অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না। বেশ কয়েকবার প্ল্যান করেও যাওয়া হচ্ছিলোনা বন্ধুদের ব্যস্ততার কারনে। বরাবররে মতই অনেক ঝামেলা পোহাতে হল। তবে গিয়ে সবার শিডিউল মিললো এক সঙ্গে। আর আমরা তৃতীয়বারের মত ঘুরে এলাম একটি কুঁড়ি আর দুটি পাতার দেশ সিলেট। এবার শহরের কোলাহল ছেড়ে একটু নিরিবিলিতে কটা দিন দিন বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলাম। তাই এবারের ঘুরাঘুরিটা ছিল বেশ আয়েশি।
শ্রীমঙ্গলের আমতলী রিসোর্টে ছিলাম দু'রাত। চা বাগানের ভেতরে চমৎকার থাকার জায়গা। খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনও বেশ ভালো। দু'দিন কাটিয়ে গেলাম সিলেটে। জাফলং আর দেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল। জলাবনে কোমর ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি গাছের বিশাল এক ঘন জঙ্গল এই রাতারগুল। বনের ভেতরটাতে সূর্যের আলো গাছের পাতা ভেদ করে প্রবেশ করতে পারেনা। আমাদের নৌকা যখন হিজল গাছগুলো পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন টিভিতে দেখা আমাজনের কথা মনে পড়ছিল খুব। গা ছমছম করা রোমাঞ্চকর পরিবেশ। কিন্তু সৌন্দর্যে অতুলনীয়।
এরপরের গন্তব্য ছিল জাফলং। বৃষ্টি সঙ্গী করেই জাফলং পৌঁছালাম। কাকতালীয় ব্যাপার যতবারই সিলেটে গিয়েছি প্রতিবারই বৃষ্টির খপ্পরে পড়তে হয়েছে। তাই সিলেট-বৃষ্টি-আর আমাদের মাঝে বেশ ভালো সখ্য গড়ে উঠেছে। আর বৃষ্টিস্নাত সিলেটের রূপ কতটা মোহনীয় তা যারা সিলেটে থাকেন বা সিলেটে গিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন।
আর কথা বাড়াবো না। ছবি দেখুন।
আমতলী রিসোর্ট
১.
২.
৩.
আমতলী চা বাগান
৪.
৫.
৬.
৭.
৮.
৯.
১০.
আমতলী চা ফ্যাক্টরি
১১.
আমতলী রাবার বাগান
১২.
১৩.
রাতারগুল
১৪.
১৫.
১৬.
১৭.
১৮.
১৯.
২০.
জাফলং
২১.
২২.
খাসিয়া পল্লী
২৩.
আমতলী রিসোর্টে যেতে যোগাযোগ করুন:
মুবির মাহমুদ চৌধুরী: ০১৭১৩১৭৭৭৬৬, ০১৭১১৫০৫৩২২
এই রিসোর্টে দু'টি ইউনিট আছে। বড় ইউনিটের ভাড়া প্রতি রাত ৪৫০০ টাকা। বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার রাত হলে ৫৫০০ টাকা। এপ্রিল-সেপ্টেম্বর এই ভাড়ায় থাকা যাবে। এই ইউনিটে ৮ জন থাকা যাবে। অক্টোবর-মার্চ এই সময়টাতে ভাড়া আরো বেশি হয়। ছোট ইউনিটের ভাড়া আরো কম। ৪-৫ জন থাকা যায়।
রিসোর্টের আশপাশে খাবারের দোকান নেই। তাই এখঅনেই খাওয়া দাওয়া সারতে হবে। ওদের নিজস্ব কিছু মেনু আছে। খাবার আগে থেকে অর্ডার দিয়ে রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমানের খাবার, স্বাদও দারুন। বারবিকিউ এর ব্যবস্থা আছে। রেসোর্টটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং টেলিভিশন আছে। তবে টাটা স্কাইয়ের সংযোগ থাকায় কিছু ভারতীয় চ্যানেল ছাড়া আর কিছু দেখা যায়না। ফুটানো পানি বা ফিল্টার পানির ব্যবস্থা নেই। মিনারেল ওয়াটার দিয়ে কাজ চালাতে হবে। ওরাই ব্যবস্থা করে দিবে। ওদের আথিতেয়তা খুব ভালো। বাবুর্চি, কেয়ারটেকার, সিকিউরিটি গার্ড সবাই বেশ আন্তরিক।সব মিলিয়ে বেশ চমৎকার রিসোর্ট।
__________________________________________________
***আমার যত ভ্রমণ ও ছবিব্লগ***
সিলেট-মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল
একটি কুঁড়ি আর দুটি পাতার দেশে: প্রথম পর্ব (মৌলভীবাজার)
একটি কুঁড়ি আর দুটি পাতার দেশে: শেষ পর্ব (সিলেট)
মাধবপুরে বন, পাহাড় আর হ্রদের মিলনমেলায়
অপরূপ লাউয়াছড়া বনে
রাজকান্দি পেরিয়ে হামহামে
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯