নমপেন এয়ারপোর্ট
আজ সকালে ২০ শে নভেম্বর থাইল্যান্ডের সাময়িক আবাস ছেড়ে উড়ে আসলাম ক্যাম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে। সেই দেশে যেখানে তথাকথিত গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে নৃশংস নিষ্ঠুর নেতা পলপটের বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞে লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ নর নর-নারী এমনকি শিশুরা পর্যন্ত প্রান হারিয়েছিল। বৈধ রাজা ছিল নরোদম সিহানুক যে কি না পালিয়ে নিজের জীবন রক্ষা করেছিল সেই নরপশুর হাত থেকে। কিন্ত তার দেশের জনগনকে ছেড়ে গিয়েছিল পলপট নামে এক হায়েনার মুখে।
এটা নিয়ে পরবর্তীতে বড় করে লেখার ইচ্ছে রইলো।
এখন দেখুন সেই ক্যাম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনের সামান্য কিছু ছবি।
এয়ারপোর্ট এর ভেতরে।
ইমিগ্রেশন পার হয়ে আসার পর, এয়ারপোর্ট এর মাঝে।
টাকা বদল।
এয়ারপোর্ট এর বাইরে।
তারকাখচিত হোটেলেও এমন অরুচিকর জগদ্দল কাঠের আসবাব।
আমাদের রুমের বারান্দা থেকে ক্যাম্বোডিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তুনলে-সাপ নদী যা আর হাত দশেক ডাইনে গিয়ে বিখ্যাত /বিশাল মেকং নদীর সাথে মিশেছে।
ব্যালকনি থেকে দুপুরে।
একটু ডানে চোখ ফেরান দেখতে পাবেন ঐদিক থেকে আসা বিখ্যাত মেকং আর এদিক থেকে বয়ে যাওয়া তুনলে-সাপ নদী দুটোর মিলন মোহনা।
সেই তুনলে-সাপ নদীর বাধানো কিনার রাতের আলোয়।
আলো ঝলমলে তুনলে-সাপ নদী আর তার দুটি পাড়।
সেই একই বারান্দা থেকে।
ব্যালকনি থেকে আলোর মেলা।
রাতের নদীর পাড়।
ভোরের সুর্যোদয় (২১নভেম্বর) সেই তুনসেলাপ নদীর তীরে।
আজ ২১ শে নভেম্বর খুব ভোরে সেই নদীর পাড়ে বাজনার সাথে সাথে ব্যায়ামরত, স্বাস্থ্য সচেতন নরনারী।
এখন সকাল ৯।১৬ মিনিট। আজ এখানে ছুটির দিন। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা তাদের কাজ এক দফা শেষ করে বসে আছে। তবে তারা আমাদের দেশের মত এক বার ঝাড়ু দিয়েই তাদের কাজ শেষ করে না। সারাদিন ধরেই চলে তাদের পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
সন্ধ্যায়।
সকালে নাস্তার পরিত্যক্ত অংশ (ডিমের কুসুম, পাকা পেপের বীজ ও পেপের খোসা) দিয়ে বানানো শিল্পকলা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৭