ক. হ্যা! এর পূর্বে যে সকল কেতাব এসেছে সেগুলোর সত্যতা সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেয়।- আর এ কিতাব হচ্ছে সেই সব কেতাবেরই বিস্তারিত ব্যাখ্যা মাত্র-(১০: ইউনুস-৩৭; ২:বাকারা-১৩৬)।
অতএব হিন্দু: হিন্দু নয় ;বৌদ্ধ: বৌদ্ধ নয় ;শিখ: শিখ নয় ;ইহুদি: ইহুদি নয় ;খ্রিস্টান: খ্রিস্টান নয় ;মুছলিম: মুছলিম নয় ! যতক্ষণ পর্যন্ত:
১. একমাত্র একাকার উপাস্য (আল্লাহ,খোদা,ভগবান,ঈশ্বর,গড),স্ব স্ব নূর/জ্যোতিদেহের উপর বিশ্বাসী না হয়।
২. আল্লাহ প্রেরিত সকল রাছুল-নবি,সকল ঐশী গ্রন্থের ওপর সমভাবে বিশ্বাস স্থাপন না করে এবং পুনঃ পুনঃ রাছুল-নবি আগমনে বিশ্বাসী না হয়।
৩. স্ব-স্ব দলের মনুষ্য রচিত উপ-ধর্ম গ্রন্থ অর্থাৎ দুনম্বরী গ্রন্থ ত্যাগ করে মূল ঐশী গ্রন্থে ফিরে না আসে।
৪. নম্র,ভদ্র,আদর্শ,পরোপকারী,ন্যায়বাদী,পরিশ্রমী,ত্যাগী,নিবেদিত ও শান্তিবাদী তথা মানবতাবাদী না হয়।
৫. অন্যায়,অত্যাচার,অবিচার,হিংসা অহংকার,যাবতীয় ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ ত্যাগ না করে।
৬. সত্যকে সত্য,মিথ্যাকে মিথ্যা বলার এবং করার শক্তি সাহস অর্জন করতে না পারে।
৭. নিরপেক্ষ ও সাম্যবাদী শক্তি ধারণ করতে না পারে।
৮. পেট ও পিঠের সমাধিকার বাস্তবায়ন করতে না পারে ।
৯. মানুষ মাত্রই একক পরিবারের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করতে না পারে।
আদিকাল থেকে একক মানবগোষ্ঠির একক ধর্মই স্থান,কাল,পাত্র ও ভাষা ভেদে পার্থক্য মাত্র।কিন্তু সর্বকালের ধর্মান্ধ,মৌলবাদীগণ হিংসা বিদ্বেষ ও পেশাদারি স্বার্থের কারণে মূল ধর্মের সঙ্কোচন-সংযোজন করে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দিয়ে সমগ্র বিশ্বে আজ একে অপরকে খুন ও ধ্বংসলীলার চরম প্রতিযোগিতা আধুনিক যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।এক শ্রেণীর হিংসুক,চতুর,ক্ষমতালিপ্সু,ভোগবাদী রাজনীতিবিদগণ (ব্যতিক্রম আছে) সকল দেশের সকল আলেম-আল্লামাদের (জ্ঞানী-বিজ্ঞানী) কৌশলে অধীনস্থ করে বর্বর ধ্বংসলীলার সাজ-সরঞ্জাম তৈরির প্রতিযোগিতা আধুনিক বিশ্বের প্রধান ও শ্রেষ্ঠতম উৎকর্ষের নিদর্শন।এর অন্যতম প্রধান কারণ একই মানবগোষ্ঠির কতিপয় ভোগবাদী নেতাদের ষড়যন্ত্রে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত উপ ধর্মদর্শন।
প্রচলিত হিন্দু ধর্ম প্রধানত বৈদিক ধর্ম বা সনাতন ধর্ম নয় ইহা বরং ব্রহ্মা বা ইব্রাহিম-বিরোধী পৌত্তলিক ধর্ম,যার প্রধান ভিত্ মূল কেতাব বেদ,শ্রুতি,গীতা,অথর্বের বিপরীতে ১২ খানি উপধর্মগ্রন্থ,উপনিষদ বা হাদিছ।
আলেকজান্ডার’-এর নাম আজও অক্ষয় হয়ে আছে।কিন্তু তার আরবি উচ্চারণ ‘আল ইসকান্দার’;পশ্চিমাগণ তা উচ্চারণ করতে পারে না বলেই তারা বলেন ‘আলেকজান্ডার’। অনুরূপ: ব্রহ্ম-ব্রহ্মা-অব্রম-আব্রাম- আব্রাহাম-ইব্রাহিম;যিসাস-যিশু-ঈছা;মোসেজ-মুছা;য্যাকোব-ইয়াকুব;যোসেফ-ইউছুফ,মাইকেল-মিখায়েল ইত্যাদি ভাষার ব্যবধানে সকল রাছুল-নবিদের নামটি পর্যন্ত আমূল পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।একই ব্যক্তির নামটি মাত্র উচ্চারণের ভিন্নতায় চেনাই সম্ভব হয় না।অতএব তাদের জীবনচরিত ও বাণী ঠিক এভাবেই কালের ব্যবধানে ধীরে ধীরে পরিবর্তন-পরিবর্ধিত হয়ে একই মনুষ্য জ্ঞাতি-গোষ্ঠির মধ্যে ঘোর বৈসাদৃশ্য মতবিরোধ সৃষ্টি করে প্রগতির পরিবর্তে গ্রহণ করেছে অধোগতি,চরম অরাজকতা আর পৈশাচিক ধ্বংসলীলা।
আজ জ্ঞানবিজ্ঞান যেভাবে প্রগতির দিকে এগুচ্ছে তাতে কতিপয় ধুরন্ধর রাজনীতিবিদগণ লোভ,হিংসা-অহঙ্কার,জবরদখল ইত্যাদি ঘৃণ্য অমানবিক উদ্দেশ্য থেকে বিরত থাকলে বিশ্ব নামের একক পরিবারের সম্মিলিত একক চাওয়া-পাওয়া চাঁদ কেন সূর্য পর্যন্ত এতদিনে মানুষের পদানত হতে পারতো।যেহেতু কোরানই বলে সৃষ্টি বা বস্তু মানেই মানুষের অধীন;মানুষ তার খলিফা।
উল্লিখিত নবিদের নামের পার্থক্য থাকলেও তারা যে একই ব্যক্তি এবং অতীত নবিদের বাণী,উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ণে পরবর্তী রাছুল-নবির আগমন তাতে কারো সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই।
প্রেরণাপ্রাপ্ত মজিবুল হকের বাণী:
আমি ব্রহ্মা আমি শিব
আমি হরি আমি কৃষ্ণ
ইন্দ্র অগাস্থ বিষ্ণু আমি
আমি শোক সন্তাপ পরিত্যক্ত।
অহিংস বুদ্ধ আশোক
সর্বাঙ্গ সুন্দর সুঠাম আমি
আল্ আমিন আহম্মদ শুদ্ধ।
তোমাদের সাথে মিলেমিশে
নাই মোর কোনো কর্ম
যেহেতু তারই পাতে
আমি বিক্রিত ধর্ম।
তোমরা মোরে কি দেখাও ভয়?
ও ভয় কম্পিত নয়
মম এ বিক্রিত হৃদয়।
কলঙ্কিনী রায় লো
কালি গঙ্গা পদ্মা গো
সতী সাধ্বী শ্রীমতি
সীতা সাবিত্রী অহল্যা ভাইগো।
ওগো ভগবান! তুমি মোরে
কেন কর না দান
নিত্য নতুন নৈবিদ্যমান?
ত্রিলোচন ত্রিলোকায়ত্ব মহাদেব আমি
আমি মহামহিম আ-মহাপরিব্যপ্ত
মম পদে সবে লীণ অহোরাত্র।
[ব্রহ্মা= ইব্রাহিম;শিব= শোয়েব;হরি= হারুন;কৃষ্ণ= মুছা;ইন্দ্র= ছোলায়মান;অগাস্থ= ইলিয়াছ;বিষ্ণু= যিশু,ঈছা;বুদ্ধ= যুলকেপলে;অশোক= ইয়াসা;সাবিত্রী= মরিয়ম;অহেল্যা= মুছার মাতা;মনু= নুহ্;মহাদেব= আদম]
(দ্র: প্রেরণাবাণী;পৃ: ৯৩;প্রে. প্রা. মজিবুল হক)
বিনীত।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:২৯