আহা কী দারুণ চোখ শীতল করা একটা সংবাদ !!!!!! সাথে সাথে গুগোলে সার্চ দিয়ে ঘুরে এলাম এমন একজন হীরক জ্যোতি' র স্বর্ণ কন্যা' র , টুইটার , ইনস্টাগ্রাম সব গুগোল তথ্য গুলো। চায়না বন্দীশিবির থেকে পালানোর দৃশ্যের সচিত্র প্রতিবেদন, যা " How I Escaped a Chinese Internment Camp " শিরোনামে, ২৮ শে ডিসেম্বার, ২০২১ ইনসাইডার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সেই সচিত্র প্রতিবেদন অলংকরণের জন্যে এই সম্মাননা পেয়েছেন ফাহমিদা আজিম। " ইলাস্ট্রেটেড রিপোটিং এন্ড কমেন্টারি' র পুলিৎজার বিজয়ী দলের একজন এই সুকন্যা। ফাহমিদা ছাড়াও বিজয়ী দলে অ্যান্থনি ডেল কোল, জোশ অ্যাডামস এবং ইনসাইডারের ওয়াল্ট হিকি। সাংবাদিকতা এবং প্রকাশনা' র জগতে সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয় এই পুলিৎজার পুরস্কার।
পুলিৎজার এর মত মর্যাদাপূর্ব সম্মাননার এই স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে ফাহমিদা কে বেশ চড়াই উৎরাই পার করতে হয়েছে অবশ্যই। শুরু থেকে ই ভিন্নধর্মী কাজের আগ্রহ তাকে অনন্য করেছে।শিশু সাহিত্য নিয়ে প্রচুর কাজ করেছেন, মুসলিম মেয়েদের সম্পর্কে যে প্রথাগত ধারনা, সে প্রথা ভাঙার জন্য প্রথা বিরোধী কাজ করেন যে মেয়েরা তাদের নিয়ে ও কাজ করেন, এবং করেছেন।এ বছরের শুরুতে সে ধারাবাহিকতায় " সামিরা সার্ফ " বইয়ের চিত্রাঙ্কন এর জন্যে " গোল্ডেন কাইট " এ্যাওয়ার্ড জিতেছেন ফাহমিদা ।
২০২০ সালে প্রথাগত নিয়ম ভাঙার - সাহস অনুপ্রেরণা এবং দুঃসাহসিকতার গল্প নিয়ে সীমা ইয়াসমিনের রচনা এবং ফাহমিদার অলংকরণে প্রকাশিত " মুসলিম উইম্যান আর এভ্রিথিংস" বই এর জন্যে (Winner of American Book Fest's 2020 Best Book Awards in Women’s Issues) অ্যামেরিকান বুক ফেস্ট এ উইম্যান ইস্যু বিভাগে সেরা বই বিবেচনায় পুরস্কার জেতেন। ২০২১ সালে জিতেন ইন্টার ন্যাশনাল বুক এওয়ার্ড Winner of the 2021 International Book Awards। এবং ২০২১ সালে আমিরা' স পিকচারস ডে বই এর প্রচ্ছদের জন্যে পুরস্কারে ভূষিত হন।
বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসি' র সিয়াটলে বসবাস রত ফাহমিদা, বাংলাদেশ হতে ছয় বছর বয়সে মা বাবার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া তে বসবাস করতে শুরু করেন। সিয়াটলে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত আছেন। কর্ম সূত্রে ই নিজের শিল্পকে দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস,The (New York Times), এন পি আর( NPR), , গ্লামার (Glamour),সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান (Scientific American), দ্য ইন্টারসেপ্ট (The Intercept), ভাইস(Vice). এমনি সব প্রচার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
এখন পর্যন্ত যে সব তথ্য নিয়ে এ পোষ্ট সাজিয়েছি, সেসব মোটামুটি সব সংবাদ মাধ্যমেই পাওয়া যাবে, আমি নিজেও ইন্টারনেট ঘেটেই সাজিয়েছি লেখা। যেটুকু লেখা হয়নি তা হচ্ছে আমার দেখা ফাহমিদার দেশ প্রেম, একজন মুসলিম নারী হিসেবে নিজের পরিচয়ে পরিচিত হবার গর্বিত উচ্চারণ, আগ্রহ। পুলিৎজার পুরস্কারের ওয়েবসাইটে ফাহমিদা কে নিয়ে লেখা হয়েছে -
Fahmida's work centers on themes of identity, culture, and autonomy,
আমাদের কল্পকাহিনী, সাহিত্য উপন্যাসের পাতায় উঠে আসা চরিত্র যারা অসম্ভব সুন্দর একটা অতি সাধারণ জীবন যাপন করছেন অথবা আমাদের পাশেই বাস্তব জীবনে সাধারণ হয়ে ও অসাধারণ জীবন যাপন করেন ! এমন সব মানুষের জীবনের ছবি আঁকতে পছন্দ করেন তিনি। শিল্পী জীবন কে শখ থেকে কর্ম ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে পরিবারের সাথে, জীবনের সাথে! কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরেছেন এবং সার্থক হয়েছেন এ যেন এলেন দেখলেন জয় করলেন।
ফাহমিদার করা কিছু চিত্রঃ
অনেক অনেক অভিনন্দন ভালোবাসা তোমার জন্যে ফাহমিদা আজিম!
সকল তথ্যঃ উইকি পিডিয়া, এবং বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড থেকে নেয়া।
সকল ছবিঃ ফাহমিদা আজিমের ইনস্টাগ্রাম থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৬