ব্যক্তি,পরিবার,সমাজ ও দেশের অরাজগতা,অনাসৃষ্টি,অবনতি,আশান্তির মুল কারণ ঘুষ, স্বজনপ্রীতি,লোভ,হিংসা,মোহ ও ক্রোধ। বিশেষ করে সরকারের নখ থেকে মাথা পর্যন্ত আপাদামস্তক রন্দ্রে-রন্দ্রে,অণু-পরমাণুতে এই নিকৃষ্ট সংক্রামক রোগটি প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে বিস্তার লাভ করেছে।
সরকার আসে-সরকার যায়;কিন্তু সকল সরকারেরই শাষন,আইন,বিচার,ধর্ম,শিক্ষা, সামরিক-অসামরিক প্রভৃতি সমূহ বিভাগের দারোয়ান থেকে শুরু করে মন্ত্রী-মিনিষ্টার, প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত এই সংক্রামক রোগে চরমভাবেই আক্রান্ত।
সাধারণের সেবার জন্য সরকার নিয়মিত ট্যাক্স নেয়। বিয়ে করার ট্যাক্স থেকে শুরু করে, ঘর-বাড়ীর ট্যাক্স,বিষয় সম্পত্তির ট্যাক্স,পানি,মাটি,বিদ্যুত ট্যাক্স,নিরাপত্তার ট্যাক্স,ব্যবসা-বানিজ্যের ট্যাক্স,চলা-চলের ট্যাক্সসহ জন্ম-মৃত্যুর ট্যাক্স পর্যন্ত দিচ্ছে।অথচ পাগলা গারদ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতির অফিস পর্যন্ত সাধারণকে প্রতি পদে পদে শতভাগ সকরারী কর্মচারীদের বে-হিসাবী ঘুষ দিয়ে সেবা নিতে হয়।গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ শাষণ,বিচার ও শিক্ষা বিভাগের ইট-পাথর পর্যন্ত ঘুষ খায় বলে সর্বজন বিদিত;বিচার চাইতে গেলে বাদী-বিবাদী,দোষী-নির্দোষী,অভিযুক্ত ও খালাসপ্রাপ্ত উভয়েরই সম পরিমাণ ঘুষ দিতে হয়। পাগলা গারদ,লাস কাটা ঘর থেকে রাষ্ট্রপতির ঘর পর্যন্ত যেন এক একটি সরকারী ঘুষের কেন্দ্রীয় অফিস।
অপরদিকে শরিয়তী ইমাম-আলেম,মুফতিদের নামাজে টাকা ,তারাবিতে টাকা,জাকাতে টাকা,ফতোয়া,ওয়াজ-নছিহতে টাকা,মিলাদে ,জানাযায় টাকা,বিয়েতে টাকা,তালাকে টাকা,জন্মে টাকা মৃত্যুতে টাকা,পীরের চেহাড়া দেখতে টাকা,মাজারে টাকা,ওরসে টাকা! টাকা ছাড়া ধর্ম-কর্ম শতভাগ অচল হয়ে পড়ে। অথচ কোরআন ঘোষনা করে,ধর্ম কর্মের বিনিময় অর্থ গ্রহণ মদ শুকরের চাইতেও হারাম (তথ্যসুত্র: ২: বাকারা-১৭৪,৪১,৭৯)।
ইছলামী-অনইছলামী,আস্তিক-নাস্তিক,রাজনীতিক-সমাজিক,গায়ক,লেখক,কবি-সাহিত্যিক,ইমাম-আলেম,মুফতি-পীর,গাউস-কুতুব,সাধারণ-অসাধারণ কেহই হেন সংক্রামক রোগ থেকে মুক্ত নয় বিধায় কেহই উহা নির্মূলের দায়িত্ব নেয় না,ঘুনাক্ষরেও বিষয়গুলি আমলে নেয় না।যদিও সকলেই জানে যে,ব্যক্তি থেকে দেশব্যপী অনিয়ম-অশান্তির মূল কারণ প্রধানত: ঘুষ আর স্বজনপ্রীতি।সরকারের জানা সত্বেও কোন সরকার নিজ কর্মচারীদের অবৈধ-হারামী,অগণতান্ত্রিক আচরণ থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ নেয় না। এই অলিখিত প্রচলিত দুরনীতির কারনে দেশের আইন,বিচার,শাষণ,শিক্ষা,ধর্ম বিভাগসহ সকল বিভাগ চরমভাবেই ব্যর্থ-কলুষিত,দেশময় অন্ধকার-অরাজগতা, বিভিষীকাময়।
এক্ষণে এমন একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় দল দরকার যারা রাস্তা-ঘাট,সেতু নির্মানের ওয়াদা না করে,গণতন্ত্র রক্ষার ভাওতাবাজি না করে,মিলিয়ন-বিলিয়ণ ঋন খেলাপীদের ক্ষমা না করে,১০ টাকা সের চাউল,কালোকে-সাদা,হারামকে-হালালের ওয়াদা না করে,ঘোমটা-দাড়ি রাখা,পাঞ্জেখানা নামাজের ওয়াদা না করে,যুদ্ধাপরাধীর বিচারের প্রহসন না করে দুরনীতি মুক্ত নির্মল-নিষ্কলুষ সরকার প্রতিষ্টার ওয়াদা করে। অন্যথায় জনসাধারণ অবিলম্বে যাবতীয় ট্যাক্স প্রদান বন্ধ করুক! ৪২ বছরের দলীয় নাটকীয় নির্বাচন বয়কট করুক।
আজ ৪২ বছর যাবত সরকার বা প্রত্যেকটি দল-উপদল ব্যক্তি ও দল স্বার্থে যা করে আসছে!তা দেশের জন্য যুদ্ধাপরাধীর তুলনায় ঢের ঢের বেশি নিকৃষ্ট অপরাধ।
কেহ ভারত পন্থী,আমেরীকা পন্থী,চীন পন্থি আবার কেহ পাকিস্থান পন্থী;যার যার স্বার্থের নেশায় সে সাধ্যমত সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে;এতে সকল দলই দেশ বা সাধারণের কাছে সমান অপরাধী বটে!
এত্থেকে মুক্তির উপায়-পথ কারো জানা আছে কি??
বিনীত।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫