আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করি- জীবনের মানে কি? এক
গাল বাঁকা হেসে হয়তো উত্তর দেবেন, না হয় দেবেন
না। হয়তো ভাবতে পারেন বিকৃত মস্তিষ্ক প্রসূত
প্রশ্ন। এমন প্রশ্নের কোন মানে হয় নাকি?
ইদানিং কেন যেন জীবনের মানে খুজেঁ ফিরি। যখন
একাকিত্ব ঘিরে ধরে, হয়তো বা চায়ের কাপে চুমুক
দিচ্ছি অথবা যখন নিঃশব্দে মোবাইলের্ কী-প্যাডের
অক্ষরগুলোর উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছি অনবরত-
ঠিক তখনই অবচেতন
মনে একটি জিজ্ঞাসা ভেসে উঠে- এই জীবনের
মানে কি? এক সময় জীবনটা অনেক রঙ্গিন মনে হতো।
ভাবতাম জীবন টা অনেক বড়, শৈশবে বড়দের
দেখে ভাবতাম ইস! যদি এদের মতো বড় হতাম!
কত্তো মজাই না হতো। যখন বড় হয়ে জীবন
যুদ্ধে মুখোমুখি হলাম- বললাম, হায়- যদি শৈশব কাল
আবার ফিরে আসত।
ফিরে আসে না দেখে নতুন
করে জীবনটাকে ভাবতে শিখি। নতুন স্বপ্ন
নিয়ে জীবনকে সাজাতে থাকি। এক সময়
মনে হলো এটাই জীবন। জীবনের অপর নাম যুদ্ধ।
পাওয়া না পাওয়ার যুদ্ধ। আমরা স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন
দেখা ভালো, স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন হলে আরো ভালো।
তাই স্বপ্ন দেখে যাই প্রতিনিয়ত। তিল তিল
করে স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে থাকি। কিন্তু
কোথা থেকে এক কাল বোশেখী ঝড়
এসে তিলে তিলে গড়ে তোলা স্বপ্নের
ফসলগুলো দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে যায়। হিংস্র হায়েনার
বিষাক্ত নখরে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় জীবন
সাজানোর সব আয়োজন। তাহলে কি লাভ হল এই ব্যার্থ
প্রচেষ্টার। যে যুদ্ধে জীবনের এতগুলো দিন
কাটিয়ে দিলাম তার কি হবে? এবার তবে কি হবে?
এক সময় ভাবতাম ইন্জিনিয়ার হবো। কিন্তু কিসের্।
জীবনের এই পর্যায়ে এসে এইচ্,এস্,সি পাস করব
কিনা তা নিয়ে-ই সন্দেহ।এক অজানা ঝড় এসে সব
তছনছ করে দিয়ে গেল সব্। জীবন পথের এক্ তৃতীয়াংশ
পার করে পেছনে ফিরে যাওয়ার তো সুযোগ নেই আর।
তবে সামনে এগুবো কি নিয়ে? একরাশ
হতাশা ফিরে ধরে আমায়। কি যেন
হারিয়ে খুজেঁ ফিরি অজানায়। সম্বিত
ফিরে এলে আবার সেই একই প্রশ্ন- এই জীবনের
মানে কি?