সেদিন দুপুরবেলা, হাতে চায়ের
পেয়ালা
বস্তির ধারে এক টংয়ে কাটাই সময়
হেলা,
এক লোক বলছিল,
দুচোখে তার অশ্রু খেলছিল
তবু হাসি হাসি মুখ
হারাইয়া সকল সুখ
সে বলছিল :
জানিস,আমরা হয়ত ঈশ্বরের দুনিয়ার
বাইরে থাকি,
উপরে এত মেঘ ভেদ করে তার চোখ পড়ে
না,
আচ্ছা,এই শহরের কোলাহলে ঈশ্বর ও কি
তবে বধির?
দুমুঠো খাবারের আর্তনাদ তার কানে
পৌছায় না,
তবে কি ঈশ্বর আমাদের নোংরা বস্তি
ঘৃণা করেন?
তিনি বললেন চেষ্টা কর,
আমি ঝাপিয়ে পড়লাম,ঈশ্বর আমি
ঝাপিয়ে পড়লাম,
অনেকখানি ঘাম ছাড়া আর কিছুই
জোটালে না,
যাদের বললেন,বিরত থাকো,
পরক্ষনে তাদের হাতেই তুলে দিলেন
নিষিদ্ধ বস্তু,
হে ঈশ্বর,পূনর্জন্ম যদি নাই থাকে,
তবে কি আমার পাপ?
যারা দিনের বেলা গড়ে
মসজিদ,রাতে খোলে ভদকার বোতল,
সুর্যালোকে পড়ে ধর্মগ্রন্থ, রাতে
টানে নারীর আচল,
ঈশ্বর,তারাই স্বর্গে যাবে?
আমরা যারা দিনমজুর,একবেলা খাই
দুবেলা কুড়োই,ঘুমানোর আগে শুনি
সাইরেনের শব্দ
তাদের দিয়েই হবে হাবিয়া পূর্ণ?
আচ্ছা ঈশ্বর,দোজখে অভাব নেই তো?