এক মেয়ের কোটা বিরোধী পোস্ট দেখে কমেন্ট করেছিলাম, তার তো ১০% কোটা আছে। সে কেন আন্দোলন করছে? মেয়েটা রিপ্লাই দিয়েছিল, ভবিষ্যতে যেন তার ছেলেকে বৈষম্যের শিকার হতে না হয়। এই না হলে মায়ের জাতি!
আজ পর্যন্ত কোন জাতীয় আন্দোলনে যা ঘটেনি গতকাল রাতে তাই ঘটল। নিশাচর জানোয়ারদের হাত থেকে ভাইদের বাঁচাতে ভগিনীরা হলের গেট ভেঙে রাস্তায় নেমে এল। তারাও ছেলেদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে আন্দোলন করতে জানে। অসহায়ের মতো কোটা ভিক্ষা নিতে তারা রাজি না। প্রতিযোগিতা করেই লক্ষ্যে পৌঁছাবে।
জাতীয় স্বার্থে যখন মেয়েরা ১০% নারী কোটা কুরবানি দিতে প্রস্তুত তখন কোটার স্বপক্ষে নাতিপুতিদের ম্যাওম্যাও মার্কা পোস্ট পড়ে মনে প্রশ্ন জাগে, এরা কি আসলেই জাতীয় বীরদের বংশধর? নাকি যুদ্ধের পর বাড়িতে পড়ে থাকা দোনলা বন্দুক জমা দিয়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা মুসলিম লীগ নেতাদের উত্তরসূরি? ধমনীতে যার মুক্তিযোদ্ধার রক্ত আছে কোটানির্ভরশীল হওয়ার মতো কাপুরুষ সে হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫০