না, এখানে রিভিউ লিখতে আসিনি। সিরিজটা দেখার পর আমি একই সাথে বিস্মিত ও হতাশ। ইন্ডিয়ান আর্টিস্টদের কাছ থেকে এমন বিশ্বমানের কাজ কল্পনাও করিনি। সত্তর-আশির দশকে বলিউড ঢালিউডের মান ছিল কাছাকাছি। নব্বইয়ের দশক থেকে খানদের হাত ধরে বলিউড এগিয়ে যেতে শুরু করে। মুম্বাইয়ের সাথে পাল্লা দেয়া শুরু করে দক্ষিণ ভারত। কলকাতা বলে আমরাই বা পিছিয়ে থাকবো কেন। সেখানে আমদের ইন্ডাস্ট্রি সামনে এগোনোর বদলে পেছনে যাচ্ছে। এককালে ঘুড্ডি, গাংচিল, মহানায়কের মতো ক্লাসিক মুভি উপহার দেয়া ইন্ডাস্ট্রিতে এখন হিরো নাম্বার ওয়ান, ভাই নাম্বার ওয়ান, বউ নাম্বার ওয়ান টাইপের মুভি বানানো হয়।
বাংলা সিনেমার পিছিয়ে পড়ার জন্য এখনো অশ্লীল যুগকে দায়ী করা হয়। বলিউডও অশ্লীলতার পাকে পড়েছিল। ২০০৫ এর পর বিপাশা বসু, ইমরান হাশমি, সেলিনা জেটলিরা বলিউড দাপিয়ে বেড়িয়েছে। সালমান খানের মত মেগাস্টারও ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন। সেখান থেকে তারা বেরিয়ে এসেছে 'মাসালা' মুভি দিয়ে। বিনোদনে ভরপুর মুভিগুলি শৈল্পিক মানে পিছিয়ে থাকলেও সহজেই দর্শক টানতে পারে। লাভজনক মুভির বাজারে এখন চোখ পড়েছে বিশ্বের বাঘা বাঘা প্রডিউসারদের। নেটফ্লিএক্স, ফক্স, ওয়ার্নার ব্রাদার্সেরা এখন ভারতীয় মুভিতে বিনিয়োগ করে।
আর আমরা এখানেও শর্টকাটে উন্নতি করার চেষ্টা চালিয়েছি। আমাদের দেশের দর্শকদের রুচি বিবেচনায় না নিয়ে ভারতীয় ফর্মুলা কপিপেস্ট করা হচ্ছে। অভিনয়ের অ না জানা কিছু মানুষকে জোর করে সুপারস্টার বানানো হচ্ছে। আমাদের আর্টিস্টরা এখন কলকাতায় অভিনয় করার জন্য হাভাতের মতো বসে থাকে। এখনো সময় আছে। সবকিছু ঢেলে সাজাতে পারলে আর প্রতিবেশিকে দেখে আফসোস করতে হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯