ভোরের বেলা শুয়ে শুয়ে শয্যা ত্যাগের আগেই শুনি
জানালাটার বাহির পাশে বাকুম বাকুম হর্ষধ্বনি।
উইন্ডো এসি’র বাহিরটাতে পায়রাগুলোর এসে বসা
না দেখলেও দেখতে পারি ওদের গভীর ভালবাসা।
আগের রাতে বারান্দাতে ছিটিয়ে রাখা ভাতের পাতে
সাত সকালে বুলবুলি আর শালিক এসে খাওয়ায় মাতে।
চড়ুইগুলোর পেট ছোট খুব, খাওয়ার চেয়ে নাচে বেশী
এখন টুনটুনিটা থাকলে কাছে হতো সে আজ কত্ত খুশী!
সকাল দুপুর বিকেল বেলায় পাখিগুলো রোজই আসে
দিন শুরু হয় পাখি দেখে, এমন ভাগ্য কার বা আছে?
পাখির ভাষা না বুঝলেও বুঝতে পারি তাদের আমোদ
ওদের নাচানাচি ডাকাডাকি এখন আমার নিত্য প্রমোদ।
(পাখি ও প্রকৃ্তি একে অপরকে অপার সৌন্দর্যে ভরে রাখে। মানুষ স্বভাবজাত প্রবৃত্তিতে উভয়কে ভালবাসে।)
ঢাকা
০৯ অক্টোবর ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
পেট ভরে পানাহারের পর বারান্দার রেলিঙে বিশ্রামরত দুটি বুলবুলি পাখি। সহজাত নিরাপত্তাবোধ থেকে দু'জনা দু'মুখী।