অনলাইন মাধ্যমে জামাল ভূঁইয়ার সাথে মার্টিনেজের যে বিশ্রি কম্পেয়ার করা হচ্ছে সেটা প্রচন্ড পরিমাণ লেইম লাগতেছে এখন।
মার্টিনেজ দেশে আসছে, অর্গানাইজারদের প্রথম যে জিনিসটা করতে হত সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্লেয়ারদের সাথে একটা ছোটোখাটো সাক্ষাৎ এর ব্যবস্থা রাখা। এই জিনিসটা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।
দ্বিতীয়ত যখন তারা জানতে পারলেন যে ক্যাপ্টেন এবং গোলরক্ষক দুইজনই উপস্থিত হয়েছেন মার্টিনেজের সাথে দেখা করার জন্য, তারা হোটেলে একটা মিটিং এর ব্যবস্থা করতে পারতেন। অথবা যে টকশোর ব্যবস্থা তারা করেছিলেন তার সামনে পিছনে একটা সময় তারা আমাদের প্লেয়ারদের জন্য দিতে পারতেন। সেটাও তারা করেন নি।
এখন কাহিনী হচ্ছে আমরা আমাদের গর্ব জামাল ভূঁইয়াকে কম্পেয়ার করা শুরু করছি মার্টিনেজের সাথে। আমাদের ক্যাপ্টেনের পেজে মিলিয়ন ভিউ মার্টিনেজের পেজে মিলিয়ন নেই, আমাদের ক্যাপ্টেনেকে লা লিগাতে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল সাক্ষাৎকার এর জন্য, আমাদের ক্যাপ্টেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে একটা বিশাল ফাইট ব্যাক দিয়ে এসেছেন, এরকম নানা কথা উঠে আসছে সামনে।
কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে মার্টিনেজ কি সরাসরি না করেছিল ক্যাপ্টেনের সাথে দেখা করার প্রস্তাবে? নাকি তার কান পর্যন্ত খবরটা পৌঁছায়নি?
নিউজ পড়ে যতদূর জানতে পারলাম মার্টিনেজ পর্যন্ত এই খবরটা পৌঁছায়নি। যদি এটা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে আমি মনে করি মার্টিনেজের সাথে তুলনা করাটা অযৌক্তিক। কারণ এই অংশে তার কোনো দোষ খুঁজে পাচ্ছিনা।
আমরা বাঙালী জাতি সস্তায় বিশ্বাসী। আমরা দেখছি যে সবাই শেয়ার দিচ্ছে, তাই আমরাও দেই। আর যেহেতু মার্টিনেজ এসব ট্রল বুঝবে না, বাংলা বুঝবে না, কে জামাল কে জিকো এসব জানবে না, তাই আমরা প্রতিবাদ হিসেবে এই নোংরা তুলনা করাটাই বেছে নিয়েছি। আমাদের উচিত ছিল যারা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে ছিল তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা। আমরা তো সেটা বলব না, কারণ আমরা ভয় পাই। আমরা আসলে প্রতিবাদ করছি না, আমরা স্রোতে গা ভাসাচ্ছি।
পুরো ঘটনাটা যে আমরা মার্টিনেজের উপর দিয়ে পার করে দিচ্ছি, আমরা কি বুঝতেছি যে এর পিছনে আসল দোষীরা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে? এর ফলাফল কি হবে জানেন? পরবর্তীতে আরেকজন বিশ্বসেরা প্লেয়ার আসবে আর আমাদের গর্বের সন্তানরা একইভাবে অপমানিত হবে।