চৈতালী আবেশ ছাড়াই পুরো একটা চৈত্র কেটে যাচ্ছে বেশ
আবেশিত সময়ে, প্রকৃতির পবিত্রতায়, অফুরন্ত উদার রহমতের রেশ।
ফুরিয়ে যাবে সবকিছুই আনন্দ হাসি খেলা অভিমান,
র'বে শুধু তোমার সৎ কর্মের খেরো খাতার খতিয়ান।
মৌসুম, ফুল জলাশয় প্রকৃতি আর উষ্ণতায় ছাওয়া ছোট্ট কুঁড়েঘর
যতটুকু প্রিয়তায় চোখের তারায় ফোটায় ফুল,
ততোটাই অল্প তাকে নিজের করে পাওয়ার দিনগুলো
হুট করেই আমার করে পাওয়া' র ভাঙে ভুল।
মোহ ! সে অনেকটাই মিষ্টির রস , ডলে ডলে তাকে সরাতে চাই যত;
হাতে ততোখানি গাঢ় হয় তার উপস্থিতি অবিরত।
জন্ম আর জীবনের সব পর্বই ভেঙে ঝুরঝুর হবে বিলীন
অন্তরে অঢেল মায়া, জন্মভূমি প্রিয়জন জননী
নিয়তি আর শেষ বিচারের জাবেদা হাতে নিয়ে থাকতে হবে অপেক্ষারত।
অক্ষর সাজিয়ে সৃষ্টি কর্তার
প্রশংসা করি যে রঙে
সে কালি কালো ।
হাজরে আসোয়াদ
কাবার সে পবিত্র পাথর কালো।
যে নিজেতে সমস্ত জাহানের পাপ ধারন করে কোমল হৃদয় নিয়ে
সমস্ত পাহারের চাইতেও স্হির ! অবিচল।
কবরের অন্ধকার কালো
শেষ বিচারের দিনের পূর্বে
আমার ছোট্ট স্থায়ী কুঁড়েঘর,
সে বিবর ভাবনায় কখনো
ভয় হয়ে ধরা দেয় না,
ধরা দেয় অন্তিম এবং শেষ আশ্রয়
কবরের শাস্তি কে ভয় হয় ভীষণ, অন্ধকার কে নয়।
কারন আমার বিশ্বাসী হৃদয় পাঁথর খুঁড়ে লেখা অমলিন
সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্যে যথেষ্ট এবং তিনি কতই না উত্তম কর্ম বিধায়ক।
হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিয়ামাল ওয়াকীল।