অনেক অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনা আর নাটকীয়তার সমাপ্তিতে অবশেষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র নির্বাচনে বিজয়ী মঞ্জুর আলম মঞ্জু কে অভিনন্দন। শুভেচ্ছা।
পাশাপাশি আশা থাকবে জনগনের যে প্রত্যাশা নিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন তার প্রতিফলন দেখা যাবে নিকট ভবিষ্যত হতেই। নতুন মেয়রকে অবশ্যই ভাবতে হবে কেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে জনগন প্রত্যাখান করেছে। শুধু ভাবলেই হবে না। জনগনের প্রত্যাশার প্রতিফলন দেখাতে হবে।
আর একটি কথা, এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী মোতায়েন এ দেশের নির্বাচনের জন্য অনেক বড় ফ্যাক্টর।
আ.লী ভেবেই রেখেছে বিগত সময়ের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মহিউদ্দিন অনেক বাঘা বাঘা প্রার্থীকে পরাজিত করতে পেরেছেন। আর এখন তো দেশে আ.লী এর জোয়ার বইছে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, আ.লী মঞ্জু কে কখনোই শক্ত প্রতিধন্ধী হিসেবে নেয় নি। প্রকৃতপক্ষে মহিউদ্দিনের প্রতিপক্ষ হিসেবে মঞ্জু কখনোই মেঘা প্রার্থী বা শক্ত প্রতিধন্ধী নয়। এ নির্বাচনে আসলে জনগন মঞ্জুকে নয় ভোট দিয়েছে আ.লী এর বিরুদ্ধে। আ.লী ও তাদের অঙ্গ সংগঠন গুলোর কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে। সর্বপরি সরকারের বিরুদ্ধে। সরকারের নীতির বিরুদ্ধে। এ নির্বাচন তাই সরকারের জন্য হুশিয়ারী বার্তা হয়েই থাকল। এখন দেখার বিষয় সরকার বা সরকার গঠনকারী দল কতটা সতর্ক হয়। যত বেশী সতর্ক হবে ততই তাদের জন্যই মঙ্গল এবং অবশ্যই দেশের জন্যও।
বিগত ভোলা উপ-নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মেজর হাফিজ কে শক্ত প্রতিধন্ধী নেয়ায় সে নির্বাচনের অনেক আলোচনার পরও সেনাবাহিনী নামানো হয় নি। কারণ আ.লী জানত সেনাবাহিনী নামানো হলে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ন্ত্রনে আনতে সমস্যা সৃষ্টি হবে।
ভোলার নির্বাচনটা যদি সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে হত তবে জনগনের কাছে সরকারের কর্মকান্ডের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই তখনই করা যেত এবং সরকার আরো আগেই সতর্ক হতে পারত।
তবে এখনও অনেক সময আছে। আমরা অপেক্ষায় থাকলাম, প্রতীক্ষায় থাকলাম ভালো কিছুর জন্য ...................
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪২