হারিয়ে যাওয়ার ১০ দিন পর থাইল্যান্ডের দুর্গম এক গুহার গভীরে খুজে পাওয়া কিশোর ফুটবল দলের প্রথম ছবিটি যা সারা বিশ্বে ঝড় তুলেছে।
এই সেই ভয়ংকর থাম লুয়াং গুহা মুখ যেখানে ২৩শে জুন বিকেলে সামান্য খাবার নিয়ে প্রাকটিস শেষে বসেছিল ক্ষুদে ফুটবল দলের ১৩ জন
তিনজন অস্ট্রেলীয় উদ্ধারকর্মী যারা গুহার ভেতরে তৃতীয় চেম্বারে অবস্থান করছিল তারা নাম না প্রকাশ করার শর্তে আজ বুধবার গার্ডিয়ান পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন কালকের সেই বিশাল অর্জন কি ভাবে এক বিরাট বিপর্যয়ের সন্মুখীন হতে যাচ্ছিল। তাদের কাছ থেকে জানা যায় থাম লুয়াং গুহা থেকে শেষ ব্যক্তি ওয়াইল্ড বোরের কোচকে উদ্ধারের ঘন্টা খানেক পর গুহার ১.৫ কিমি ভেতর থেকে উদ্ধারকর্মীরা সব কিছু পরিস্কার করে বের করে নিয়ে আসছিলো। এসময় অস্ট্রেলীয় তিন জন উদ্ধারকর্মী হঠাৎ করেই গুহার ভেতর থেকে লোকজনের চিৎকার এবং সরু পথ দিয়ে দ্রুত এগিয়ে আসা হেড লাইটের আলো দেখতে পান। তারা আরো দেখেন যে এগিয়ে আসা উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত একটি নিরাপদ যায়গায় ওঠার চেষ্টা করছে । তাদের মুখ থেকে সেই তিন অস্ট্রেলিয়ান জানতে পারেন যে গুহার ভেতরে এতদিন ধরে অনবরত পানি সেচতে থাকা সবচেয়ে বড় পাম্পটি নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে গুহার ভেতরে দ্রুত পানি বাড়ছিল যা খালি চোখেই দেখা যাচ্ছিল । অবশেষে এক ঘন্টার মধ্যেই ছেলেদের সাথে থাকা ডাক্তার হ্যারিস ও থাই সীলের তিন সদস্য সহ প্রায় ১০০ উদ্ধারকর্মীরা সবাই নিরাপদে গুহা থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয় ।
ডুবুরীর পোশাকে বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান ডাক্তার রিচার্ড হ্যারিস
তবে এই বিশাল আনন্দটি ডাক্তার হ্যারিসের জন্য বেশিক্ষন স্থায়ী হয়নি । তার কারন এর অল্প কিছু পরেই তিনি তার পিতার আকস্মিক মৃত্যুর কথা জানতে পারেন। ফলে দ্রুত তাকে দেশে ফেরার প্লেন ধরতে হয়।
গুহা থেকে সবার শেষে বের হয়ে আসা অস্ট্রেলীয় ডাক্তার ও তিন থাই নেভী সীলের সদস্য যারা বাচ্চাদের খুজে পাওয়ার পর থেকে সর্বক্ষন তাদের সাথে ছিলেন
সারা বিশ্ব জুড়ে পারমানবিক শক্তির অধিকারী দেশগুলোর ক্ষমতাধর নেতাদের যতই হুংকার উঠুক, যতই অস্ত্রের ঝনঝনানীর আওয়াজ শোনা যাক দিক বিদিকে,মানবতা এখনো দুনিয়া থেকে উধাও হয়ে যায়নি সেটাই প্রমানিত হলো থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং গুহায় ১৭ দিন ধরে আটকে থাকা ক্ষুদে ফুটবলারদের উদ্ধারের ঘটনা থেকে। সাধারন মানষের মাঝে যে একে অপরের জন্য মমত্ববোধ আজও রয়েছে। তার প্রমান উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসতে দেশ বিদেশের সুদক্ষ উদ্ধারকর্মীরা এক মুহুর্ত দেরী করেনি।
যার একটি উদাহরন প্রাক্তন থাই এলিট বাহিনীর সদস্ সানাম গুনান যিনি জীবন দিয়ে মানবতার প্রতি ভালোবাসার প্রমান দিয়ে গেল।
অসম্ভব প্রতিকুল প্রকৃতির সাথে লড়াই করে উদ্ধারকর্মীরা ছিনিয়ে এনেছে গুহায় আটকে থাকা ১৩ জন ফুটবল খেলোয়ারকে যার মাঝে বিশ্বখ্যাত মেসি বা রোনালদোরা নেই, আছে রাজধানী শহর থেকে কয়েকশ মাইল দুরের নাম না জানা অখ্যাত এক পাড়ার ক্লাবের ক্ষুদে ফুটবলাররা।
উদ্ধারপ্রাপ্ত তের জনই হাসপাতালে আছে, তাদের ভেতর সামান্য জ্বর ও কাটাছেড়া তেমন কোন কঠিন অসুখের আলামত পাওয়া যায়নি। তাদের এক সপ্তাহের মত পর্যবেক্ষনে রাখা হবে। ফলে ফিফা প্রধানের আমন্ত্রন রক্ষা করা সম্ভব হলো না। তবে আগামী সিজনে ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেডের আমন্ত্রন রক্ষা করতে পারবে হয়তো ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলা দেখে ও খেলে ।
তাদের সবার প্রতিই রইলো আমাদের অভিনন্দন ও শুভকামনা ।
সর্বশেষ আপডেট ১০ ই জুলাই রাত ৮টা ৫৫ মিনিট
একজন ডাক্তার সহ নেভী সীলের তিন সদস্য যারা এ কদিন কিশোর ফুটবল দলের সাথে গুহায় ছিল তারাও দু মিনিট আগে গুহা থেকে বের হয়ে এসেছে। এরই সাথে সমাপ্তি ঘটলো এক অবিশ্বাস্য উদ্ধার অভিযান যা উদ্ধারকর্মীদের কাছেও বিজ্ঞান নাকি মির্যাক্যল না কি সেটাই ভাবনার বিষয় !!
সফল অভিযান শেষ হওয়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নেতৃবর্গ থেকে শুরু করে আপামর জনগন কিশোর ফুটবল দল ও উদ্ধারকর্মীদের অভিনন্দনের স্রোতে ভাসিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন বার্তায়। এর মধ্যে আছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, বৃটিশ প্রথান মন্ত্রী থেরেসা মে, জার্মানীর চ্যন্সেলার এঞ্জেলা মার্কেল, আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী, ফিফা প্রধান, ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড ক্লাব, আমেরিকান ধনকুবের এলোন মাস্ক যিনি উদ্ধার কাজে সাহায্যের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন এছাড়াও আরো আরো অনেকেই। তবে এরই ফাকে উদ্ধার কাজে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এসে প্রান দেয়া থাই নেভী সীলের প্রাক্তন সদস্য সামান কুনানকে স্মরন করতে ভুলে যাননি অনেকেই ।
একজন ডাক্তার সহ নেভী সীলের যে তিন জন সদস্য কিশোর ফুটবলারদের সাথে ছিল তাদের বের না হয়ে আসা পর্যন্ত প্রার্থনা করতে থাই নেভী সীল তাদের ফেসবুক পেইজে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে। তারা তাদের ফেসবুকে আরো লিখেছে “We are not sure if this is a miracle, a science, or what. All the thirteen Wild Boars are now out of the cave,”
মাত্র ২ মিনিট আগে অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬টায় গুহার ভেতর থেকে কোচ এক্কাপোলকে বের করে নিয়ে আসার সাথে সাথেই সাফল্যের সাথে শেষ হলো রুদ্ধশ্বাস এক দুধর্ষ উদ্ধার অভিযান যা শুধু থাইল্যান্ডই নয় বিশ্বের ইতিহাসের অংশ হিসেবেই লেখা থাকবে ।
ব্রেকিং নিউজ সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিট
গুহায় আটকে পরা শেষ ছেলেটিকেও এই মুহুর্তে বের করে নিয়ে আসা হলো । অত্যন্ত জটিল ও দীর্ঘ এই অভিযানের মাধ্যমে মোট ১২ জনকে উদ্ধার করা হলো । এখন শুধু রইলো তাদের কোচ। নবম ছেলেটিকে এম্বুলেন্স করে ৬০ কিমি দুরের হাসপাতালে পাঠানো হলেও ১০ ও ১১ নম্বর ছেলে দুটোকে হেলিকপ্টারে পাঠানো হয়।
সর্বশেষ আপডেট বিকাল ৫টা ২ মিনিট
থাই নেভী সীলের সদস্যরা জানিয়েছেন আজকের মধ্যেই ওয়াইল্ড বোর ফুটবল দলের সদস্যদের একত্রীত করা হবে। স্থানীয় সংবাদ থেকে নিশ্চিন্ত হওয়া গেল যে সবশেষে উদ্ধার করা ১১তম ছেলেটিই হচ্ছে ওয়াইল্ড ফুটবল দলের কনিষ্ঠতম সদস্য। তার বিশাল নাম Chanin Wiboonrungruen এর চেয়ে ডাক নাম টাইটান বলাই সহজ । পাচ বছর ধরে ফুটবল খেলা ১১ বছরের টাইটান তিন বছর আগে স্কুল ক্লাবে নাম লেখানোর পর ওয়াইল্ড বোর ক্লাব তাকে তাদের ক্লাবের হয়ে খেলতে আমন্ত্রন জানায়।
সর্বশেষ আপডেট বিকাল ১০ই জুলাই ৪টা ৪৫ মিনিট
উদ্ধার হলো আরো একজন। মোট উদ্ধার ১১ জন। ধারনা করা হচ্ছে উদ্ধারকৃত ছেলেটি ফুটবল টিমের বছর ১১ র সবচেয়ে ছোট সদস্য। তবে সংবাদটি এখনো নিশ্চিত নয়। এই মাত্র পাওয়া খবরে আরো জানা গেলো থাই প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রায়ুথ চান ওচা বলেছেন ছেলেদের বের করে আনার জন্য অজ্ঞান করার কোন ঔষধ ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার করা হয়েছে উৎকন্ঠা দূর করার ঔষধ যা নাকি সে নিজেও নিয়ে থাকে গুলি চালানোর সময় ।
তথ্যসুত্র গার্ডিয়ান
সর্বশেষ আপডেট ১০ই জুলাই বিকাল ৩টা ৪৪ মিনিট
এই মাত্র পাওয়া খবরে জানা যায় আরো দুজনকে গুহা থেকে স্ট্রেচারে করে বের করে আনা হয়েছে। তবে যথারীতি তাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। এই নিয়ে ওয়াইল্ড বোর ফুটবল দলের কোচ সহ তেরোজন সদস্যের ভেতর মোট ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলো
তথ্যসুত্র রয়টার
সর্বশেষ আপডেট দুপুর ১০ই জুলাই ১২টা ২৫ মিনিট
তৃতীয় ও শেষ দিনের মত উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৮ মিনিটে।। আজকের ভেতরেই বাকি ৫ জনকে বের করে নিয়ে আসার কথা ঘোষনা করেছেন উদ্ধার কাজের প্রধান সমন্বয়কারী চিয়াং রাই এর প্রাক্তন গভর্নর নারংসাক। গুহায় থাকা বাকি ৫ জনকেই একসাথে বের করে আনা হবে যার মাঝে রয়েছে ফুটবল দলের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য যার বয়স মাত্র ১১ এবং তাদের ২৫ বছর বয়স্ক কোচ। একজন ডাক্তার এবং থাই নেভী সিলের তিনজন সদস্যও আজ গুহা থেকে বেরিয়ে আসবে বলে বলা হয়েছে। তবে আজ উদ্ধার কাজে গতকালের চেয়ে বেশি সময় লাগবে বলে জানা গেছে। নারংসাকের এই বক্তব্যে উদ্ধারকর্মী ও মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গ সজোরে হাততালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
সাংবাদিক সন্মেলনে উদ্ধার কাজের প্রধান সমন্বয়কারী চিয়াং রাই এর প্রাক্তন গভর্নর নারংসাক
তথ্য সুত্র সি এন এন, আলজাজিরা ও ব্যংকক পোস্ট
সর্বশেষ আপডেট ১০ই জুলাই সকাল ১১টা
আজ মঙ্গলবার ১০ ই জুলাই অবসান হোক ১৮দিনের সকল উৎকন্ঠার। সেই প্রার্থনায় থাই জনগন
সোমবার রাতে প্রথম উদ্ধারপ্রাপ্ত চারটি ছেলের সাথে তাদের পরিবারের সাক্ষাৎ। যদিও আদর করে কাছে টেনে নেয়ার সুযোগ ছিল না। কারন সংক্রমনের ভয়ে কাচের বাইরে থেকে দেখতে হয়েছে । পাবলিক হেলথ মিনিস্ট্রির স্থায়ী সেক্রেটারী জানিয়েছেন আটটি ছেলের প্রত্যকেই সুস্থ আছে । কারো কোন জ্বর নেই এবং মানসিক দিক দিয়ে প্রত্যেকেই ভালো অবস্থায় আছে। তবে রবিবারে উদ্ধারপ্রাপ্ত ছেলেদের মধ্যে দুজন এর মাঝে নিউমনিয়ার লক্ষন দেখা যাচ্ছে। তাদের এন্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। প্রথম উদ্ধারপ্রাপ্ত চারজন মশল্লা ছাড়া সাধারন খাবার খাচ্ছে । তাদের কমপক্ষে এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষনে রাখা হবে।
সর্বশেষ আপডেট ১০ই জুলাই সকাল ৯টা ত্রিশ
কিশোর উদ্ধারে এগিয়ে আসা আমেরিকান ধনকুবের এলোন মাস্ক থাম লুয়াং গুহার অভ্যন্তরে
আমেরিকান স্পেস এন্টারপ্রেনার ধনকুবের এলোন মাস্ক গতরাত এবং আজ মঙ্গলবার সকালে থাম লুয়াং গুহার ২ কিমি গভীরে ৩ নং গুহা ঘুরে পর্যন্ত ঘুরে এসেছেন। রকেট তৈরীর উপাদান দিয়ে তৈরী একটি মিনি সাবমেরিন সেখানে রেখে এসেছেন যদি ছেলেদের উদ্ধারে কাজে লাগে।
সর্বশেষ আপডেট ১০ই জুলাই সকাল ৮টা ৩৫
গতকাল প্রধানমন্ত্রী জান্তা প্রধান প্রায়ুথ চান ওচা সশরীরে দ্বিতীয়বারের মত ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি হাসপাতালে গিয়ে আটটি ছেলেকে দেখা ও খোজ খবর নিয়েছেন। প্রথমবার এসেও তিনি উদ্ধারকর্মীদের সাথে মত বিনিময় ছাড়াও ও কিশোরদের অভিভাবকের সাথে কথা বলেন, তাদের ছেলেদের উদ্ধারে সব কিছু করার আশ্বাস দেন। কিছু কিছু পত্রিকার মতে উদ্ধার অভিযানে তার এই ভাবমুর্তি আগামী সাধারন নির্বাচনে একটি ব্যপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে।
থাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথমবারের ঘটনাস্থল সফর করে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন
সর্বশেষ আপডেট ৯ই জুলাই রাত ৮টা ৪০ মিনিট
উদ্ধার কাজ আপাতত স্থগিত । আগামীকাল বাকি ৫ জনকে উদ্ধার করা হবে বলে আশা করা যায়।
সর্বশেষ আপডেট ৯ই জুলাই রাত ৭টা ১৫ মিনিট
এইমাত্র পাওয়া সি এন এনের আরেকটি খবরে জানা গেলো আজকের মত উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়নি এখনো চলছে। আর মাত্র চারজন ফুটবলার ও তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ এই মোট ৫ জন বাকি রয়েছে উদ্ধারে । রবিবার ৮ই জুলাই চারজন এবং আজ সোমবার ৯ই জুলাই এখন পর্যন্ত চার জন অর্থাৎ মোট আটজনকে এই পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে।
কর্ত্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত উদ্ধারপ্রাপ্ত ছেলেদের পরিচয় প্রকাশ না করায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষায় উদ্ধারপ্রাপ্ত প্রতিটি ছেলেই এম্বুলেন্স বা হেলিকপ্টারে ওঠা পর্যন্ত ডাইভিং পোশাক ও মুখোশ পরা ছিল। ফলে তাদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
তবে রেসকিউ চীফ নারাংসাক জানিয়েছেন সবাইকে উদ্ধার করা হলে একেবারেই সবার পরিচয় প্রকাশ করবে। নাহলে যাদের পরিবারের সদস্যরা এখনো গুহায় আটকে আছে তারা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরতে পারে। সবাই উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত কিশোর ফুটবল দলের তেরো পরিবারই গুহার সামনে অপেক্ষমান থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট ৯ই জুলাই বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট
সদ্য পাওয়া খবরে জানা গেল গুহায় আটকে পড়া আরো দুজন কিশোরকে এইমাত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এদের একজনকে এম্বুলেন্সে করে এইমাত্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরেকজন স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুহা মুখের কাছে এগিয়ে আসছে । এছাড়াও বাকি দুজন কিশোর মাত্রই বর্তমান অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পে এসে পৌছেছে। খানিক পরেই তাদের বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। অর্থাৎ তের জনের মাঝে সর্বমোট আটজন কিশোর ফুটবলারকে গুহা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকালের চেয়ে তুলনামুলকভাবে আজ বেশ দ্রুতগতিতেই উদ্ধার কাজ চলছে। আজ প্রথম ছেলেটিকে ৫ ঘন্টার মধ্যেই বের করে আনা সম্ভব হয়ে যা গতকাল সময় নিয়েছিল ১১ ঘন্টা।
আজ উদ্ধারপ্রাপ্ত চারজন ছেলের মাঝে একজনকে এম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে গতকালের উদ্ধারপ্রাপ্ত তার চার সহ খেলোয়াড়রা রয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট ৯ই জুলাই বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট
এইমাত্র রয়টার থেকে পাওয়া খবরে জানা যায় গুহার ভেতর থেকে স্ট্রেচারে করে এক ব্যাক্তিকে এনে এম্বুলেন্সে ওঠানো হয় । সে কি আটকে পড়া ছেলেদের একজন নাকি কোন উদ্ধারকারী তা বিস্তারিত জানা যায় নি । তবে উদ্ধার অভিযান চলছে এখনো ।
সর্বশেষ আপডেট ৯ই জুলাই দুপুর ৩টা- ৩৫ মিনিট
স্থানীয় সময় সকাল ১১ টায় জনৈক থাই অফিসার প্রেস ব্রিফিং এ জানিয়েছে যে গুহায় আটকে থাকা কিশোর ফুটবল দলকে বের করে আনার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে । এখন থেকে আর ঘন্টাখানেকের মধ্যেই একটি শুভ সংবাদের আশা করছেন উদ্ধার কাজের প্রধান সমন্বয়কারী চিয়াং রাই এর প্রাক্তন গভর্নর মিস্টার নারাংসাক । তিনি আরো জানিয়েছেন সারা রাত বৃষ্টি হলেও গুহার পানির উচ্চতা তেমন বৃদ্ধি পায়নি যা উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
সর্বশেষ আপডেট ৯ই জুলাই দুপুর ১টা ৪০ মিনিট
কোচ সহ নয়জনকে থাম লুয়াং গুহা থেকে উদ্ধারের জন্য আজ মঙ্গলবার ৯ই জুলাই আবার অভিযান শুরু করেছে দেশ বিদেশের বিখ্যাত ডুবুরীরা । তবে আজই সবাইকে বের করে আনতে সক্ষম হবে কি না বোঝা যাচ্ছে না।
কি ভাবে তাদের বের করা হয়েছে সেই কল্পিত ছবি
সর্বশেষ আপডেট ৯ই জুলাই সকাল ১১।৩৫ মিনিট।
সি এন এন থেকে ২০ মিনিট আগে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উদ্ধার কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন মেজর জেনারেল Chalongchai Chaiyakum. সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে জড়িত এই মেজর জেনারেল সি এন এন কে ফোনে জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযান এখনো শুরু হয়নি , তারা এই ব্যপারে জরুরী মিটিং এ আছেন। গত রাতেই ১০ ঘন্টার জন্য উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে অক্সিজেন ট্যাংকগুলো রিফিল করার জন্য ।
তথ্যসুত্র সি এন এন
সর্বশেষ আপডেট ৯ই জুলাই সকাল ১০টা ১৭ মিনিট
উদ্ধারকৃত চারটি ছেলেই হাসপাতালে এবং তারা সুস্থ আছে। তবে তাদের আরো পরীক্ষা নীরিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। আজ বাকী ছেলেগুলোকে উদ্ধারের কথা রয়েছে তবে তার আগে গুহায় পর্যাপ্ত পরিমানে অক্সিজেন সাপ্লাই ও ডাইভারদের শরীর স্বাস্থ্যও নীবিড় পর্যবেক্ষনের আওতায় এনে তারপরই তারা উদ্ধার কাজে এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান সমন্বয়কারী মিঃ নারংসাক ।
তথ্যসুত্র সি এন এন
সর্বশেষ আপডেট ঃ (৮ই জুলাই রাত ১২।৩০ মিনিট।) গুহার অভ্যন্তর থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হলেও বাকি নয়জনকে এখনো তাদের পুরনো জায়গাতেই আরেকটি রাত কাটাতে হবে । উদ্ধারকর্মী দলের নেতা গভর্নর নারাংসাক ঘোষনা দিয়েছেন তাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। দশ ঘন্টা বিশ্রাম শেষে আগামীকাল বাকিদের উদ্ধার করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। নারংসাক আরো জানিয়েছেন আজ রবিবারের অভিযানে ৯০ ই জন ডুবুরী অংশগ্রহন করেছে তার মাঝে ৫০ জনই বিদেশী দক্ষ ডাইভার।
এ পর্যন্ত চারজন ক্ষুদে ফুটবলারকে উদ্ধার করা হয়েছে
রয়েল থাই এর হেলকপটার প্রথম উদ্ধার পাওয়া ছেলেটিকে নিয়ে চলেছে ৬০ মাইল দুরের হাসপাতালে
এখন সেখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানা গেছে । আবার গুহায় পানি জমে যাওয়ার আশংকায় কর্তৃপক্ষ ।
একজন উদ্ধারকর্মী জানিয়েছেন তাদের উদ্ধার অভিযান আগামীকাল সোমবার সকাল আটটায় আবার শুরু হবে। আমারাও আটকে পড়া নয়জন কিশোরের সাথে অপেক্ষায় ।
এইমাত্র পাওয়া খবরে (জুলাই সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট) জানা যাচ্ছে থাই নেভী সীল ও বিভিন্ন দেশের মোট ৯০ জন ডুবুরী এক রুদ্ধশাস অভিযান চালিয়ে মোট চারজন ক্ষুদে ফুটবলারকে গুহা থেকে উদ্ধার করতে পেরেছে । ১৬ দিন ধরে গুহার গভীরে আটকে থাকা কিশোর ফুটবলারদের চারজনকে রাজকীয় নৌ বাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ৬০ মাইল দুূরে চিয়াং রাই এর প্রাচানুখর হসপিটালে পাঠানো হয়েছে।
ব্রেকিং নিউজ ৮ই জুলাই বিকাল ৬, ৩০ মিনিট
এই মাত্র খবরে জানা গেলো দুটো কিশোর ফুটবলার কে ডুবুরীরা সেই দুর্গম গুহা থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে । ক্ষুধার্ত এবং পরিশ্রান্ত ছেলেদুটোকে গুহা মুখেই প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়ার পর দাঁড়িয়ে থাকা হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। প্রথম বেরিয়ে আসা বছর তেরোর ছেলেটির নাম মংকল বুনপিয়েম । বাকিদের বের হয়ে আসার প্রতীক্ষায় উদ্গ্রীব বিশ্ব । থাইল্যান্ডের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় দুরহ একটি উদ্ধার অভিযান।
Click This Link target='_blank' >view this link
view this link
সর্বশেষ আপডেট ৮ই জুলাই বিকাল ৫ টা ২৫ মিনিট
পানিতে প্লাবিত অন্ধকার গুহায় বিশ্বের সেরা সব উদ্ধারকর্মীরা এগিয়ে যাচ্ছে
ঘোর ঘুটঘুটে অন্ধকারে পানিতে প্লাবিত এক সরু, জটিল সাথে ভয়ংকর দুর্গম এই গুহা পথ দিয়ে আটকে পরা ফুটবলারদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা উদ্ধারকর্মীদের জন্য যেমন কঠিন, তেমনি সাতার না জানা ছেলেগুলোর কাছে অনভ্যস্ত প্রক্রিয়ায় এ পথ পাড়ি দেয়া তার চেয়েও অসম্ভব এক প্রচেষ্টা।
উদ্ধার অভিযান শুরু হবার পর থেকে প্রায় সাত ঘন্টার ও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। ৪ কিমি গুহাপথ পেরিয়ে প্রথম ছেলেটির এতক্ষনে বের হয়ে আসার কথা । ব্যংকক পোস্টের তথ্য অনুযায়ী আটকে পরা ছেলেদের চারটি ভাগে ভাগ করে বের করা হবে। রেসকিউ অথরিটি জানিয়েছে কোচকে সবার শেষে বের করে আনা হবে। তবে অফিসিয়াল আপডেট জানা সম্ভব হয়নি। সেখানে আবার প্রচন্ড বর্ষন শুরু হয়েছে যা আবার গুহার ভেতর পানির উচ্চতা বাড়িয়ে তুলবে। উদ্ধারকাজের প্রধান চিয়াং রাই এর প্রাক্তন গভর্নর নারাংসাক এর মতে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে চার পাচ দিন সময় লাগবে।
এমনি হাসি খুশীতে থাকুক সারা জীবন
এদের মাঝে দুজনার জন্মদিন ছিল, তাদের পরিবারের লোকজন বলেছে তারা তাদের অপেক্ষায় ফ্রীজে কেক রেখে দিয়েছে। ফিরে আসলেই কেক কাটা হবে। আমাদেরও অন্তর থেকে দোয়া থাকলো তারা যেন আনন্দ উল্লাসের সাথে সেই কেক কেটা জন্মদিনের উৎসব পালন করতে পারে।
সর্বশেষ আপডেট ৮ই জুলাই ৩টা ২৫ মিনিট ।
এই মাত্র পাওয়া খবর অনুযায়ী আবার প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হওয়াতে ক্ষুদে ফুটবলারদের উদ্ধার নিয়ে চিন্তিত আপামর জনগন ।
৮ই জুলাই দুপুর ২টা ২৬ মিনিট, সর্বশেষ আপডেট।
বিভিন্ন দেশের ডুবুরী দলের সদস্যরা হাতে হাত বেধে ক্ষুদে ফুটবলারদের নিরাপদ উদ্ধারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । ছবিটি উনষাট মিনিট আগে প্রকাশিত
একজন ছেলেকে বের করে আনতে দুজন ডাইভার থাকবে বলে প্রকাশ। গভীর অন্ধকার, দুষিত পানি, শ্বাস প্রশ্বাস ছাড়াও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকায় তাদের দ্রুত বের করে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এমন উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়ার জন্য অন্যান্যদের সাথে বিশ্বের অনেক দুঁদে ডাইভার নিজের ইচ্ছেয় এগিয়ে এসেছে । দেখা যাক কি হয়। এরই মাঝে ১লা জুলাই এক ক্ষুদে ফুটবলার ১৪ থেকে ১৫তে পা দিল । তাকে জড়িয়ে ধরার জন্য তার দাদী সাগ্রহ প্রতীক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন।
সর্বশেষ আপডেট ১২টা ৩০ মিনিট
এলোন মাস্কের আঁকা চিত্র অনুযায়ী এমন রবারের টিউবের ভেতরে ভরে তাদের বাইরে আনতে চেষ্টা করছে বলে থাই স্থানীয় টিভিতে বলা হচ্ছে।
সর্বশেষ আপডেট ৮ই জুলাই সকাল ১১টা
উদ্ধারকর্মীরা থাম লুয়াং গুহার অভ্যন্তরে আটকে পড়া ছেলেদের উদ্ধারে সর্বশেষ প্রস্ততি নিয়ে আজ ভোরে গুহায় প্রবেশ করেছে। ছেলেরাও সকল চ্যলেঞ্জ গ্রহনে প্রস্তত বলে রেসকিউ চীফ নারংসাক সংবাদ কর্মীদের অভিহিত করেছেন।
এছাড়া আর কোন তথ্য তাদের জানানো হয়নি । উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সংবাদকর্মী সহ অপ্রয়োজনীয় লোকজনদের গুহা মুখ থেকে দুই কিমি দূরে সরিয়ে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের আর কোন তথ্য জানা যায়নি।
টেকনোলজি গুরু এলোন মাস্ক টুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে তিনি ছোট একটি সাবমেরিন বানিয়ে তাদের বের করে করে আনার চিন্তা ভাবনা করছে।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ১৩ জন বিদেশী ও ৫ জন থাই নেভী সীলের ডাইভারদের গুহায় ঢুকতে দেখা গেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে উর্ধতন কর্তপক্ষ অন্য সমস্ত রাস্তা বাদ দিয়ে স্কুবা ডাইভিং এবং সাতারের সাহায্যে ৫ কিমি ভেতরে আটকে পরা ছেলেদের বের করে আনার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ।
বিস্তারিত বিবরন চ্যানেল নিউজ এশিয়া
সর্বশেষ আপডেট ৮ই জুলাই সকাল ১০টা।
পুরনো পথেই ১৬ দিন ধরে আটকে থাকা ক্ষুদে ফুটবলারদের বের করে আনার চেষ্টায় বিভিন্ন বাহিনীর অভিযান প্রস্ততি ।
চিয়াং রাইয়ের প্রাক্তন গভর্নর নারংসাক যিনি উদ্ধারকাজের নেতৃত্য দিচ্ছেন তার মতে গুহায় পানি বর্তমানে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, আবহাওয়াও ভালো, ছেলেগুলোর শরীর স্বাস্থ্যও উন্নতি করছে সুতরাং আগামীতে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত শুরুর আগেই তাদের বের করে আনার জন্য জোরদার চেষ্টা চালাতে হবে। বৃষ্টি হলে ছেলেগুলোর আশ্রয়স্থানটির অনেক অংশ পানিতে ডুবে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সবাই উদবিগ্ন।
ফলে স্কুবা ডাইভিং এর মাধ্যমেই নিরাপদে তাদের বের করে আনার দিকটি সংশ্লিষ্ট সবাই ক্ষতিয়ে দেখছে। এ ব্যপারে থাই নেভী সীলের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের বিশেষ বাহিনীর ডুবুরীরা সহযোগীতা করছে। বর্তমানে তাদের প্ল্যান একজন ডাইভার এক একটি ছেলেকে সাথে করে নিয়ে বের হয়ে আসবে । কিন্ত সেই পথ জায়গায় জায়গায় বড়ই সংকুচিত এবং পেচানো ।
এদিকে দক্ষিন আফ্রিকার ধনকুবের টেসলা গাড়ী নির্মাতা ও SpaceX/Boring Company র মালিক এলোন মাস্ক নয়জন ইঞ্জিনিয়ার পাঠাবে যারা ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছে। তারা অন্য কোন ভাবে বাচ্চাদের নিরাপদে বের করে আনতে পারে কিনা সেই চেষ্টা চালাবে ।
এরই মাঝে গতকাল কোচ সহ ছেলেরা তাদের পিতা মাতার কাছে ভালোবাসা পুর্ন চিঠি পাঠিয়েছে। কেউবা চিকেন ফ্রাই খেতে চেয়েছে, কেউবা টিচারদের পড়া কম দিতে বলার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে তারা সবাই জানিয়েছে তারা ভালো আছে। এবং তাদের পরিবারের সকল সদস্যকে কত ভালোবাসে তার আকুতি ফুটে উঠেছে সেই চিঠিতে । তাদের কোচ ছেলেগুলোর অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে তাদের এখানে নিয়ে আসার জন্য ।
বিশ্বের সবার সাথে আমরাও অপেক্ষায় তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে।
সর্বশেষ আপডেট ৭ই জুলাই, দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট
ছেলেগুলোকে এখনো গুহার ভেতর থেকে উদ্ধার করা যায়নি। এদিকে গুহায় প্রচুর উদ্ধারকর্মী থাকায় অক্সিজেনের পরিমান কমে গিয়ে দুর্যোগের মাত্রা বৃদ্ধি করছে। বিশেষ করে অক্সিজেনের অভাবে প্রাক্তন নেভী সীলের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ধারকাজ কিছুটা স্থগিত করা হয়েছে। ছেলেগুলোকে উদ্ধার করতে গিয়ে কোন রকম দুর্ঘটনা না ঘটে এই ব্যাপারে তারা আরো সাবধানতা অবলম্বন করেছে।
পঁচে যাওয়া ফসলের মাঠ পরীক্ষা করে দেখছে এক কৃষক ।
গুহা থেকে পানি সেচের ফলে আশেপাশের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কৃষকরা জানিয়েছে দরকার হলে তারা আবার ফসল বুনবে । তারপরও যেন ছেলেগুলোকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয় ।
সর্বশেষ আপডেট ৬ই জুলাই, সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট
ফিফা সভাপতি গুহায় আটকে থাকা ফুটবলার ও তাদের কোচকে মস্কো গিয়ে সশরীরে বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার আমন্ত্রন জানিয়েছেন। তিনি অবশ্য প্রথম থেকেই এদের ব্যপারে উদ্ববেগ প্রকাশ করে আসছিলেন, এমনকি তাদের খোজ পাওয়ার সাথে সাথে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
ব্রেট ফিটজেরাল্ড নামে এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে থাম লুয়াং গুহার ভেতর যেখানে যেখানে গভীর পানি রয়েছে সেখানে একটি মানুষ প্রবেশ করতে পারে এমন নিস্ছিদ্র টিউব প্রবেশ করিয়ে তার ভেতর দিয়ে দড়ি ধরে টেনে বের করা। সাতার ও স্কুবা ডাইভিং শেখানোর চেয়ে এই পদ্ধতিটি সহজ কম সময় লাগবে। তার সাথে একই মত প্রকাশ করেছেন Arthur Willemse and Marc Thiadens নামে দুই ব্যাক্তিও ।
স্কেট বোর্ডের সাথে ছেলেগুলোকে দড়ি দিয়ে বেধে গভীর পানির জায়গাগুলো পার করা যেতে পারে।
Henry Crichlow নামে একজন প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ার উপরের ছবিটি একে দেখিয়েছেন স্কেট বোর্ডের সাথে ছেলেগুলোকে দড়ি দিয়ে বেধে দড়ি ধরে টেনে টেনে কিভাবে গভীর পানির জায়গাগুলো পার করা যেতে পারে।
তবে সব কথার শেষ কথা হলো প্রতিটি উদ্ধার পদ্ধতিতেই রয়েছে বিপদের আশংকা । আর তাদের কাছে প্রধান বিষয়ই হলো সেফটি ফার্স্ট । এর উদাহরন হিসেবে বলা যায় ঢাকা এয়ার পোর্টের মেট্রো রেল নির্মাতা থাই কনস্ট্রাকশন জায়ান্ট ইটাল থাই কোম্পানী তাদের প্রতিটি নির্মান যন্ত্রপাতি ও নির্মিত স্থাপনার উপরে লিখে রেখেছে Safety first
সর্বশেষ আপডেট ৬ই জুলাই, সকাল ১১টা ৩০ মিনিট
ব্রেকিং নিউজ ঃ-
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওয়াইল্ড বোর কিশোর ফুটবল দল এখনো গুহায় আটকে আছে। এছাড়াও এলিট নেভী সীলের একজন প্রাক্তন সদস্য সামান গুনান ৫ই জুলাই রাত সাড়ে আটটায় গুহায় প্রবেশের পর অজ্ঞান হয়ে পরেন। নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। গুহার ভেতর অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌছানের দায়িত্বে থেকে তিনি নিজেই অক্সিজেনের অভাবে মারা যান ।
রাজা মহাভাজিরালংকর্ন রাজকীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য করার ঘোষনা দিয়েছেন।
উদ্ধারকর্মীরা ১২ জন ক্ষুদে ফুটবলার ও তাদের কোচকে দ্রুত ও নিরাপদ উদ্ধারের জন্য মোট চারটি অপশন নিয়ে এগুচ্ছে।
১, বর্ষা কাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা।
২, পানি অপসারন করে তাদের বাইরে নিয়ে আসা।
৩। সাতার না জানা ছেলেদের অল্প সময়ের মধ্যে সাতার ও স্কুবা ডাইভিং শিখিয়ে ৩ ঘন্টার কঠিন গুহা পথ দিয়ে নিয়ে আসা যা একজন দক্ষ ডুবুরীর জন্যও খুব একটা সহজ নয়।
৪। পাহাড়ের উপরিভাগে কোন গুহা মুখ খুজে পাওয়া বা গর্ত করে বের করে নিয়ে আসা।
পাহাড়ের উপরে ফাটলের সন্ধানে দড়ি নিয়ে উদ্ধারকারীরা
আজকের সর্বশেষ আরেকটি খবর অনুযায়ী দক্ষিন আফ্রিকার মার্কস নামে ধনাঢ্য এক ব্যাক্তি গুহায় আটকে পড়া ছেলেগুলোকে উদ্ধারের জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন । তিনি তার বোরিং কোম্পানীর মাধ্যমে মাটি খুড়ে বাচ্চাদের উদ্ধার করা অথবা তার শক্তিশালী পাম্প মেশিন দিয়ে গুহা থেকে পানি অপসারন করে তাদের বাইরে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাবটি থাই সরকারের বিবেচনাধী রয়েছে ।
পরিবারের সদস্যরা তাদের খবর পেয়ে যতটা উল্লসিত হয়েছিল সময় পেরোবার সাথে সাথে তাদের মনের অবস্থা তার চেয়েও খারাপ হয়ে পরেছে। আবহাওয়া অফিসের বার্তা অনুযায়ী গত দু এক দিন ধরে বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা কম ছিল। তবে আগামীকাল আবারো শুরু হবে প্রবল ধারা বর্ষন। তখন তাদের সেই আশ্রয়স্থলটুকুও ডুবে যায় কি না সেই আতংকে আছে সংশ্লিষ্ট সবাই।
২রা জুলাই ২০১৮, রাত ৯টা ৩২ মিনিট
এইমাত্র পাওয়া খবরে জানা গেলো থাইল্যান্ড নেভী সিল বাহিনী গুহা মুখ থেকে চার কিলোমিটার গভীরের এক দুর্গম স্থানে খুজে পেয়েছে নয়দিন আগে গুহার মাঝে হারিয়ে যাওয়া থাইল্যান্ড এর সেই ক্ষুদে ফুটবলারদের। অত্যাধিক দুর্বলতা ও গুহার ভেতর প্রচুর পানি থাকায় বের করে আনতে সময় লাগবে।
প্রথম দর্শন ( থাই নেভী সীলের ভিডিও থেকে)
সামনে একটি পথই খোলা (৪ঠা জুলাই সর্বশেষ আপডেট )
ছেলেগুলোকে বের করে নিয়ে আসা অত্যন্ত কঠিন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আশংকা প্রকাশ করছেন । কেউ বলেছিল বর্ষাকাল শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে তাতে মাস তিন চার লাগবে । কিন্ত বিশেষজ্ঞদের মত এতদিন সেখানে থাকাটা অসম্ভব আর তাতে বিপর্যয় আরো বাড়বে বলেই ধারনা। তাই তারা চাচ্ছে এখনই তাদের বের করে আনতে।
এভাবেই সাতার না জানা বাচ্চা ছেলেগুলোকে আড়াই কিমি পথ ঘোলা কাদা-পানি সাতরে পেরিয়ে বাইরে আসতে হবে
এর জন্য ক্ষুদে ফুটবল দলকে পাড়ি দিতে হবে প্রচন্ড বৃষ্টিতে প্লাবিত গুহার সরু বন্ধুর পথ যা যেমন কঠিন তেমনি বিপজ্জনক। সাতার না জানা ছেলেগুলোকে আড়াই কিলোমিটার পথ তীব্র স্রোত, কাদা, জিরো ভিজিবিলিটি ছাড়াও ডুবুরীর পোশাক পরে পাড়ি দিতে হবে যা পরে সাতরানো নতুনদের জন্য খুবই কঠিন বলে কেইভ ডাইভিং এক্সপার্ট মতামত দিয়েছেন গতকাল রাতে। কিছু কিছু জায়গা যেগুলো অত্যন্ত সরু সেখানে তাদের সাহায্য ছাড়াই সাতার কেটে আসতে হবে। এবং অনেক জায়গায় পানির গভীরতা ১৬ ফিটেরও বেশী। সেই অবস্থায় একবার তাদের জীবন বাচানোর কিছু হাত ছাড়া হয়ে গেলে মৃত্যু অনিবার্য্য ।
গুহার ম্যাপ, একদম বা দিকের বড় চেম্বারটিতে বাইরের পৃথিবীতে ফিরে আসার অপেক্ষায় বাচ্চাগুলো
গুহায় ১০০০ এরও বেশী রেসকিউ ওয়ার্কাররা দিন রাত পানি পাম্প সহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত। থাই নৌবাহিনী সীলের সাতজন সদস্য রাজকীয় নৌবাহিনীর একজন ডাক্তার ও একজন নার্স খাবার দাবার ঔষধ পানি নিয়ে তাদের সাথে গুহায় অবস্থান করছে। তাদের শক্তি বাড়ানোর জন্য খাবার দেয়া হচ্ছে। একটু সুস্থ হলে একে একে তাদের বের করে আনা হবে বলে তথ্য সুত্র জানিয়েছে। এতে এক সপ্তাহ বা একমাস লাগতে পারে। এছাড়াও তাদের ডুবুরীর পোশাক পরে সাতরানোর প্রশিক্ষন দিচ্ছে প্রশিক্ষকরা ।
প্রাকটিস শেষে হাসি খুশী ফুটবল টিমের একটি ছবি তাদের কোচের সাথে
আপডেট ৫ই জুলাই
পাম্প করা বাইরে ফেলা হচ্ছে পানি , একরের পর একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকদের তারপর ও তাদের অভিযোগ নেই। তারাও চাইছে বালকদের নিরাপদ মুক্তি
যে দুটি পাহাড়ী নদীর পানি থাম লুয়াং গুহায় প্রবেশ করেছে তাতে আজ বাঁধ দেয়া হয়েছে। তারপরও আজ কিছু অনিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী ভুল করে গুহার দিকেই পানি ফেলতে থাকে যা সাময়িক কিছুটা সমস্যা তৈরী করেছিল। এব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে পরামর্শ না করে কেউ যাতে আগ বাড়িয়ে কিছু না করে তার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন চিয়াং রাই এর গভর্নর নারংসাক। তবে আশার কথা হলো আজ গুহার ভেতর পানির পরিমান খানিকটা কমেছে ।
চিয়াং রাই এ এখন বর্ষাকাল ফলে তুমুল বৃষ্টিপাতে প্লাবিত গুহাতে কিছু জায়গায় ১৬ ফুটের উপর পানি, সেই পানি অপসারনের জন্য তারা প্রচুর শক্তিশালী পাম্প ব্যবহার করছে যাতে তাদের হাটিয়ে নিরাপদে বের করে আনতে পারে আর তাদের নিরাপত্তাই কতৃপক্ষের প্রধান বিবেচ্য।
ফাটলের সন্ধানে যেখান দিয়ে বের করা যাবে ক্ষুদে ফুটবলারদের
এছাড়াও উপর থেকে গর্ত করে তাদের টেনে তোলার চিন্তা ভাবনাও হচ্ছে । ৩০টি টিম পাহাড়ের উপরভাগে চিরুনী চালানোর মত চষে বেড়াচ্ছে ফাটল বা মুখ আছে কিনা ছেলেগুলোর কাছে পৌছানোর ।ছেলেগুলোর কাছে খাবার, ঔষধপত্র, এলুমিনিয়াম ফয়েলের কম্বল ইত্যাদি সহ সহ অন্যান প্রয়োজনীয় জিনিস পৌছালেও ফোন লাইন নিতে পারেনি। গতকাল চেষ্টা করেছিল কিন্ত সাতরে পাড়ি দেয়ার সময় এক ডুবুরীর হাত থেকে পরে হারিয়ে যায়। আর সেই গুহাতে গিয়ে ফিরে আসতে পাকা ডুবুরীদেরও ৬ থেকে ৭ ঘন্টা সময় ব্যয় হচ্ছে। তারা চাইছে দ্রুত তাদের কাছে একটি ফোন পৌছেতে যাতে তারা পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে যাতে তাদের মানসিক চাপ কমে আসে কিছুটা।
রসদ নিয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী দল
খাবার দাবার, ঔষধপত্র সহ চার মাসের প্রস্ততি থাকলেও উদ্ধারকারী দলের সমন্বিত চিন্তা ভাবনা হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব গুহা থেকে ক্ষুদে ফুটবলারদের বের করে নিয়ে আসা। কারন দীর্ঘদিন সেই গভীর গুহায় থাকলে তারা বিভিন্ন শারিরীক এবং মানসিক প্রতিক্রিয়ার সন্মুখীন হতে পার। এব্যপারে থাইল্যান্ডের রাজা মহাভাজিরালংকর্ন ও প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচাও একই মত প্রকাশ করেছেন। সাতার না জানা ছেলেদের সাতার শিখিয়ে তারপর স্কুভা ডাইভের পোশাক পরে আড়াই কিলোমিটার জটিল পথ পাড়িয়ে দিয়ে বের করে আনা খুবই দুরহ। তারপরও তাদের দ্রুত সাতার শেখানো বিশেষ করে ডুবুরীর পোশাক পড়ে সাতার শেখানোর চেষ্টা করছে তাদের সাথে থাই নেভী সীলের সাতজন সদস্য। তাদের সাথে থেকে একটু একটু করে সাহস ফিরে পাচ্ছে সেই বালকেরা ।
বিস্তারিত জানতে চাইলে আমার এই পোষ্টে ক্লিক করুন
থাইল্যান্ড পাহাড়ের ভয়ংকর গুহায় হারিয়ে যাওয়া কিশোর ফুটবল দল
তথ্যসুত্র ব্যংকক পোস্ট পত্রিকা থেকে
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১০