অনেকদিন লিখিনি। আজ যখন লিখতে বসলাম মনটা অনেক খারাপ।
অনেকদিন আগে আমার মামাকে বলতে শুনেছি, বিএনপি নেতা ড. আব্দুল মঈন খান যখন এসএসসি র পরীক্ষার্থী ছিলেন তখন ঘোষণা দিয়েছিলেন 'আমিই মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করব।' তিনি না-কি তা করে দেখিয়েছেন এবং মোট ৯৯০ নম্বর পেয়েছিলেন। এতটা কনফিডেন্স থাকা স্বত্ত্বেও সেসময় ড. মঈন শতভাগ নম্বর পান নি।
আমি কখনোই যাচাই করিনি, কাহিনীটা সত্য কি না। তবে এটা সত্য শতভাগ নম্বর পাওয়া কারো পক্ষই সম্ভব নয়। তেমনি শতভাগ সৎ আমাদের এ যুগের কারো দ্বারাই সম্ভব নয়। কারণ আমাদের সমাজে কেউই মহামানব নয়। তাই আমাদের সমাজের কাউকেই শতভাগ সৎ চিন্তা করা অবশ্যই বোকামী।
এবার আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রেক্ষাপটের দিকে দৃষ্টি দেই। অনেক অনেক তাজা প্রাণ শহীদ আর অনেক অনেক মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা একটা পতাকা একটা ভূ-খন্ড পাই। সেসময় আমাদের দেশের অনেক অমানুষ সহায়তা করেছিল আমার দেশের তাজা প্রাণ হত্যায় আর মা বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করতে। তাইতো আজ দাবী উঠেছে, ঐসব অমানুষের বিচারের। আর এ বিচারের দাবী আজ জাতীয় দাবিতে রূপ নিচ্ছে। এটা যেন আমার প্রাণের দাবী, বিবেকের দাবী।
এবার আমাদের দেশের ছাত্র সংগঠনের দিকে দৃষ্টি দেই। শুরুতে ছাত্রলীগের কথায় আসি। অনেক প্রবীণ বলেন, ছাত্রলীগের কর্মকান্ড ঐ সময়ের রাজাকার, আল বদর দেরকেও হার মানায়। রাজাকার, আল বদর দের মত ছাত্রলীগ কর্মীরাও অনেক অনেক তাজা প্রাণ হত্যা করছে, আবার অনেক অনেক মা বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করছে বা নষ্ট করতে বাধ্য করছে। ছাত্রলীগের দ্বারা সংগঠিত হত্যা আর সম্ভ্রমহানীর সংখ্যা হিসেব করতে গেলে অনেক লোক নিয়েগ দিতে হবে। আবার আমার দেশের মন্ত্রীরা এদের পক্ষ নিয়ে যখন বক্তব্য দেন কিংবা পরামর্শ দিয়ে বলেন, 'নিজেরা নিজেরা মারামারি না করে বিএনপি-জামাতকে পিটাও।' তখন আমার লজ্জা লাগছে নিজেকে স্বাধীন ভাবতে।
এবার ছাত্র শিবির প্রসঙ্গে আসি। অনেক অনেক বিরুধীরাও এদের চারিত্রিক শুদ্ধতা নিয়ে মুগ্ধ। এদের দ্বার ক'জন মা বোন তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন ? এ প্রশ্নটা রইল অনেকের কাছে। তবে এদের দ্বারা যে অপরাধ সংঘঠিত হয় না, এটা ভাবা ঠিক নয়। কারণ এরা কখনোই মহামানব নয়। এদের দ্বারা অপরাধ সংঘঠিত হতেই পারে।
নিষিদ্দ ঘোষিত জেএমবি র কর্মকান্ডের সাথে ছাত্র লীগের কর্মকান্ডের তুলনা করে কেউ যদি জেএমবি কে বেশী অপরাধী মনে করেন, তবে তাদের নিকট অনুরোধ রইল যুক্তি উপস্থাপনের।
তবুও আজ আমাদের দেশের আইন শৃংখলা বাহিনীর আশে পাশেই ছাত্রলীগ কর্মীকে ঘুরতে দেখা যায়। আর এদের ছেয়ে কম অপরাধী কিংবা নিরপরাধীদের কে জেল হাজতে দেখা যায়।
কিন্তু কেন ?
কেন আজ ছাত্রলীগের কর্মীরাই দাবী তুলছে শিবির নিষিদ্ধ করার ?
অনেক অনেক প্রশ্ন ? উত্তরগুলো সবই হয়ত আপনারা জানেন।
তবুও কেন হচ্ছে এসব ?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৯:৩৯