জাতি এখন এক চরম সংকটের সামনে, প্রতিদিনই রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে কোন না কোন মায়ের বুক খালি হচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হচ্ছে দেশে যেন আজ চলছে এক অঘোষিত যুদ্ধ পরিস্থিতি, যার অবনতি ঘটছে প্রতিনিয়তই।এখন কথা হল এই পরিস্থিতির জন্য দায়ি কে? দায় অনেককেই দেয়া যায় কিন্তু দায় তারই বেশি হয় যে দেশ পরিচালনা করে। মুলত দেশে এমন সংকট জনক অবস্থার শুরু হয় নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উঠিয়ে দেওয়ার ফলে, বর্তমানে এই সংকট তীব্র ভাবে তার ডালপালা মেলছে। জনগনের মতামতকে উপেক্ষা করে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কেন বাতিল করা হলো তা বুধোয় বুঝতে আর কারো বাকি নেই। এখন কথা হল এই সংকটের সমাধান কি? সমাধান একটাই সেটা হল তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনা। কিন্তু বিরোধী দল যখনই তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে সরকার তখনই সংবিধানের দোহাই দিয়ে বিরোধী দলের দাবিকে পাশ কাটিয়ে গিয়েছে। জানা মতে সংবিধান রচনা করা হয় জনতার চাহিদার কথা মাথায় রেখে আর সংবিধান এমনও নয় যে তাকে আর সংশোধন করা যাবেনা, পূর্বেও ১৫ বারের মত সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। তাহলে দেশ ও জনতার কথা বিবেচনা করা আরেকটি সংশোধনী আনতে বাধা কোথায়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে বেশ কয়েকবার বলতে শুনেছি যে উনার থেকে বড় দেশপ্রেমিক আর কেউ নেই। তাহলে দেশ ও জনতার প্রয়োজনে কেন তিনি তার দেশপ্রেমিকত্বের পরিচয় দিয়ে পুনরায় সংবিধানের সংশোধন করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন্না? আমরা বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার লোভ নেই, কারন তিনি কিছুদিন আগে এক বক্তৃতায় বলেছিলেন তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাননা, তিনি দেশে শান্তি চান। তাই উনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা উনি উনার কথার মর্যাদা রাখতে এবং দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা পুনরায় ফিরিয়ে এনে দেশ জাতিকে এই চলমান সংকট থেকে মুক্ত করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩