somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার কিছু ভাবনা ও উপলব্ধি-২

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাঝে মাঝে আমি আমার কিছু ভাবনা ও উপলব্ধির কথা একান্তে লিখে রাখি। তেমন কিছু না, স্রেফ সাময়িক কিছু একান্ত নিজস্ব ভাবনার কথা। তবে অনেক সময় সেসব ভাবনা প্রসারিত হয়ে একটি পোস্টের আকারও ধারণ করে থাকে। এসব ভাবনার প্রথম সংকলনটি এখানে প্রকাশ করেছিলাম এক বছরেরও বেশি আগে। আজ এর দ্বিতীয় সংকলনটি প্রকাশ করলাম।

প্রথম সংকলনটি দেখতে পাবেন এখানেঃ আমার কিছু ভাবনা ও উপলব্ধি-১

*পরমতসহিষ্ণুতা ‘জিনেরিক’ নয়; অনুশীলন দ্বারা তা অর্জন ও বর্ধন করতে হয়।

*শিশুদের কৌতুহলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হউন। এদের প্রশ্নের সঠিক এবং সহজবোধ্য উত্তর জানা না থাকলে তা সংগ্রহ করে জানিয়ে দিন। এদের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে কোন নিউটন, আইন্সটাইন, জাঁ-পল সার্ত্রে, বার্ট্রান্ড রাসেল, বার্নার্ড শ’ কিংবা গুন্টার গ্রাস।

*জীবনটা একটা বৃত্ত, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চলমান দিনগুলো একেকটি বিন্দু। এই বিন্দুগুলোকে যোগ করে নিয়েই এগিয়ে চলে আমাদের জীবনবৃত্তের পরিধি। যেখানে শুরু হয়েছিল, এ পথ সেখানেই এসে শেষ হবে। মাঝখানে থাকবে শুধু আমাদের ৩৬০ ডিগ্রী পথ-পরিক্রমার খতিয়ান।

*প্রার্থনা মানস সরোবর থেকে উৎসারিত একটি অদৃশ্য প্রস্রবন। কখনো কখনো তা নীরব ও শব্দশূন্যও হতে পারে। যার প্রতি এটা নিবেদিত, তিনি শব্দহীন ভাষাও বোঝেন।

*মা, মায়া, মমতা আর মানবিকতা- সবগুলোই সমার্থক শব্দ। এদের সবাইকে লালন করতে হয়, হৃদয়ে ধারণ করতে হয়।

*আগাছা ও জঞ্জাল কখনো বনের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে না। সুতরাং আপনার চারপাশে গজিয়ে ওঠা আগাছা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না; নিজেকে মেলে ধরতে থাকুন।

*সিনেমা /থিয়েটারে আমরা আমাদের নিজেদের জীবনেরই কোন খন্ডিতাংশের “পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র” দেখে থাকি। সত্যিকারের একটি “পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র” দেখার জন্য একটা পূর্ণ জীবনকালই প্রয়োজন।

*বই পড়া ছাড়া 'ইনফর্মড সোসাইটি' গড়ে ওঠে না আর সেটা গড়ে না উঠলে সমাজ সবাইকে নিয়ে পেছনে হাঁটতে থাকে।

*কষ্ট না পেয়ে কবি কিংবা সৃজনশীল শিল্পী হওয়া যায় না। কষ্ট ও সৃষ্টি নিমিত্ত ও পরিণাম (cause and effect) এর মত। সংবেদনশীল মনই কষ্ট বেশি পায়।

*জীবন থেকে প্রস্থান সহজ হয় না!

*প্রত্যুষে এবং গোধূলিতে প্রকৃতি অপরূপ শোভা ধারণ করে। সে সময়ে মানুষের মনও প্রকৃতি থেকে কিছুটা স্নিগ্ধতা আত্মস্থ করে নেয়। এর প্রকাশ ঘটে তার চিন্তায়, কথায়, আচরণে।

*মানুষের মনটা ভাটায় পানি সরে যাওয়া ভেজা বেলাভূমির মতো। হাল্কা পাখিদের হাঁটাহাঁটিতেও সেখানে আঁকিবুকি দাগ পড়ে।

*সত্যকে পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা যায় না। আমরা অনেক সময় সত্যটাকেই একটু 'আরো সত্য' করে বলতে চাই। এতে করে সেটা যে অসত্য হয়ে যায়, তা খেয়াল করিনা। কখনো ভেবে দেখিনা যে সত্যের কোন এক্সটেনশন নেই, কোন ভগ্নাংশও নেই।

*আমরা যতই সামাজিক জীব হই না কেন, আমাদের প্রত্যেকের মাঝে একটি ব্যক্তি সত্ত্বা আছে। দিনশেষে সেটাই আমাদের আশ্রয়, সেটাই আমাদের পরিচয়। তাই নিজকে চেনাটা অতীব জরুরী। নিজের ভালো মন্দ কিসে হতে পারে, তা সনাক্ত করতে হবে। নিজের শরীরকে চিনতে হবে একজন চিকিৎসকের চেয়েও নিবিড়ভাবে, মনকে চিনতে হবে একজন মনরোগ বিশেষজ্ঞের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে। প্রতিদিন অন্ততঃ কিছুটা সময় নিজের সাথে কথা বলতে হবে। জানতে হবে মনের অভ্যন্তরীণ চাহিদাগুলোর কথা। ভেবে দেখতে হবে কি কি অর্জন করতে হবে আর কি কি বর্জন করতে হবে। কোন ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে হবে আর কোন স্মৃতি ভুলে যেতে হবে। বিদ্বেষের বিষ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। কখনো ক্ষমা করতে হবে, আবার কখনো ক্ষমা চাইতে হবে নিঃশর্তে। স্রষ্টাকে অনুসন্ধান করতে হবে, তার সাথে একটা নিবিড় কমিউনিকেশন সিস্টেম গড়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি, নিজের উপর আস্থা রাখতে হবে, নিজেকে ভালবাসতে হবে। নিজেকে ভালবাসতে পারলেই অপরকে ভালবাসা যাবে।

*বাংলা ভাষায় আমার প্রিয়তম দুটো শব্দ ‘দয়া’ আর ‘ক্ষমা’। মাত্র দুটো অক্ষরের এ শব্দ দুটো একে অপরের পরিপূরক। যার হৃদয়ে দয়া আছে সে অতি সহজে ক্ষমা করতে পারে। আবার যে ক্ষমা করতে জানে তার হৃদয় দয়ায় ভরপুর থাকে। যিনি দুটোই হৃদয়ে ধারণ করেন, দেহের আকৃতিতে তিনি যতই খর্বকায় হন না কেন, মানুষের মনের আসনে তিনি অত্যুচ্চ শিখরে অবস্থান করেন।

*জীবনের গান, কলতান, যতই মধুর হোক না কেন, দিনশেষে এটা একটা করুণ মেলোডিতেই পরিণত হয়। বিষণ্ণতাও একটা মেলোডি, যা সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করে। আবার, যে কোন সৃষ্টিই স্রষ্টার জন্য আনন্দদায়ক।

*পৃথিবীতে আঁতুড় ঘরে মানূষের জন্ম-মৃত্যুর সংখ্যা যত, আঁতুড় ঘরে ভালবাসার জন্ম-মৃত্যুর সংখ্যাটা তার চেয়ে বেশি।

*নারী শুধু কন্যা জায়া জননী নয়, নারী মানব সভ্যতার ধারক ও বাহক। নারীর দু'হাত কঠিন কাজ করে চলে অহোরাত্র, যদিও আমরা নারীর হাতকে শুধু কোমল দুটো হাত হিসেবে দেখতেই ভালবাসি। নারীর গর্ভ এবং গৃহ অনাদিকাল থেকে মানব সভ্যতাকে লালন করে চলেছে এবং এতদূর এগিয়ে নিয়ে এসেছে।

*হৃদয়ে যখন ভালবাসার ঝর্না প্রবাহিত হয়, তা যতই শীর্ণ হোক, কন্ঠে তখন কোকিল বাসা বাঁধে, হাত হয় সৃষ্টিশীল, পায়ে বাজে ধ্রুপদী নিক্বণ আর তনু মন হয় বেতসী ব্যালেরিনার মত ছন্দময়।

*মানুষের "মগজ" এর সূক্ষ্ম গঠণপ্রণালী এবং এর জটিল ক্রিয়াকলাপ নিয়ে কিছুটা জানার চেষ্টা করলেই পেতে শুরু করি মহাস্রষ্টার নিপুণ, নিখুঁত কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে কিছুটা আভাস মাত্র, আর তাতেই জীবনের সঞ্চিত সকল জ্ঞান, সকল অভিজ্ঞতা শূন্যে বিলীন হতে থাকে! "তিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সপ্তাকাশ। দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখতে পাবেনা; আবার দেখ, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি? অতঃপর তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরাও, সেই দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে" – সুরাহ আল মুলক, আয়াত নং-৩ ও ৪।

*জীবন মানেই অনুপম, অনিন্দ্যসুন্দর এক সৃষ্টি। অদৃশ্য এক কারিকরের শিল্পনৈপুণ্যে সৃষ্ট নিখুঁত এক শিল্পকর্ম। মাতৃজঠরে পলে পলে পরতে পরতে বেড়ে ওঠা, সুন্দর একটা আকৃতিলাভের পর ভূমিষ্ঠ হওয়া, এর পর ধরিত্রীমাতার বুকে বেড়ে ওঠা, ঝর্নার মত এঁকে বেঁকে বয়ে যাওয়া, কোন এক নদীর সাথে মিশে মোহনার পানে ধেয়ে চলা এ সৃষ্টির কর্মচক্র। পথ পরিক্রমায় কখনো একূল ভাঙে, কখনো ওকূল। এক সময় নিজের মাঝেও ভাঙনের শব্দ শোনা যায়। মোহনায় মিশে চূর্ণিত হয়ে তার নতুন পথ পরিক্রমা শুরু হয়।

*অভিযোগ সুদৃষ্টি না পেলে তা অভিমানে পর্যবসিত হয়। অভিযোগকে তো তাও উদ্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট পৌঁছে দেওয়া যায়, তার কাছে রেখেও যাওয়া যায়। কিন্তু উদ্দিষ্ট ব্যক্তিটি সংবেংদনশীল না হলে অভিমানকে তা যায় না, অভিমানকে শুধুই বহন করতে হয়। বহন করতে করতে এক সময় মানুষ নিজের অভিমানকে হারিয়ে ফেলে, নিজেই নিজের অভিমান সম্পর্কে বিলক্ষণ বিস্মৃত হয়।

*কবিকে লালন করো; কবিতার বাগানে সহস্র ফুল ফুটবে, আকাশ বাতাস সুবাসিত হবে।

*কবিতা লেখার সময় বেশ টের পাই, কবিতার শব্দেরা অভিমানী প্রিয়জনের মত পর্দার আড়ালেই অপেক্ষা করছে। একটু আদর করে খুঁজলেই ওরা সাড়া দিয়ে কবিতায় এসে আপন আসনে বসে যায়। তাড়াহুড়া করে অন্য কিছু লেখা গেলেও, কবিতা লেখা যায় না।

*পদ্যে কথা বলা ও মন মেলে ধরা যতটা সহজ, গদ্যে ততটা নয়। তাই পদ্য ভালবাসি।

*কবিতা কবি'র হৃদয় ফুঁড়ে বের হয়। তাই কবি যেমন, কবিতাও তেমনই হবার কথা।

*ভাষার একটা নিজস্ব ওজন আছে। শুদ্ধ বানান ভাষার ওজনবাহী খুঁটি। যে কোন লেখায় ভাষা তার সেই নিজস্ব ওজন নিয়ে নির্ভার দাঁড়িয়ে থাকে ত্রুটিহীন ও শুদ্ধ বানানের উপর। বানান নড়বড়ে হলে ভাষাও নড়বড়ে হয়। অত্যধিক হলে দুটোই মুখ থুবড়ে পড়ে।

*খ্যাতি অর্জন কষ্টসাধ্য; সুখ্যাতি দুর্মূল্য। একবার বিখ্যাত হয়ে গেলে সেটাকে অটুট ধরে রাখা দুঃসাধ্য।

*সঙ্গীত ও স্মৃতি গোপনে একের সাথে অপরের গাঁটছড়া বেঁধে নেয়। মানুষ সঙ্গীত ভালোবাসে শুধু কথা ও সুরের জন্যেই নয়, তার সাথে আঁকড়ে থাকা স্মৃতির জন্যেও। সঙ্গীত ভালো লাগলে মানুষ তার সাথে সংশ্লিষ্ট স্মৃতিকে জড়িয়ে রাখে, স্মৃতি ভালো লাগলে মানুষ তাকে সংশ্লিষ্ট সঙ্গীতের আশ্রয়ে রাখে।

*চাঁদের প্রভাবে সমুদ্রে জোয়ার ভাটা হয়। চাঁদের স্নিগ্ধ আলোর প্রভাবে মুগ্ধ মানুষের বুকে কিছুটা টান লাগাটাই তো স্বাভাবিক।

*সাগরের গর্জন নিস্তব্ধতার মাঝেই শুনতে ভালো লাগে। নীরবতা প্রাকৃতিক, কোলাহল নাগরিক। এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য তো থাকতেই হবে। প্রকৃতির নিস্তব্ধতা বিঘ্নিত হলে সে এলাকাটা তার সৌন্দর্য হারায়।

*শখের কাজ হিসেবেই কবিতা শুরু হয়, পরে সেটাই কবিকে ধ্যানমগ্ন করে রাখে। মনের ভেতরে এমন ঢাক ঢোল পেটাতে থাকে যে সেটা না উগড়ানো পর্যন্ত কবির নিস্তার নেই।

*ধর্ম ও সংস্কৃতি পাশাপাশি পালনে যেখানে সংঘাতের সম্ভাবনা, পরিমিতিবোধ সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নিয়ামক। সেই পরিমিতি বোধটুকু আসে শিক্ষা, সামাজিক আচার ও জ্ঞানের মাধ্যমে। পরিবারের মুরুব্বি এবং সমাজপতিরাও সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

*নারী ও পুরুষ, উভয়ে একে অপরের আশ্রয়প্রার্থী। নারীর অবস্থানটা বাহ্যতঃ মূর্ত এবং অবভিয়াস, পুরুষেরটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রচ্ছন্ন এবং অবস্কিওর। একটা বাবুই পাখি, আরেকটা তার ঘর। দুটোর যে কোন একটি বিচ্ছিন্ন হলে শুধুই অসীম শূন্যতা...! আর দুটো একসাথে থাকলে, যতই ঝর ঝাপ্টা আসুক, সুখের সংসার....

*বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতির শোভা বড় মনোহর, বড় স্নিগ্ধ। বৃষ্টি প্রকৃতিকে এক ধরণের পবিত্রতা এনে দেয়।

*মানুষের জীবনটা ভুলে ভরা। এক সময় শ্রান্তি এসে ভ্রান্তির ভার লাঘব করে দিয়ে যায়। মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে, নতুন করে ভুল স্বপ্ন দেখে।

*মৃত্যু পতন ঠেকায়; কিন্তু পাপ মুছে দেয় না!

*এক পথ হারিয়ে যায়, অন্য পথ সামনে চলে আসে। চলার কোন শেষ নেই। যেদিন পথ চলা বন্ধ হয়ে যায়, সেদিন আর এ নিয়ে ভাবনার কোন অবকাশ থাকে না।

*ভালোবাসা, দয়া, মমতা ও মায়া- পারস্পরিক সুখী ও সমন্বিত দাম্পত্য জীবনের জন্য এসব অনুভূতি ও গুণাবলী স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের অন্তরে পোষণ এবং আচরণে প্রকাশ করা অপরিহার্য। তাহলে তারা একে অপরকে দর্শনমাত্র মানসিক প্রশান্তি অনুভব করবে। এ চারটি গুণাবলী তাদের মানসিক চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট, এবং মানসিক চাহিদা পূরণ হলে তা শারীরিক চাহিদা পূরণেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

*ভালোবাসার প্রকাশ সরব হওয়ার চেয়ে নীরবে ঘটাই শ্রেয়ঃ। নির্বাক প্রেমের অভিব্যক্তি পাঠের অভিধান হচ্ছে হৃদয়; সবাক প্রেমের পঞ্চেন্দ্রিয়।

*প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতা, স্বার্থপরতার পরিবর্তে পরার্থপরতা, ইত্যাকার গুণাবলী মানুষ অর্জন করে প্রথমতঃ পরিবারের আপনজনদের কাছ থেকে, তারপর তার শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরুদের কাছ থেকে। এসব প্রতিষ্ঠানে মানদণ্ডের কোন ব্যত্যয় ঘটলে তার প্রভাব দ্রুতই সমাজেও ছড়িয়ে পড়ে।

*'অভিমান, আদর, আবদার' -- শব্দগুলো বাঙলা ভাষার অলঙ্কার।

*মুদ্রার দু'পিঠ না থাকলে মুদ্রা চলে না।

*পাদুকা যার পায়ে, কেবলমাত্র সেই জানে কোথায় কাঁটা খোঁচায়। পাদুকা খুলে কোথায়, কখন, কিভাবে কাঁটা দূর করবে, অথবা খোঁচানো কাঁটা নিয়েই পথ অতিক্রম করবে কিনা, সেটা তার সিদ্ধান্ত। তার অনেক সীমাবদ্ধতা সম্পর্কেই পথের দর্শক অবহিত থাকে না।

*চৌর্যবৃত্তি মানুষের একটি আদি অনাচার। অনন্তকাল থেকে মানুষ এ অনাচার মোকাবিলা করে এগিয়ে চলেছে। চোর চুরি করতে প্রবৃত্ত হবেই; শত বাধা দিয়েও তাকে নিবৃত্ত করা যায় না। তাই বলে গেরস্থ ঘরের অর্গল খোলা রেখে ঘুমাতে যায় না। গেলে তাকে মাশুল গুণতে হয়। চৌর্যবৃত্তিকে ইনিয়ে বিনিয়ে সমর্থন করাও, কিংবা মৌন সমর্থন দেয়াও অনৈ্তিক, তাই অনুচিত।

*না পাওয়ার মাঝেও যে কিছু 'পাওয়া' খুঁজে পেতে পারে, তার জীবনটা শান্তির হয়, ফলে সফলও হয়।

*ভোর তো হবেই! সৌরজাগতিক নিয়মেই। নিশীথে যারা এই ভোর হওয়ার স্বপ্নটুকু দেখতে পারে, কিংবা এ আশাটার উপর ভরসা রাখতে পারে, তারাই বেঁচে থাকে। যারা তা পারে না, তারা নিশীথেই মরে যায়!

*যতদিন দেহে প্রাণ আছে, ততদিন পর্যন্ত মানুষের দু'কাঁধে ফিট করা দুটো অদৃশ্য সিসিটিভি ২৪/৭ (সার্বক্ষণিকভাবে) 'অন' থাকবে। যেদিন দেহ থেকে প্রাণবায়ু বের হয়ে যাবে, কেবল সেদিনই এই সিসিটিভি স্বয়ংক্রিয়ভাবে 'অফ' হয়ে যাবে। এই সিসিটিভিই হবে শেষ বিচারের দিনে আমাদের আমলনামার প্রামাণ্যচিত্র। এটা আমরা বেশিরভাগ মানুষ ভুলে যাই, ভুলে থাকি। যারা মনে রাখতে পারে, তারাই প্রকৃত অর্থে সফলকাম।



*My thoughts on kindness:
1. Every act of kindness, however small, remain a fixed deposit in our personal accounts. We may forget, people may ignore, but these small acts of kindnesses will come in a big way to rescue us on our 'Day of Difficulty'.

2. Those who are kind, are truly rich.

3. Those who are not kind, cannot love.

*The beauty of God's creations is spread all around; just as we may see in a little flower smiling out from a forlorn crevice or the vast multi-coloured horizon along the distant skies. It takes only discerning eyes to see and appreciate!

*A mother's love is one of its kind; irreplaceable, incomparable.

*Spare some time everyday to look at/think about Mother Nature. You will learn from her to ‘let go’, to abandon inhibitions and to release your clenched, possessive fist.

*Mediocrity is the best option in life, because it is the best form of normality! It is futile to compete for perfection; nothing is flawless in this world.
I touched ‘The Best’ milestone, however small, four times in my journey so far, but happily, that didn’t bring about any change in my mediocre life of which I am indeed proud. Nor did that arouse any interest in me to rush to participate in the 'be the best' race.
Everybody cannot see what I can with my blurred eyes, cannot feel what I can with my old, but tender heart. I am happy with that, i.e with my vision and perception.

*Children never ask stupid question like some of their elders. All their questions come from a clue which they hold in their tender minds. They are not usually convinced until they get a logical answer.

*Language is like a stream. It will flow as per its convenience. It gets updated with the passage of time.

*Happy or sad, life goes on! When it stops, there is no happiness, no sadness!

*Poets are kind of innocent lunatics in their own world. Thank God, there are still people to visit their world and appreciate their madness!


(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুগ্রহ করে অনুমতি না নিয়ে কপি-পেস্ট করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন।)




সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৯
১৭টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জ্বীন সম্পর্কে যদি আপনার ভালো জ্ঞান থাকে, আপনি বিশ্বে সবচেয়ে জ্ঞানীদের মাঝে ১ জন।

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:৩০


;
যেই স্পেসিসটা বাইওলোজীতে নেই, জু-লজিতে নেই, ইতিহাসে নেই, উহাকে আবিস্কার করেছে মুসলমান মোল্লারা; বাকী বেকুবরা ইহা নিয়ে ১টি শিল্প চালায়ে যাচ্ছে।

মুসলমানদের সবাই জ্বীন সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যের জয় চিরন্তন.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৩২

সত্যের জয় চিরন্তন.....

মানুষের বেশে ইবলিশ যখন টুপি পরা শুরু করে, ধরে নিবেন তারচেয়ে খাতারনাক আর কোন কিছু এই ধরাধামে নাই... উদাহরণ শেখ হাসিনা, শামীম ওসমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কওমী কারা?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৩৭




সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি আমার দূরে থাকা ভীষণ কাছের কেউ

লিখেছেন একাকি উনমন, ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:০৫

তুমি আমার দূরে থাকা ভীষণ কাছের কেউ,
তুমি আছো বলেই মনে খেলছে সুখের ঢেউ।
তোমার দেখা পাইনা যেন মেঘ লুকানো চাঁদ
তুমি আছো বলেই মনে ভাংছে সুখের বাঁধ।

তুমি যেন গভীর রাতের শব্দহীন এক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেগম খালেদা জিয়া মুলত তার সৌন্দর্যের জন্য এবং সংযত কথার জন্য জনপ্রিয়

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০৭

মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। তাই তো গান রচিত হয়েছে ‘ যদি সুন্দর একটা মুখ পাইতাম, সদরঘাটের পানের খিলি তারে বানাই খাওয়াইতাম। ' বেগম খালেদা জিয়া জনপ্রিয় একজন নেত্রী। কিন্তু আমার ধারণা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×