উৎসর্গ ঃ আমার জীবনে দেখা এক অসাধারন সালমান ভক্ত যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রিয় বন্ধু কামরান'কে ।।
৬ই সেপ্টেম্বর । খুব সাদামাটা একটা দিন ছিল যা নিয়ে কারো কোন আগ্রহ ছিল না। এই সাদামাটা দিনটা গত ১৮টি বছর ধরে হয়ে গেলো একটি শোকের দিন। একটি কষ্টের দিন । কারন ১৯৯৬ সালের এই দিনে আমরা হারিয়েছিলাম আমাদের চলচ্চিত্রে ধুমকেতুর মতো এসে বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকদের সবার মন জয় করা এক তরুন নায়ক'কে যার নাম সালমান শাহ । আজ তাঁর ১৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী । সালমান নেই কিন্তু আছে তাঁর স্মৃতি। আজ সেই স্মৃতি থেকে আপনাদের কিছু বলবো।
১৯৯৩ সালের রোজার ঈদে একাধিক ছবির সাথে মুক্তি পেলো সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' ছবিটি । ঈদের ছবি মানে তখন আমাদের কাছে বিরাট কিছু। কারন ঈদে সেইসময় দুর্দান্ত সব ছবি মুক্তি দেয়া হতো । শুনলাম সোহান জনপ্রিয় হিন্দি 'কেয়ামত সে কেয়ামত তক' ছবিটির রিমেক করেছেন। হিন্দি ছবিটি বাংলাদেশের দর্শকদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল এবং সেই ছবির গান তখনও শ্রোতাদের মুখে মুখে ছিল । সোহানের ছবিতে অভিনয় করছে নবাগত দুই তরুন তরুণী সালমান ও মৌসুমি । মৌসুমি কে আমরা চিনতাম 'সুন্দরী প্রিন্ট শাড়ী'র মডেল হিসেবে আর সালমানকে দেখেছিলাম 'জাগুয়ার কেডস' ও মিল্কভিটা' দুধের বিজ্ঞাপনে । অবশ্য এর আগেও সালমান'কে দেখেছিলাম হানিফ সংকেতের 'কথার কথা' অনুষ্ঠানে মাদক বিরোধী একটি গানে হানিফ সংকেতের গাওয়া 'নামটি ছিল তার অপূর্ব /বাবা মায়ের যাকে নিয়ে ছিল গর্ব'' গানটির মডেল হিসেবে । যাই হোক যেহেতু ঈদের ছবি তাই সেটা এমনিতেই দেখবো । সিলেটের বিলুপ্ত হওয়া 'মনিকা' সিনেমা হলে ঈদের প্রথম দিন থেকেই চলছিল ছবিটি। এরমধ্য ঈদের ছুটি শেষ হয়ে স্কুল খুলে গেলো। ভাবলাম এবার স্যারের বাসার কোচিং ফাঁকি দিয়ে দেখা যাবে ছবিটি । কিন্তু না,আমাকে কোন ফাঁকি দিয়ে ছবিটি দেখতে হলো না। ‘’কেয়ামত থেকে কেয়ামত’’ ছবিটির প্রশংসা পুরো নগরে রটে গেলো। ঘরে ঘরে তৈরি হয়ে গেলো ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিটি দেখার উম্মাদনা। একদিন স্কুল থেকে ফেরার পরেই আম্মা বললেন ‘’ তাড়াতাড়ি গোসল করে খেয়ে রেডি হো, তোর পাশের বাসার অ্যান্টি সহ আমরা ছবি দেখতে হলে যাবো। ‘’ শুনে আমার সেই কি লাফ, কতদিন পর পরিবারের সবাই একসাথে ছবি দেখতে যাবো । পরিবারের সবাই মিলে এর আগে সর্বশেষ ছবি দেখেছিলাম মাসুদ পারভেজ এর ‘চোখের পানি’ ছবিটি। এরপর বছরখানেকের বিরতি দিয়ে সেদিন সবাই হলে যাওয়া । কোন ছবি দেখতে যাবো সেটা তখনও জানতাম না বা জানার চেষ্টা করিনি ।কারন সবাই মিলে ছবি দেখতে যাবো এতেই আমি মহাআনন্দিত। আমাকে যখন রিক্সা/বেবিট্যাক্সি আনতে পাঠালো তখন বুঝলাম ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিটিই দেখতে যাচ্ছি। কারন মেডিকেল রোড/কানিশাইলে সিনেমা হল একটি তা হলো ‘মনিকা’। হলের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র দেখলাম দীর্ঘ যানজট কারন হলের বাহিরে দর্শকদের দীর্ঘ লাইন প্রধান সড়কে এসে ঠেকেছে এবং রাস্তার উপর অনেক দর্শকের গাড়ী পার্কিং এর কারনে যানজট । দলবেঁধে মানুষ আসছে, মনে হচ্ছে কোন জনসভায় যোগদানরত ছোট ছোট মিছিল। শেষ পর্যন্ত হলের সামনে গিয়ে আমরা ১৫ সদস্যর দল ২টি বেবিট্যাক্সি ও ১ টি রিক্সা থেকে নামলাম। মানুষের ভিড় দেখে টিকেট পাবো কিনা চিন্তায় পড়ে গেলাম। কিন্তু না, আমার ছোটচাচা আগেই টিকেট কেটে রেখেছিলেন যার কারনে আর বেগ পেতে হয়নি। হলের নীচতলায় দাঁড়িয়ে আছি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠবো বলে কিন্তু সেটাও মহাগেঞ্জাম লেগে আছে। মনে হচ্ছে পুরো শহরের মানুষ ‘মনিকা’ সিনেমা হলে ছবিটি দেখার জন্য হামলা করেছে। হলের প্রবেশদ্বারের বাহিরে দর্শকদের সাথে টিকেট কালোবাজারিদের বাকবিতণ্ডা চলছে ১৮ টাকার টিকেট কেন ৮০-১০০ টাকা তা নিয়ে। এরমাঝে লক্ষ্যকরলাম আমাদের পরিচিত আরও অনেক পরিবার ছবিটি দেখতে এসেছে। সবার মাঝে কেমন যেন একটা উৎসব উৎসব ভাব। আমার ও বড় ভাইয়ের অনেক বন্ধুরাও এসেছে পরিবারের সাথে ছবিটি দেখতে। এ যেন বিশাল এক মিলনমেলা। অবশেষে সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় হলের ভেতরে গেলাম । চোখের পলকে সবগুলো আসন পূর্ণ হয়ে গেলো । এরপর যারা আসন পায়নি তাদের জন্য হল কর্তৃপক্ষ ছোট ছোট কাঠের চেয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছিল যা হলের ভেতরে হাঁটার রাস্তাও বন্ধ করে দিলো । অর্থাৎ কাউকে যদি কোন প্রয়োজনে বাহিরে যেতে হয় তাহলে দর্শকদের ডিঙিয়ে বের হতে হবে। একটা কথা উল্লেখ্য যে সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার আর ছবিটির ২ সপ্তাহের শেষ দিন ।মজার ব্যাপার হচ্ছে সেদিনের পর কিন্তু ছবিটি হল থেকে নামানো হয়নি বরং ছবিটি চলছিল আরও ২ সপ্তাহ এবং এরপর ছবিটি আরও ২ সপ্তাহ চলে ‘কাকলি’ সিনেমা হলে অর্থাৎ টানা ৬ সপ্তাহ মুক্তির পরপরেই সিলেটে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছিল । এরপরেও এতো ভিড় তাহলে অনুমান করুন এর আগের দিনগুলোতে কেমন ভিড় ছিল । ছবি শুরু হওয়ার আগে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখলাম যা হলো আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সহ একাধিক সিনিয়র শিক্ষক শিক্ষিকা এসেছেন পরিবার সহ ছবিটি দেখতে। যে দৃশ্য আমি এর আগে ও পরে কোনদিন কোন ছবি দেখতে গিয়ে পাইনি। স্কুলে যাদের দেখে ভয়ে অন্যদিকে পালাতাম তাঁরা সবাই সামনের সারিতে । সেদিন মনে হয়েছিল হলে সিনেমা দেখা কোন অন্যায় নয়। এরপর থেকে আরও বেশি করে স্কুল পালিয়ে ছবি দেখবো । যাই হোক , নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১০ মিনিট দেরিতে ছবি শুরু হলো । ছবি এগিয়ে যাচ্ছে, রাজীব জেলে গেলেন। আবুল হায়াত সপরিবারে শহরে চলে এলেন । ছবির টাইটেল এরপর রাজীব বহুবছরের কারাভোগ শেষে জেল থেকে বেরোলেন । বেরিয়ে চলে গেলেন একমাত্র ছেলের কলেজের অনুষ্ঠানে। আড়ালে দাঁড়িয়ে ছেলে গান গাইছে বাবা বলে ছেলে নাম করবে ... যা শুনে বাবা রাজীব চোখে জল মুছছেন । এই প্রথম ছবিতে সালমানকে দেখা। মায়া ভরা চেহারার এক সুদর্শন তরুন । যাকে দেখে হলভর্তি মানুষ তালি দিয়ে উঠলো। পুরো গানটা সালমানের সাথে হলের দর্শকরা ঠোঁট মেলালো । এভাবেই অসাধারন ভাবে এক বাংলা সিনেমা পাগল ভক্তের প্রথম দেখা যা কোনদিন ভুলার নয়। সালমানের ছবি দেখতে গিয়েই যে জীবনের অভূতপূর্ব এক দৃশ্য সেদিনের সেই আমি দেখতে পেয়েছিলাম যা সারাজীবন মনে রাখতে আমি বাধ্য। কোন ছবি না হোক অনন্ত ঐ অভূতপূর্ব দৃশ্যটির জন্য হলেও সালমান’কে আমি মনে রাখবো । এই ছিল আমার একজন চিত্রনায়ক সালমান'কে প্রথম দেখার স্মৃতি।
সেদিনের পর সালমান কে আরও অনেকবার দেখেছিলাম। কখনও ‘অন্তরে অন্তরে ’ ছবির বিদেশ ফেরত জমিদারের নাতী, কখনও ‘বিক্ষোভ ’ ছবির মেধাবী কলেজছাত্র যে নষ্ট ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে প্রতিবাদী কণ্ঠ , কখনও ‘দেনমোহর ’ ছবির ভালোবাসার কাঙ্গাল জমিদারের প্রেমিক পুত্র , কখনও ‘স্নেহ ’ ছবির বাবা মায়ের আদর বঞ্চিত এক তরুন, এমনিভাবে বহুরূপে , বহু চরিত্রে। সব কিছুতেই সালমানকে ভালো লাগতো । কারন সালমান মানে যে টগবগে ফ্যাশন সচেতন তরুন । তাই সেই সময় কিশোর তরুন সহ সব বয়সি মানুষের কাছে সালমান জনপ্রিয় হয়ে উঠে । প্রতিটি ছবিতেই সালমান ছিলেন সাবলীল। সেই সময় সালমান হয়েছিল আমাদের ফ্যাশন আইকন ।
সালমানের কথা মনে হলেই আমার খুব প্রিয় এক বন্ধুর ( যাকে লিখাটি উৎসর্গ করেছি) কথা মনে পড়ে। যে ছিল আমার সিনেমা দেখার নিত্যসঙ্গীদের অন্যতম । আমাদের মাঝে সালমানের পাগল ভক্ত ছিল সে। ঐ বন্ধুটি কোনদিন সালমানের কোন ছবি একবার দেখতো না, আমরা যখন সপ্তাহের অন্য কোন নতুন ছবি দেখতে যাবো সে তখন সালমানের কোন ছবি ২/৩ য় বার দেখতে যাবে। শুধু কি তাই? সেই সময় প্রকাশিত সালমানের এমন কোন ভিউকার্ড নেই যে তাঁর কাছে ছিল না। তাঁর ড্রয়ারভর্তি শুধু সালমানের হাজার খানেক ভিউকার্ড, একাধিক পোস্টার, সালমান’কে নিয়ে লিখা বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের কপি। সালমান অভিনীত প্যাকেজ নাটক ‘নয়ন’ দেখে সে সালমানের মতো চোখ বন্ধ করে টেবিলের উপর হাত রেখে আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে ছুরি দিয়ে টেবিলে আঘাত করার কৌশল / খেলাটি রপ্ত করে ফেলে। সালমান যেদিন মারা যায় সেদিন খবরটা শুনে অনেক কেঁদেছিল আমার সেই বন্ধুটি । এরপর সালমান স্মরণে যতগুলো অদিও ক্যাসেট বের হয়েছিল সবগুলো সে কিনে কিনে সালমানের অভিনীত ছবির গান শুনতো ।
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় সালমান যদি সেই ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিটি না করে আজকের সময়ে আসতেন তাহলে কি সালমান এতো এতো ভক্তঅনুরাগী পেতেন? আমার মনে হয় পেতেন না। কারন আজ যারা মাসে /৬ মাসে একটি সিনেমা দেখে এসে ছবিটির প্রশংসা করার বদলে নানা দোষত্রুটি খুঁজে বেড়ায় এবং ‘নকল, নকল’ বলে চিৎকার করে তাঁরা কি সালমান’কে আমাদের মতো করে ভালোবাসতে পারে? সালমানের অনেক ছবি ও গান আছে নকল । এমনকি সালমান প্রথম যে ছবিতে প্লেব্যাকে গান করেছিলেন সেই প্রেমযুদ্ধ ছবির এই গানটির সুরও ছিল নকল । আমরা সেইসময়ের যারা দর্শক যারা সিনেমা হলে ছবি দেখতে যেতাম তাঁরা সবাই বাংলাদেশের ছবিকে ভালোবেসেই ছবি দেখতে যেতাম। কোন সুশিল চোখ নিয়ে ছবির ভুলত্রুটি বা নকলের দোষ ধরতে যেতাম না । আর এই কারনে সালমান খুব অল্প সময়ে হয়ে গিয়েছিল কিংবদন্তী তুল্য যার গল্প শুনে শুনে এ প্রজন্মের কিশোর তরুন দর্শকরা সালমানের ভক্ত হয়েছেন । এই কারনে আমার মনে হয় সালমান সঠিক সময়ে সঠিক দর্শকদের জন্য জন্মেছিলেন বা চলচ্চিত্রে এসেছিলেন । যার প্রতিদান সেদিনের সিনেমা দর্শকরা সালমান’কে দিয়েছে এবং চিরদিন সালমান’কে মনে করবে ভালোবেসে। সালমান বেঁচে থাক সকল বাংলাদেশি সিনেমা ভক্তদের মাঝে ।।
এক নজরে সালমান শাহ
● আসল নাম : চৌধুরী সালমান শাহরিয়ার ইমন
● জন্ম : ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১, রবিবার
● বাবা : কমর উদ্দিন চৌধুরী
● মা : নীলা চৌধুরী
● স্ত্রী : সামিরা
● উচ্চতা : ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি
● রাশি : বৃশ্চিক
● প্রথম চলচ্চিত্র : কেয়ামত থেকে কেয়ামত
● শেষ ছবি : বুকের ভেতর আগুন
● প্রথম নায়িকা : মৌসুমী
● সর্বাধিক ছবির নায়িকা : শাবনূর (১৪টি)
● মোট ছবি : ২৭টি
● বিজ্ঞাপনচিত্র : মিল্ক ভিটা, জাগুরার, কেডস, গোল্ড স্টার টি, কোকাকোলা, ফানটা।
● ধারাবাহিক নাটক : পাথর সময়, ইতিকথা
● একক নাটক : আকাশ ছোঁয়া, দোয়েল, সব পাখি ঘরে ফেরে, সৈকতে সারস, নয়ন, স্বপ্নের পৃথিবী।
● মৃত্যু : ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬, শুক্রবার
■ সালমান শাহ অভিনীত ছবির তালিকা:
ছবির নাম :: ছবি মুক্তির তারিখ ::
● কেয়ামত থেকে কেয়ামত – ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ
● তুমি আমার – ১৯৯৪ সালের ২২ মে
● অন্তরে অন্তরে – ১৯৯৪ সালের ১০ জুন
● সুজন সখী – ১৯৯৪ সালের ১২ আগস্ট
● বিক্ষোভ – ১৯৯৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর
● স্নেহ – ১৯৯৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর
● প্রেমযুদ্ধ – ১৯৯৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর
● কন্যাদান – ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ
● দেনমোহর – ১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ
● স্বপ্নের ঠিকানা – ১৯৯৫ সালের ১১ মে
● আঞ্জুমান – ১৯৯৫ সালের ১৮ আগস্ট
● মহামিলন – ১৯৯৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর
● আশা ভালোবাসা – ১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর
● বিচার হবে- ১৯৯৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি
● এই ঘর এই সংসার – ১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল
● প্রিয়জন – ১৯৯৬ সালের ১৪ জুন
● তোমাকে চাই – ১৯৯৬ সালের ২১ জুন
● স্বপ্নের পৃথিবী – ১৯৯৬ সালের ১২ জুলাই
● সত্যের মৃত্যু নেই – ১৯৯৬ সালের ৪ অক্টোবর
● জীবন সংসার – ১৯৯৬ সালের ১৮ অক্টোবর
● মায়ের অধিকার – ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর
● চাওয়া থেকে পাওয়া – ১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর
● প্রেম পিয়াসী – ১৯৯৭ সালের ১৮ এপ্রিল
● স্বপ্নের নায়ক – ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই
● শুধু তুমি – ১৯৯৭ সালের ১৮ জুলাই
● আনন্দ অশ্রু – ১৯৯৭ সালের ১ আগস্ট
● বুকের ভেতর আগুন – ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর
সৌজন্য - Radio bg24
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৪