প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে একটা সংবাদ প্রকাশ করেছিল মূলধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলামেইল ডটকম। এটাকে আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে অপরাধ। ফলে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির তিন সাংবাদিককে। তারা শ্রীঘর দেখেছেন, হ্যান্ডকাপের কঠিন বন্ধন দেখেছেন, জামিন পাওয়ার পর আইনি লড়াইয়ের হ্যাপাও ভোগ করছেন।
ওই সাংবাদিকরা এখন আইনের আওতায়। তাদের বিচার হবে, দোষী হলে সাজা পাবেন। না হলে খালাস। আইনের ভাষায় ওই সাংবাদিকদের দোষী বলতে পারি না, যতক্ষণ না আদালত থেকে তাদের সাজা দেওয়া হয়।
কেবল এখানেই শেষ নয়। কর্তাব্যক্তিদের খুশি করার জন্য এগিয়ে গেলেন বিটিসিএলের কিছু কর্মকর্তা। এক ক্লিকেই বন্ধ করে দেওয়া হলো বাংলামেইল। যদিও বিটিসিএল থেকে এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
২০ দিন হয়ে গেল। বাংলামেইল বন্ধ। প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা অনেক সাংবাদিক এখন হতাশায়, চিন্তায়। তাদের কারো সংসার আছে, ছেলে মেয়ে আছে, কারো ঘরে অসুস্থ স্বজন আছে। অথচ একটা বিশাল সাংবাদিক বাহিনীকে চিন্তার গহ্বরে ফেলে করে দেওয়া হলো কোন এখতিয়ারে? কোন আইনে?
বাংলামেইল বন্ধ। এ নিয়ে সাংবাদিক মহলেও কোনো প্রতিবাদ নেই। সবাই চুপ, অথচ এ নিয়ে আন্দোলন হওয়ার কথা, মানববন্ধন হওয়ার কথা, ব্যানার ফেস্টুনে অলি-গলি ছেয়ে যাওয়ার কথা। সবমিলিয়ে প্রতিবাদ হওয়ার কথা।
‘পা চাটা, বগলচোষা’ সাংবাদিক নেতারা বাংলামেইল পুনরায় চালু করার ব্যাপারে কোনো কথা বলেছেন কি না জানা নেই।
প্রশ্ন বাংলামেইল কবে খুলবে?
সেলুকাস দেশ, সেলুকাস সব চামচারা। এদেশে যত সহজেই সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া যায় তত সহজে জঙ্গিদের ওয়েবসাইট বন্ধ হয় না। কেউ কি খেয়াল করেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ওয়েবসাইট এখনো চলছে। অথচ বাংলামেইল বন্ধ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২