কুরআনের ঘোষনা মতে রাছুল ও কুরআন বিশ্ব মানবের জন্য নয়;শরিয়ত অপব্যাখ্যা করে বিশ্বকে প্রতারিত করেছে;কুরআনের স্পষ্ট সাক্ষি দেখুন:
১. এভাবেই আমরা তোমার প্রতি আরবি ভাষায় কুরআন অবতীর্ণ করেছি যাতে তুমি মক্বা ও তার আশেপাশের লোকদেরকে (আরবি ভাষাভাষীদের) সতর্ক করতে পার।( ৪২: ৭)
২. এমন এক জাতির জন্য তোমাকে পাঠিয়েছি,যাদের পূর্বপুরুষদের এর আগে সতর্ক করা হয়নি। যার ফলে তারা গাফিল ছিল।(৩৬: ৬)
৩. এভাবেই আমরা তোমাকে পাঠিয়েছি একটি জাতির জন্য,যার পূর্বে বহু জাতি গত হয়েছে।(১৩: ৩০)
৪.-যাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পার যাদের নিকট তোমার পূর্বে আর কোন সতর্ককারী আসেনি,যেন তারা উপদেশ গ্রহণ করে।(২৮: ৪৬)
৫. আমরা প্রত্যেক রাছুলকেই তার নিজের জাতিয় ভাষায় অহি পাঠাই যাতে স্ব জাতিয়দের কাছে সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে পারে।(১৪: ৪)
ঘোষনাগুলি সুস্পষ্ঠ,ইহা বুঝতে তফছির ব্যাখ্যা,হাদিছ-ফতোয়া বা কারো সাহায্য নিষ্প্রয়োজন।পক্ষান্তরে শরিয়ত নিচের আয়াতগুলি হিংসা-বিদ্বেষ বশত: স্ব-জ্ঞানে ভুল-মিথ্যা অনুবাদ করে সমাজকে প্রতারিত করেছে:
ক. -ইহা তো বিশ্ব জগতের জন্য উপদেশ ব্যতীত নয় (১২: ১০৪)।
খ. –যাতে সে বিশ্বজগতের জন্য সতর্ককারী হতে পারে (২৫: ১)।
গ. -ইহা তো বিশ্ব জগতের জন্য উপদেশ (৬৮: ৫২)।
ঘ. ইহা তো বিশ্ব জগতের জন্য উপদেশ (৮১: ২৭)।
*‘বিশ্ব জগত’ এর ব্যবহৃত মূল আরবী শব্দটি হলো: এলেম/এলমুন থেকে আলামীন (আইন-লাম-মীম)+ইয়া+নু]= অর্থ জ্ঞান,জ্ঞানী ও জ্ঞানীগণ (আলামীন),‘বিশ্ব জগত নয়।‘
* ‘বিশ্ব জগত’ এর মূল আরবী শব্দটি হলো: আলম (আইন-আলিফ-লাম-মীম)+ইয়া+নু]। এই শব্দটি উল্লিখিত আয়াতগুলিতে কখনও ব্যবহৃত হয়নি।
সুতরাং সত্য-সঠিক অনুবাদ হবে:
'-ইহা জ্ঞানীদের জন্য উপদেশ/সতর্ক মাত্র-'
এই সত্য-সঠিক কথাটিই স্পষ্ঠভাষায় আল্লাহ পুন:পুন: ঘোষনা করেন:
১.-জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ ইহা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন (২: ২৩০)।
২.- এভাবেই জ্ঞানীদের জন্য বিশদভাবে বর্ণনা করেছি (৩: ১১৮)।
৩.-এভাবে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য বাক্যগুলি বিশদভাবে বিবৃত করি (৭: ৩২)।
৪.-তোমরা কি ইহাতে জ্ঞান খাটাও না?(৭: ১৬৯)।
৫.-জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আমরা আয়াতগুলি বিশদবাবে বিবৃত করি (৬: ৯৭)।
৬. –সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করি জ্ঞানীদের জন্য (৬: ১০৫)।
৭.-জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আমরা আয়াতগুলি সহজভাবে বর্ণনা করি ( (৯: ১১)।
বাস্তবতার নিরীক্ষে:
আল্লাহ যদি বলতেনই যে,'মুহাম্মদ বিশ্ব নবি,বিশ্বের জন্য পাঠানো হয়েছে;'তবে বিশ্বের আস্তিক-নাস্তিক,মুমীন-মুনাফিক,জ্ঞানী-অজ্ঞানী সকলেই ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় স্বীকার করতে বাধ্য হতো;কারণ আল্লাহর আদেশ অলংঘনীয়। কিন্তু আজ ১৪শ বছরেও বিশ্বের ৫ ভাগের ১ ভাগ মানুষও স্বীকার করেনি। সুতরাং শরিয়ত কুরআনের অপব্যাখ্যা করে এমন কি আল্লাহকেও মিথ্যাবাদী সাজিয়েছে।
আদিকালের এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে মুছলিমদেরকে স্ব স্ব উদ্বোগে মুক্ত হওয়া ও করা উচিত।
এতদসম্বন্ধীয় রাছুলের নামে রচিত হাদিছগুলিকে কুরআন বিরুদ্ধ মিথ্যা-প্রতারণা বলে প্রত্যাখ্যান করা উচিত।
বিনীত।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩০