যখন বিয়ে করে সঙ্গীর সাথে খুনসুটি করার বয়স তখন ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে হয়।
জগত সংসারের প্রতি যখন আগ্রহ কমতে থাকে তখন বিয়ের পিড়িতে বসিয়ে দেয়া হয়।
এরপর শুরু হয় ত্রিশের আগে একটা বাচ্চা পয়দা করার নিরন্তর চেষ্টা।
ত্রিশের পর গায়ে মেদ জমতে থাকে, ডায়াবেটিকসে ধরে, ব্লাডপ্রেসার বাড়ে, কায়িক কাজের প্রতি আগ্রহ চলে যেতে থাকে।
বোনাস হিসেবে যুক্ত হয় বাচ্চার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা।
শেষজীবনে প্রাপ্তি বছরে দুয়েকবার ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনীর সাক্ষাৎ পাওয়া।
জীবনের প্রতিটা ধাপে এসেই শুনতে হয়, এরপরের ধাপে যেতে পারলেই সুখ-শান্তি।
কিন্তু সুখের দেখা আর মেলে না।
বাঙালি মধ্যবিত্তের অভিধানে উপভোগ শব্দটা অনুপস্থিত।
কিছু গৎবাঁধা কাজ করে চিরনিদ্রা,
এইতো বাঙালির জীবন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪০