বাংলাদেশে পুনরায় ভেজাল বিরোধী কার্যক্রম শুরু হয়েছে । বিভিন্ন পত্র পত্রিকার খবর পড়ে মনে হচ্ছে সব চেয়ে ভেজাল খাদ্য তৈরী হচ্ছে বেকারীতে এবং মাপে কম দেয়া হচ্ছে ফলের দোকানগুলিতে । কিন্তু সরকার হয়তো জানেন না সবচেয়ে ভেজাল চলছে সারের মধ্যে এবং সবচেয়ে কম দেয়া হচ্ছে এই সারের মধ্যেই ।
আমি চাকুরীর প্রয়োজনে শহরে থাকি । এই বর্ষার সময়টাতে আমন ধান রোপনের জন্য এক-দুই দিন বাড়ীতে আসতে হয় ।
আমাদের জমিতে দেয়ার জন্য যে সার ক্রয় করা হয়েছিলো সেই সারের বস্তা খুলতেই সন্ধান পাওয়া গেল অর্ধকেজি ওজনের একটি বাটখারা । ব্যাপারটি পরিষ্কার ! দোকানে বা অন্য কোথাও সার বের করে নিয়ে বস্তার মুখ সিলাই করে দিয়েছে এবং ভুলে বস্তার মধ্যে বাটখারা ছাড়া পড়েছে । সার পরিমাপ করে দেখা গেল ৪৮ কেজি অর্থাৎ ৫০ কেজির একটি বস্তাতে ২ কেজি সার কম । সারটি ছিল TSP বস্তার গায়ে লেখা গণচীন থেকে আমদানী কৃত । এর ৫০ কেজির দাম ১৬০০ টাকা সেই হিসাবে কৃষক কম পেল ৬৪টাকার সার । শুধু এই সারের বস্তায় নয় কৃষক প্রর্যায়ে যে সারগুলো বিক্রি হয় সবগুলিতেই ওজনে কম থাকে ।
তার উপর আসল MOP( মিউরেট অফ পটাস) সার পাওয়া একটি রিতিমত ভাগ্যের ব্যাপার । সবগুলোর মধ্যেই লবন । আর মিশ্র সার বলতে যা বুঝায় তা না হয়ে এর মধ্যে থাকে মূলত ইউরিয়া ও জিপসাম । কারন এই দুটি সার দামে সস্তা বিধায় কোম্পানি এই দুই প্রকার সার দিয়েই মিশ্র সার তৈরী করে । যদিও এর বস্তার গায়ে লেখা থকে MKP মিশ্রসার । ফলে মাটি ফসল উৎপাদানের ক্ষমতা হারাচ্ছে । অল্প কিছুদিনের মধ্যে এর পরিনাম হবে জটিল ও ভয়াবহ ।
এ ব্যাপারে আমি সরকারের ভেজাল বিরোধী অভিজানের তালিকায় রাসায়নিক সারকেও অন্তভুক্ত করা জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:০১