খুব ছোটোবেলায় একটা হিন্দি মুভি দেখেছিলাম গোবিন্দের। সেখানে সে উকিল থাকে এবং সবসময় মিথ্যা বলে। তো মুভির শেষের দিকে সে কেস চলাকালীন সময়ে চেয়েও মিথ্যা বলতে পারছিলো না। এবং সে কেস হেরে গিয়েছিলো।
আমার অবস্থা গোবিন্দ সাহেবের চেয়েও করুণ। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে সেটার উত্তরে যে আমি চাইলে মিথ্যেও বলতে পারি এটা আমার মাথাতেই আসে না। কেউ আমাকে প্রশ্ন করলেই আমি সরাসরি সত্যি বলে দেই আর প্রশ্নকারী যদি হয় টিচার তাহলে তো কথাই নেই,ভয়ে হাত পা ঘামতে থাকে। আমাকে যখন কেউ প্রশ্ন করে তখন কেনো যেন আমার মনে হয় যে প্রশ্নটা করছে সে সত্যিটা আগে থেকেই জানে,শুধু পরীক্ষা করছে আমাকে,মিথ্যে বললেই ধরে ফেলবে।
আজ গিয়েছিলাম এক স্কলারশিপ এর ভাইভা দিতে। ভাইভাতে টিচার আমাকে অনেক প্রশ্নই করলেন, family related ও ছিলো। আমি সবকিছুরই সত্যি উত্তর দিলাম...মিথ্যা বলার চিন্তাও করিনি পারতপক্ষে। বের হয়ে এসে যখন ফ্রেন্ডকে বললাম এই এই প্রশ্ন করেছে এই এই উত্তর দিয়েছি। তার প্রথম কথাই ছিলো 'কি দরকার ছিলো সব সত্যি বলার?? স্কলারশিপ না পেলে সেমিস্টার তো কমপ্লিট করতে পারবিনা। নিজের কথা চিন্তা করেও তো মিথ্যা বলতে পারতি? খাও ব্যাম্বু এখন। আর লাগবে না বিবিএ শেষ করা "
তারপর যখন ওই ফ্রেন্ডের টার্ন এলো সে ভিতরে গিয়ে ইচ্ছেমত মিথ্যে বলে এলো,সুস্থ সবল বাবাকে বানিয়ে দিলো Heart Attack patient এবং হাসিমুখে বেরিয়ে এসে বললো 'Sir is convinced. I'm getting the scholarship '
আরো বললো মাঝে মাঝে মিথ্যে বলিস,নাইলে ব্যাম্বুই খেয়ে যাবি সারাজীবন,সেমিস্টারের ফি কেমনে দিবি সেইটা ভাব এখন,আমিতো মুক্ত এখন।
আর কি কি যে শিখতে হবে জীবনে