বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় কিছু নেতার ক্ষুধা চরমে। তারা মনে করেছিলেন, কোনোভাবে হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা গেলে অনিবার্য বিকল্প হিসেবে বিএনপি দ্রুত ক্ষমতায় ফিরে আসবে। কিন্তু, নোবেলজয়ী প্রফেসর ইউনুস সরকার প্রধান হওয়ায় এবং দেশবিদেশে তাঁর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার কারণে বিএনপির দ্রুত ক্ষমতায় ফিরে আসার স্বপ্ন দিনদিন ফিকে হয়ে আসছে। ফলে, অতি ক্ষুধার্ত দুর্নীতিবাজ চক্রটির আর তর সইছে না।
এই দুষ্টচক্র রাষ্ট্র ক্ষমতায় আরোহনের আগেই মোটা অংকের টাকা কামিয়ে নিতে এস আলমের বিলাসবহুল ১৪টি গাড়ি ও গাড়িগুলোর অভ্যন্তরে রাখা টাকাপয়সা, ধনদৌলত নিরাপদে সরানোর ব্যবস্থা করেছে বলে কোটি জনতা সন্দেহ করছেন। তাঁরা সম্ভবত আওয়ামীলীগের যোগসাজসে এ অপকর্মটি করেছেন। সিভিল প্রশাসন এবং পুলিশের কারোকারো এতে জড়িত থাকার সম্ভাবনাও নাকচ করে দেয়া যায় না।
এস আলম তথা আওয়ামীলীগের লুটপাট নিয়ে যখন সমগ্র বাংলাদেশ সোচ্চার, এবং লুন্ঠিত অর্থসম্পদ পুনরুদ্ধারে জাতি যেখানে সংকল্পবদ্ধ, ঠিক সে সময়ে এস আলম নামের ধিকৃত লুণ্ঠনকারীদের অবৈধ ধনসম্পদ সরিয়ে নিতে সহায়তা প্রদান জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা এবং গুরুতর একটি অপরাধ মনে করি। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সক্ষমতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন প্রকারান্তরে। যতোদ্রুতসম্ভব এদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা উচিত মনে করি।
১. ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৮ ০