মৃত লাশের সারী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । সেই পলশবারী ট্র্যাজেডি থেকে শুরু করে নিমতলী, চিটাগংয়ের ফ্লাইওভার , তাজরীন ও সাভার ট্র্যাজেডি । জানিনা ভবিষ্যতে আর কোন ট্র্যাজেডি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে ? এই লেখাটি লেখার সময় টিভিতে দেখলাম ঢাকার মোহাম্মদপুরে নাকি আরেকটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে ফাটল ধরেছ । এক অনিশ্চিত জীবনের আতংকে আছে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ও সাধারন মানুষের জীবন । যাদের পত্যক্ষ অবদানে গড়ে উঠেছে এই নগর এই সভ্যতা । আর আজ তাদের জীবনের কানাকরী মূল্য নেই অর্থলোভী পিশাচ মালিকদের কাছে , তারা ৪ তলার অনুমোদন নিয়ে বানায় ৯ তলার ভবন । আর তার খেসারত দিতে হয় এই নিরীহ শ্রমিকদের আর এদিকে প্রত্যেকটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরে চলে রাজনীতিবিদদের শোক প্রকাশের প্রতিযোগীতা । তাদের এই শোক প্রকাশ করা অনেকটা জুতা মেরে গরু দান করার মতই । আমরা পলাশবারী ট্রাজেডি ভুলি নাই , আমরা তাজরিন ফ্যাশন ট্রাজেডী ভুলি নাই আর এই সাভার ট্রাজেডিও ভুলবনা ইনশাআল্লাহ । প্রতিটা ঘটনার পরেই তারা আশ্বাসের তুবরি ছুটিয়েছেন এবং এখনো নির্লজ্যের মত আশ্বাস ফেরি করে বেরাচ্ছেন কিন্তু বাস্তবায়নের বেলায় সবসময়ই কিছু নগদ বেআইনী আশরাফী পেয়ে সব কিছু ভুলে যান অনুমোদন দেন আবার কিছু বেআইনী অট্টালিকার যে অট্টালিকা বানানো হয় বিল্ডিং কোডকে বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে যার ফলে কয়েকদিন পরপর তৈরি হচ্ছে একেকটা পলাশবারী,তাজরীন ফ্যাশন অথবা সাভার ট্র্যাজেডির । উনারা বিরোধী দলকে দমন করার জন্য কোটি কোটি টাকার অস্ত্র কিনতে পারেন ,সাউন্ড গ্রেনেড কিনতে পারেন কিন্তু সাধারন জনগনের নিরাপত্তা বিধান করবার জন্য দূর্যোগ মোকাবেলার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনতে গেলে উনাদের বাজেটে ঘাটতি পরে যায় । দিনে দিনে দেনা বারিয়াছে অনেক শুধিতে হইবে ঋণ । জনগনের টাকার উছিলায় খেয়ে পরে আবার জনগনের মৃত্যুর জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী হওয়ার জন্য আমি এদেরো বিচার চাই যারা মিথ্যা আশ্বাস দিতে জানে কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে জানেনা । এরা ঠান্ডা মাথার খুনি । সকল বিল্ডিং কোড না মেনে অট্টালিকা তৈরি করা ভবন মালিক ও গার্মেন্টস মালিকদের পাশাপাশি এদেরো বিচার করা সময়ের দাবি । আজ না হয় একটা বিল্ডিং ধ্বসে পড়ায় আশে পাশের নিরাপদ মানুষের সাহায্য ও লজিস্টিক সাপোর্ট আপনারা পাচ্ছেন কিন্তু তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে থাকা এই দেশে যদি ভূমিকম্পের দরুন বড় কোন বিপর্যয় নেমে আসে তখন আপনারা কার কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করবেন ??? বার বার প্রত্যেকটা দুর্ঘটনার পরে বিশেষজ্ঞরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে শক্তিশালী করার জন্য প্রত্যেকটা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে কিন্তু প্রত্যেকটা সরকারই এই গণ দাবীকে অগ্রাহ্য করে আসছে যার ফলশ্রুতিতে সময়মত উদ্ধারকারী দল দুর্গত যায়গায় পৌছলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতীর অভাবে মানুষকে জীবিত তো দূরে থাক অনেক সময় মৃত লাশটিকেও খূঁজে পেতে ব্যার্থ হয় । তাই আমি মনে করি এটা একটা ঠান্ডা মাথার খুন আর পরোক্ষভাবে এর সহায়তাকারী দেশের কর্তাব্যক্তিরা । তাই আমি তাদেরো বিচার চাই । এটা সময়ের দাবি ।
এরা ঠান্ডা মাথার খুনি ,আমরা এদের বিচার চাই ।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর


আলোচিত ব্লগ
উপদেষ্টা' নিয়োগ দেওয়ার রীতি যেভাবে চালু হয়……
'উপদেষ্টা' নিয়োগ দেওয়ার রীতি যেভাবে চালু হয়……
রাজা তার লটবহর নিয়ে শিকারে যাবেন....
শিকার যাত্রার আগে রাজা তার আবহাওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ভূপেণ বাবুকে ডেকে জিজ্ঞাস করলেন- 'ভূপেণ, আমি শিকারে... ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা
লিবিয়ায় এক হজযাত্রীর ঘটনা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দিল—"আল্লাহর হুকুম ছাড়া কোনো কিছুই হয় না!"
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
একজন হজযাত্রী পাসপোর্ট জটিলতায় আটকে যান, ফলে তাকে ছাড়াই বিমান উড়াল দেয়। তিনি কেঁদে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত: ব্ল্যাক হর্স নাকি তুরুপের তাস?
বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শাসনকাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর যুদ্ধাপরাধ থেকে মুক্তি, এনসিপির সঙ্গে গোপন সম্পর্ক ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক—সব মিলিয়ে কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?
বাংলাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন
বড়শি
পুকুরে গোছল করা একদম নিষেধ ছিল আমার। কানের অসুখ,তাই গোছলের সময় তুলার ভেতর সামান্য নারিকেল তেল ভিজিয়ে নিয়ে দুই কানে সিপি দিয়ে গোছল করতে হতো। সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভেজাল ওষুধে সয়লাব বাজার, আটা-ময়দায় তৈরি হচ্ছে ট্যাবলেট!
জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভেজাল ও নকল ওষুধের কারবারিরা। খবর বিবিসি বাংলা।
শহর থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন