somewhere in... blog

আমার কিছু ভাবনা ও উপলব্ধি-২

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাঝে মাঝে আমি আমার কিছু ভাবনা ও উপলব্ধির কথা একান্তে লিখে রাখি। তেমন কিছু না, স্রেফ সাময়িক কিছু একান্ত নিজস্ব ভাবনার কথা। তবে অনেক সময় সেসব ভাবনা প্রসারিত হয়ে একটি পোস্টের আকারও ধারণ করে থাকে। এসব ভাবনার প্রথম সংকলনটি এখানে প্রকাশ করেছিলাম এক বছরেরও বেশি আগে। আজ এর দ্বিতীয় সংকলনটি প্রকাশ করলাম।

প্রথম সংকলনটি দেখতে পাবেন এখানেঃ আমার কিছু ভাবনা ও উপলব্ধি-১

*পরমতসহিষ্ণুতা ‘জিনেরিক’ নয়; অনুশীলন দ্বারা তা অর্জন ও বর্ধন করতে হয়।

*শিশুদের কৌতুহলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হউন। এদের প্রশ্নের সঠিক এবং সহজবোধ্য উত্তর জানা না থাকলে তা সংগ্রহ করে জানিয়ে দিন। এদের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে কোন নিউটন, আইনস্টাইন, জাঁ-পল সার্ত্রে, বার্ট্রান্ড রাসেল, বার্নার্ড শ’ কিংবা গুন্টার গ্রাস।

*জীবনটা একটা বৃত্ত, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চলমান দিনগুলো একেকটি বিন্দু। এই বিন্দুগুলোকে যোগ করে নিয়েই এগিয়ে চলে আমাদের জীবনবৃত্তের পরিধি। যেখানে শুরু হয়েছিল, এ পথ সেখানেই এসে শেষ হবে। মাঝখানে থাকবে শুধু আমাদের ৩৬০ ডিগ্রী পথ-পরিক্রমার খতিয়ান।

*জীবনে যতই ঝড় ঝঞ্ঝা আসুক, ঝড় থেমে গেলে পুনরায় জীবনের মিষ্টি মধুর গান, কলতান শোনা যায়। দিনশেষে মানুষ জীবনে মেলোডিই খুঁজে বেড়ায়, শুনতে চায়। বিষণ্নতার মাঝেও মেলোডির সুর মানুষের মনে সৃষ্টির আমেজ তৈরি করতে পারে। যে কোন সৃষ্টিই তার স্রষ্টার জন্য আনন্দদায়ক, সৃষ্টি শেষে বিষাদের মাঝেও মানুষ স্নিগ্ধ ও প্রসন্ন বোধ করে।

*প্রার্থনা মানস সরোবর থেকে উৎসারিত একটি অদৃশ্য প্রস্রবন। কখনো কখনো তা নীরব ও শব্দশূন্যও হতে পারে। যার প্রতি এটা নিবেদিত, তিনি শব্দহীন ভাষাও বোঝেন, নীরব আকুতিও শোনেন।

*মা, মায়া, মমতা আর মানবিকতা- সবগুলোই সমার্থক শব্দ। এদের সবাইকে লালন করতে হয়, হৃদয়ে ধারণ করতে হয়।

*কবিতা লেখার সময় বেশ টের পাই, কবিতার শব্দেরা অভিমানী প্রিয়জনের মত পর্দার আড়ালেই অপেক্ষা করছে। একটু আদর করে ডাকলেই ওরা সাড়া দিয়ে কবিতায় এসে আপন আসনে বসে যায়। তাড়াহুড়া করে অন্য কিছু লেখা গেলেও, কবিতা লেখা যায় না।

*নারী ও পুরুষ, উভয়ে একে অপরের আশ্রয়প্রার্থী। নারীর অবস্থানটা বাহ্যতঃ মূর্ত এবং অবভিয়াস, পুরুষেরটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রচ্ছন্ন এবং অবস্কিওর।

*আগাছা ও জঞ্জাল কখনো বনের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে না। সুতরাং আপনার চারপাশে গজিয়ে ওঠা আগাছা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না; নিজেকে মেলে ধরতে থাকুন। আগাছা হারিয়ে যাবে; আপনি টিকে থাকবেন।

*সিনেমা/থিয়েটারে আমরা আমাদের নিজেদের জীবনেরই কোন খন্ডিতাংশের “পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র” দেখে থাকি। সত্যিকারের একটি “পূর্ণদৈর্ঘ চলচ্চিত্র” দেখার জন্য একটা পূর্ণ জীবনকালই প্রয়োজন।

*বই পড়া ছাড়া 'ইনফর্মড সোসাইটি' গড়ে ওঠে না আর সেটা গড়ে না উঠলে সমাজ সবাইকে নিয়ে পেছনে হাঁটতে থাকে।

*কষ্ট না পেয়ে কবি কিংবা সৃজনশীল শিল্পী হওয়া যায় না। কষ্ট ও সৃষ্টি নিমিত্ত ও পরিণাম (cause and effect) এর মত। সংবেদনশীল মনই কষ্ট বেশি পেয়ে থাকে।

*আগমনে নিজে কাঁদো, প্রস্থানে অন্যেরা। আগমন বা প্রস্থান, জীবনে কোনটাই সহজে ঘটে না!

*প্রত্যুষে এবং গোধূলিতে প্রকৃতি অপরূপ শোভা ধারণ করে। সে সময়ে মানুষের মনও প্রকৃতি থেকে কিছুটা স্নিগ্ধতা আত্মস্থ করে নেয়। এর প্রকাশ ঘটে তার চিন্তায়, কথায়, আচরণে।

*মানুষের মনটা ভাটায় পানি সরে যাওয়া ভেজা বেলাভূমির মতো। হাল্কা পাখিদের হাঁটাহাঁটিতেও সেখানে আঁকিবুকি দাগ পড়ে।

*সত্যকে পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা যায় না। আমরা অনেক সময় সত্যটাকেই একটু 'আরো সত্য' করে বলতে চাই। এতে করে সেটা যে অসত্য হয়ে যায়, তা খেয়াল করিনা। কখনো ভেবে দেখিনা যে সত্যের কোন এক্সটেনশন নেই, কোন ভগ্নাংশও নেই।

*আমরা যতই সামাজিক জীব হই না কেন, আমাদের প্রত্যেকের মাঝে একটি ব্যক্তি সত্ত্বা আছে। দিনশেষে সেটাই আমাদের আশ্রয়, সেটাই আমাদের পরিচয়। তাই নিজকে চেনাটা অতীব জরুরী। নিজের ভালো মন্দ কিসে হতে পারে, তা সনাক্ত করতে হবে। নিজের শরীরকে চিনতে হবে একজন চিকিৎসকের চেয়েও নিবিড়ভাবে, মনকে চিনতে হবে একজন মনরোগ বিশেষজ্ঞের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে। প্রতিদিন অন্ততঃ কিছুটা সময় নিজের সাথে কথা বলতে হবে। জানতে হবে মনের অভ্যন্তরীণ চাহিদাগুলোর কথা। ভেবে দেখতে হবে কি কি অর্জন করতে হবে আর কি কি বর্জন করতে হবে। কোন ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে হবে আর কোন স্মৃতি ভুলে যেতে হবে। বিদ্বেষের বিষ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। কখনো ক্ষমা করতে হবে, আবার কখনো ক্ষমা চাইতে হবে নিঃশর্তে। স্রষ্টাকে অনুসন্ধান করতে হবে, তার সাথে একটা নিবিড় কমিউনিকেশন সিস্টেম গড়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি, নিজের উপর আস্থা রাখতে হবে, নিজেকে ভালবাসতে হবে। নিজেকে ভালবাসতে পারলেই অপরকে ভালবাসা যাবে।

*বাংলা ভাষায় আমার প্রিয়তম দুটো শব্দ ‘দয়া’ আর ‘ক্ষমা’। মাত্র দুটো অক্ষরের এ শব্দ দুটো একে অপরের পরিপূরক। যার হৃদয়ে দয়া আছে সে অতি সহজে ক্ষমা করতে পারে। আবার যে ক্ষমা করতে জানে তার হৃদয় দয়ায় ভরপুর থাকে। যিনি দুটোই হৃদয়ে ধারণ করেন, দেহের আকৃতিতে তিনি যতই খর্বকায় হন না কেন, মানুষের মনের আসনে তিনি অত্যুচ্চ শিখরে অবস্থান করেন।

*পৃথিবীতে আঁতুড় ঘরে মানুষের জন্ম-মৃত্যুর সংখ্যা যত, আঁতুড় ঘরে ভালবাসার জন্ম-মৃত্যুর সংখ্যাটা তার চেয়ে বেশি।

*প্রতিটি মানুষের মনের গহীনে বোধকরি কিছু কিছু গুপ্ত দ্রোহ সুপ্ত থাকে। সময়ে সময়ে সেগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বেশিমাত্রায় তা ঘটলে মানুষ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে এবং বড় কিছু করে ফেলতে পারে।

*নারী শুধু কন্যা জায়া জননী নয়, নারী মানব সভ্যতার ধারক ও বাহক। নারীর দু'হাত কঠিন কাজ করে চলে অহোরাত্র, যদিও আমরা নারীর হাতকে শুধু কোমল দুটো হাত হিসেবে দেখতেই ভালবাসি। নারীর গর্ভ এবং গৃহ অনাদিকাল থেকে মানব সভ্যতাকে লালন করে চলেছে এবং এতদূর এগিয়ে নিয়ে এসেছে।

*হৃদয়ে যখন ভালবাসার ঝর্না প্রবাহিত হয়, সেটা যত শীর্ণ ও সংকীর্ণই হোক, বেসুরো কন্ঠেও তখন সুর বাসা বাঁধে, সৃষ্টির উন্মাদনায় হাত কাঁপে, পায়ে চলে আসে তাল আর দেহ-মন হয় ছন্দময়। ছন্দহীন কোনকিছুই তখন ভালো লাগে না।

*মানুষের "মগজ" এর সূক্ষ্ম গঠন প্রণালী এবং এর জটিল ক্রিয়াকলাপ নিয়ে কিছুটা জানার চেষ্টা করলেই পেতে শুরু করি মহাস্রষ্টার নিপুণ, নিখুঁত কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে কিছুটা আভাস মাত্র, আর তাতেই জীবনের সঞ্চিত সকল জ্ঞান, সকল অভিজ্ঞতা শূন্যে বিলীন হতে থাকে! "তিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সপ্তাকাশ। দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখতে পাবেনা; আবার দেখ, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি? অতঃপর তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরাও, সেই দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে" – সুরাহ আল মুলক, আয়াত নং-৩ ও ৪।

*জীবন মানেই অনুপম, অনিন্দ্যসুন্দর এক সৃষ্টি। অদৃশ্য এক কারিকরের শিল্পনৈপুণ্যে সৃষ্ট নিখুঁত এক শিল্পকর্ম। মাতৃজঠরে পলে পলে পরতে পরতে বেড়ে ওঠা, সুন্দর একটা আকৃতিলাভের পর ভূমিষ্ঠ হওয়া, এর পর ধরিত্রীমাতার বুকে বেড়ে ওঠা, ঝর্নার মত এঁকে বেঁকে বয়ে যাওয়া, কোন এক নদীর সাথে মিশে মোহনার পানে ধেয়ে চলা এ সবই সৃষ্টির কর্মচক্র। পথ পরিক্রমায় কখনো একূল ভাঙে, কখনো ওকূল। মোহনায় মিশে চূর্ণিত হয়ে আবার নতুন পথ পরিক্রমা শুরু হয়।

*অভিযোগ সুদৃষ্টি না পেলে তা অভিমানে পর্যবসিত হয়। অভিযোগকে তো তাও উদ্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট পৌঁছে দেওয়া যায়, তার কাছে রেখেও যাওয়া যায়। কিন্তু উদ্দিষ্ট ব্যক্তিটি সংবেংদনশীল না হলে অভিমানকে তার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় না। অভিমানকে শুধুই বহন করে বেড়াতে হয়। বহন করতে করতে এক সময় মানুষ নিজের অভিমানকে হারিয়ে ফেলে, নিজেই নিজের অভিমান সম্পর্কে বিলক্ষণ বিস্মৃত হয়।

*কবিকে লালন করো; কবিতার বাগানে সহস্র ফুল ফুটবে, আকাশ বাতাস সুবাসিত হবে।

*পদ্যে কথা বলা ও মন মেলে ধরা যতটা সহজ, গদ্যে ততটা নয়। তাই পদ্য ভালবাসি।

*কবিতা কবি'র হৃদয় ফুঁড়ে বের হয়। তাই কবি যেমন, কবিতাও তেমনই হবার কথা।

*ভাষার একটা নিজস্ব ওজন আছে। শুদ্ধ বানান ভাষার ওজনবাহী খুঁটি। ভাষা যে কোন লেখায় তার সেই নিজস্ব ওজন নিয়ে নির্ভার দাঁড়িয়ে থাকে ত্রুটিহীন ও শুদ্ধ বানানের উপর। বানান নড়বড়ে হলে ভাষাও নড়বড়ে হয়। অত্যধিক হলে দুটোই মুখ থুবড়ে পড়ে।

*খ্যাতি অর্জন কষ্টসাধ্য; সুখ্যাতি দুর্মূল্য। একবার বিখ্যাত হয়ে গেলে সেটাকে অটুট ধরে রাখা হয়তো সম্ভব, তবে দুঃসাধ্য।

*সঙ্গীত ও স্মৃতি গোপনে একের সাথে অপরের গাঁটছড়া বেঁধে নেয়। মানুষ সঙ্গীত ভালোবাসে শুধু কথা ও সুরের জন্যেই নয়, তার সাথে আঁকড়ে থাকা স্মৃতির জন্যেও। সঙ্গীত ভালো লাগলে মানুষ তার সাথে সংশ্লিষ্ট স্মৃতিকে জড়িয়ে রাখে, স্মৃতি ভালো লাগলে মানুষ তাকে সংশ্লিষ্ট সঙ্গীতের আশ্রয়ে রাখে।

*চাঁদের প্রভাবে সমুদ্রে জোয়ার ভাটা হয়। চাঁদের স্নিগ্ধ আলো কিংবা নিকষ কালো আঁধারের প্রভাবে ভাবুক মানুষের বুকেও তো জোয়ার ভাটার কিছুটা ছোঁয়া লাগতেই পারে।

*সাগরের গর্জন নিস্তব্ধতার মাঝেই শুনতে ভালো লাগে। নীরবতা প্রাকৃতিক, কোলাহল নাগরিক। এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য তো থাকতেই হবে। প্রকৃতির নিস্তব্ধতা বিঘ্নিত হলে সে এলাকাটা যতই বিরান হোক, কোলাহলে পরিণত হয়।

*শখের কাজ হিসেবেই কবিতা শুরু হয়, পরে সেটাই কবিকে ধ্যানমগ্ন করে রাখে। মনের ভেতরে এমন ঢাক ঢোল পেটাতে থাকে যে সেটা না উগড়ানো পর্যন্ত কবির নিস্তার নেই।

*ধর্ম ও সংস্কৃতি পাশাপাশি পালনে যেখানে সংঘাতের সম্ভাবনা, পরিমিতিবোধ সেখানে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রক। সেই পরিমিতি বোধটুকু আসে শিক্ষা, সামাজিক আচার ও জ্ঞানের মাধ্যমে। পরিবারের মুরুব্বি এবং সমাজপতিরাও সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

*বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতির শোভা বড় মনোহর, বড় স্নিগ্ধ। বৃষ্টি প্রকৃতিকে এক ধরণের পবিত্রতা এনে দেয়।

*মানুষের জীবনটা ভুলে ভরা। এক সময় শ্রান্তি এসে ভ্রান্তির ভার লাঘব করে দিয়ে যায়। মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে, নতুন করে ভুল স্বপ্ন দেখে।

*মৃত্যু পতন ঠেকায়; কিন্তু পাপ মুছে দেয় না!

*এক পথ হারিয়ে যায়, অন্য পথ সামনে চলে আসে। চলার কোন শেষ নেই। যেদিন পথ চলা বন্ধ হয়ে যায়, সেদিন আর এ নিয়ে ভাবনার কোন অবকাশ থাকে না।

***ভালোবাসা, দয়া, মমতা ও মায়া- পারস্পরিক সুখী ও সমন্বিত দাম্পত্য জীবনের জন্য এসব অনুভূতি ও গুণাবলী স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের অন্তরে পোষণ এবং আচরণে প্রকাশ করা অপরিহার্য। তাহলে তারা একে অপরকে দর্শনমাত্র মানসিক প্রশান্তি অনুভব করবে। এ চারটি গুণাবলী তাদেরকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সমৃদ্ধ করে।

*ভালোবাসার প্রকাশ সরব হওয়ার চেয়ে নীরবে ঘটাই শ্রেয়ঃ। নির্বাক প্রেমের অভিব্যক্তি পাঠের অভিধান হচ্ছে শুধুমাত্র হৃদয়; সবাক প্রেমের পঞ্চেন্দ্রিয়।

*প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতা, স্বার্থপরতার পরিবর্তে পরার্থপরতা, ইত্যাকার গুণাবলী মানুষ অর্জন করে প্রথমতঃ পরিবারের আপনজনদের কাছ থেকে, তারপর তার শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরুদের কাছ থেকে। এসব প্রতিষ্ঠানে মানদণ্ডের কোন ব্যত্যয় ঘটলে তার প্রভাব দ্রুতই সমাজেও ছড়িয়ে পড়ে।

*'অভিমান, আদর, আবদার' -- শব্দগুলো বাঙলা ভাষার অলঙ্কার।

*মুদ্রার দু'পিঠ না থাকলে মুদ্রা চলে না।

*পাদুকা যার পায়ে, কেবলমাত্র সেই জানে কোথায় কাঁটা খোঁচায়। পাদুকা খুলে কোথায়, কখন, কিভাবে কাঁটা দূর করবে, অথবা খোঁচানো কাঁটা নিয়েই পথ অতিক্রম করবে কিনা, সেটা তার সিদ্ধান্ত। তার অনেক সীমাবদ্ধতা সম্পর্কেই পথের দর্শক অবহিত থাকে না।

*চৌর্যবৃত্তি মানুষের একটি আদি অনাচার। অনন্তকাল থেকে মানুষ এ অনাচার মোকাবিলা করে এগিয়ে চলেছে। চোর চুরি করতে প্রবৃত্ত হবেই; শত বাধা দিয়েও তাকে নিবৃত্ত করা যাবে না। তাই বলে গেরস্থ ঘরের অর্গল খোলা রেখে ঘুমাতে যায় না। গেলে তাকে মাশুল গুণতে হয়। চৌর্যবৃত্তিকে ইনিয়ে বিনিয়ে সমর্থন করাও, কিংবা মৌন সমর্থন দেয়াও অনৈতিক, তাই অনুচিত।

*না পাওয়ার মাঝেও যে কিছু 'পাওয়া' খুঁজে পেতে পারে, তার জীবনটা শান্তির হয়, ফলে সফলও হয়।

*ভোর তো হবেই! সৌরজাগতিক নিয়মেই। নিশীথে যারা এই ভোর হওয়ার স্বপ্নটুকু দেখতে পারে, কিংবা এ আশাটার উপর ভরসা রাখতে পারে, তারাই বেঁচে থাকে। যারা তা পারে না, তারা নিশীথেই মরে যায়!

*যতদিন দেহে প্রাণ আছে, ততদিন পর্যন্ত মানুষের দু'কাঁধে ফিট করা দুটো অদৃশ্য সিসিটিভি ২৪/৭ (সার্বক্ষণিকভাবে) 'অন' থাকবে। যেদিন দেহ থেকে প্রাণবায়ু বের হয়ে যাবে, কেবল সেদিনই এই সিসিটিভি স্বয়ংক্রিয়ভাবে 'অফ' হয়ে যাবে। এই সিসিটিভিই হবে শেষ বিচারের দিনে আমাদের আমলনামার প্রামাণ্যচিত্র। এটা আমরা বেশিরভাগ মানুষ ভুলে যাই, ভুলে থাকি। যারা মনে রাখতে পারে, তারাই প্রকৃত অর্থে সফলকাম।

*নিষ্ঠাবান পাঠকদের নিকট বই হারানোর বেদনা অনির্বচনীয়।

*এ দেশে রাজনীতির একটা বড় সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিক দল সমূহের অসাড় কিংবা দুর্বল নেতৃত্ব। নেতৃত্ব যোগ্য না হলে সংগঠন পোক্ত হবে কিভাবে? তখন ক্ষমতার কামড়াকামড়ি এবং চাঁদাবাজির ভাগ-বাটোয়ারাই মুখ্য হয়ে ওঠে। এই সমস্যার সমাধান হবে তখনই, যখন দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক কাঠামো পোক্ত হবে। তৃণমূল থেকে মগডাল পর্যন্ত স্তরে স্তরে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।


*The beauty of God's creations is spread all around; as we may see in a little flower smiling out from a forlorn crevice or in the vast horizon along the distant skies that looks like a painting by an unseen artist. It takes only discerning eyes to see and appreciate!

*A mother's love is one of its kind; irreplaceable, incomparable.

*Spare some time everyday to look at and think about Mother Nature. You will learn from her to ‘let go’, to abandon inhibitions and to open and release your clenched, possessive fist.

*Mediocrity is the best option in life, because it is the best form of normality! It is futile to compete for perfection; nothing is flawless in this world, so nothing is absolutely perfect.

I touched ‘The Best’ milestone, however small, four times in my journey so far, but happily, that didn’t bring about any change in my mediocre life of which I am indeed proud. Nor did that arouse any interest in me to rush to participate in the 'be the best' race, unless it came naturally.

Everybody cannot see what I can with my blurred eyes, cannot feel what I can with my old, but tender heart. I am happy with that, i.e with my vision and perception.

*Children never ask stupid question like some of their elders. All their questions come from a clue which they hold in their tender minds. They are not usually convinced until they get a logical answer.

*Language is like a stream. It will flow as per its convenience. It gets updated with the passage of time.

*Happy or sad, life goes on! When it stops, there is no happiness, no sadness!

*Poets are kind of innocent lunatics in their own world. Thank God, there are still people to visit their world and appreciate their madness!

*Nature's cycles are almost inviolable. Whatever little violations are seen at times, are due to nature's own adjustments.

*I like lime, I like light,
Yet I do not like
To be in limelight.

(সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুগ্রহ করে অনুমতি না নিয়ে কপি-পেস্ট করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন।)




সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০২
১৭টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক কনফ্লিক্ট জোনে পরিণত করলো ড. ইউনুসের অবৈধ দখলদাররা ‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:২১



শেষ পর্যন্ত ড.ইউন তার আন্তর্জাতিক সক্ষমতা প্রদর্শন করে দেখালেন! উনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কখনোই কোন কাজ করেননি ।আমাদের কোনো দুর্যোগে কখনো পাশে দাঁড়িয়েছেন তার কোনো দৃষ্টান্ত নেই । যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অভাবে বিড়ালের দিকে ঝুঁকছি?

লিখেছেন মুনতাসির, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৩১



আজকাল আমরা অনেকেই বিড়ালের প্রতি এক অদ্ভুত মায়া অনুভব করি। কেউ হয়তো একা থাকে, কেউ হয়তো ব্যস্ততার ভিড়ে হারিয়ে গেছে। কারও জীবনজুড়ে সম্পর্কের ভাঙাগড়া, কারও আবার ক্লান্তি—মানসিক আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুনাজাত

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৫

ধরতে ধরতে হয়না ধরা,
ফসকে গেল শেষে।
মান-অভিমান দিলাম ঝেড়ে,
তোমার কাছে এসে।

ঠকতে ঠকতে যায়নি ঠেকা,
অতলে গেলাম ভেসে।
ধূলির মতো জীবন হেসে যায়,
তোমায় ভালোবেসে।

কত শতবার পাশ কেটে যাই,
অবহেলার মন ঠেসে।
হোঁচট খেলেই ফের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত একটি মানবিক দেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৮



যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আমরা ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
ভারতের মানুষের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। আমরা বাংলাদেশি তোমরা ভারতীয়। আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই। ভারতের বাংলাদেশের সাথে সাংস্কৃতিক,... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:০৪


আজ বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়ায় এমনটাই বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এমন বক্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন বাংলাদেশ কি তবে মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×