বাসার পাশের রাস্তায় ফুটে থাকা কমলা পলাশের ফুলে বসে আছে সবুজ টিয়া ।
অনেক আগে একজোড়া চিল আর শালিকের গল্প শুনিয়েছিলাম । আজ আমার চড়ুই এর গল্প সাথে অন্য কিছু টুকটাক ।
একটু সবুজ দেখার আশায় ছোট্ট বারান্দার কোনে কোনে কিছু গাছ লাগিয়েছি। আর তাতে সারাদিনই আসে কিছু চড়ুই, শালিক, বুলবুলি দোয়েল আর ফিঙ্গে।
অপেক্ষারত কাক
মাঝে মাঝে একটা কাক ও এসে উকি ঝুকি মেরে ওদের জন্য দেয়া খাবার নিয়ে ফুরুৎ করে উড়ে যায় পাশের বাড়ীর উচু ছাদে। বুলবুলিগুলো খাবারের ব্যাপারে বড্ড খুতখুতে। ফল ছাড়া যেন কিছুই তাদের মুখে রোচে না । তাই তাদের জন্য আসে পাকা কলা, পেপে আর আমের দিনে আম।
বুলবুলি বসে আছে ফল পাকুড় খেয়ে , জানালার ভেতর থেকে তোলা
চড়ুইগুলো ছাড়া অন্য পাখিগুলো ভারী চালাক । যে ভাবেই ছবি তুলতে চাই না কেন ঠিকই টের পেয়ে পালিয়ে যায় । তাই ছবি তোলা হয় শুধু চড়ুই এর ।
এই হলো আমার পাখী আর বারান্দায় কিছু গাছ ।
নিঃসঙ্গ এরিকা পাম
সেই টবের মাটিতে কি যেন খুটে খাচ্ছে দুষ্ট চড়ুই
টবে বোনা পাম
ফার্নের সারি , খোলা আকাশ নেই , মাটি নেই , পানি নেই এখানে ফার্ন ছাড়া আর কি বা হবে ?
কিছু সবুজ, এখানে আসে সেই অন্যান্য পাখির দল
এক কোনায় কিছু গাছ তাতে আছে নাইন ও ক্লক
ঠিক ঠিক নটাতেই নাইন ও ক্লক নামের এই ফুল ফোটে কি না এ নিয়ে ছেলেবেলায় ভীষন কৌতুহলী ছিলাম । স্কুলে যাবার সময় ভালো করে নজর দিতাম লনে অযত্নে অবহেলায় ফুটে থাকা এই জংলী ফুলের দিকে।
সবুজ বাটিতে কাউনের চাল দিয়ে রেখেছি, তাতে ওনারা দুজন এসেছে মধ্যানহ ভোজে
ওরা এখন আর আমাকে ভয় পায় না, এখন ই আমার পাশে এসে চিক চিক করে ডাকছে
মাঝে মাঝে ছানা পোনা সহ আসে আর মুখে তুলে খাইয়ে দেয় সেই অস্থির বাচ্চাগুলোকে
গিন্নী খাচ্ছেন আর কর্তা একটু উপরে বসে চৌকিদারি করছেন
এই ফার্নটি আমি এনেছি শ্রীমঙ্গলের মাধবপুর লেকের পাশ থেকে
সবুজ টিয়ার আরেকটি ছবি
মেহগনি গাছের আড়ালে বসে থাকা শালিক । কাচের জানালার ভেতর থেকে তোলা । তাই আমাকে দেখতে পায়নি ।
খেয়ে দেয়ে বিশ্রামে বসে থাকা চড়ুই
সবই একটু একটু করে বুনেছি , দেখা যাক কি হয় ?
সব ছবি আমার ট্যাব নেক্সাস নাইনে তোলা, তাই তেমন আহামরি কিছু হয়নি । তবে ওদের মুল্য আমার কাছে অপরিসীম ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০