায় না ঢোকে। আমি চুপচাপ ঘরে গিয়ে ব্যাগ থেকে বই বের করলাম। নতুন বইয়ের চেয়ে আনন্দদায়ক আর কিছু কি আছে! (আমি কিন্তু বইয়ের কথা বলেছি বউয়ের নয়!)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৩