একসময় আমার দারুন ঝোঁক ছিল ফটোগ্রাফীর উপর। ছবি তোলার নেশায় ক্যামেরা হাতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম। আমার ছবি তোলার নেশা যখন শেষের দিকে তখনো বাজারে ডিজিটাল ক্যামেরা আসেনি। তাই ফিক্সড্ লেন্স ক্যামেরা ও সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স (এসএলআর) ক্যামেরাই ছিল আমার ছবি তোলার একমাত্র সম্বল। জুম ও টেলি লেন্স ব্যবহার করেছি আরো পরে। ফটোতোলার নেশা এখন আমার নেই বললেই চলে। কিন্তু নেশাটা হাত বদল করে আমার বড় ছেলের হাতে যাবে সেটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু রক্তে যার ছবি তোলার নেশা তার ছেলের তা থাকবেনা সেটা কী হয়? তাই হয়তো উত্তরাধিকার সূত্রেই সেই ছবিতোলার নেশাটা এখন আমার ছেলের ভেতর। সে এখন লন্ডনে। সময় পেলেই লন্ডনের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সে ছবি তুলছে।
দেশে থাকতে সে আমার পুরোনো এসএলআর ক্যামেরাটা ব্যবহার করতো। ডিজিটাল যুগে এ্যানালগ ক্যামারা তার তেমন পছন্দ ছিলনা। তার ভীষণ শখ ছিল একটা ডিজিটাল ক্যামেরা কেনার। গত বছরের আগস্ট মাসে সে লন্ডন চলে যায়। দুটো এসএলআর ক্যামেরার একটা সঙ্গে দিতে চাইলে সে নিতে চাইলোনা। বললো, লন্ডন যেয়ে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে টাকা জমিয়ে একটা ডিজিটাল ক্যামেরা কিনবে। আর ছুটি বা অবসর পেলেই ফটোগ্রাফী করে বেড়াবে। আমি শুনে খুশীই হয়েছিলাম। বাবার শখটা সে ভালভাবেই রপ্ত করুক। লন্ডন যাবার পর থেকেই সে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডিজিটাল ক্যামেরা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছিল। ছেলে জানে আমার বরাবরের ঝোঁক “নাইকন” কিংবা “ক্যানন” ব্র্যান্ডের উপর। কিন্তু সে সেই ব্র্যান্ডের দিকে এগোয়নি। একই সুবিধে সম্বলিত আরো সস্তায় কোন ব্র্যান্ড পাওয়া যায় কিনা সেটাই সে খুঁজছিল। অবশেষে পেয়েও গেল। বরফগলার দিন শেষ হলে গত মাসে সে নিজের পছন্দমতো একটা পেন্টাক্স ২০০ডি মডেলের ডিজিটাল ক্যামেরা কিনেছে। আর সেই ক্যামেরায় ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করছে, আমাকে মেইল করছে আর জিজ্ঞেস করছে তার তোলা ছবি কেমন হলো? আমি ভাবলাম আপনাদের সাথে সেই ছবি শেয়ার করি। সবাই দেখুক সে কেমন ছবি তুলছে।
থীম : প্রকৃতি
১।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




