টং মুয়ান
নিত্যকার এক ঘেয়ে নাস্তা বিশেষ করে বিকেল বেলার সেই বিস্কিট অথবা ছোলা- মুড়ি, পেয়াজু- ডালপুরির কথা বলছি তা ছেলে বুড়ো কারই বা ভালো লাগে প্রতিদিন। মাঝে মাঝে মুখ বদলে নিতে সবারই ইচ্ছে করে। তাই তো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় দারুন মজাদার এক মুচমুচে ভাজা স্ন্যাক্স, নাম তার টং মুয়ান ।
টং মুয়ান বানানোর প্রনালীঃ
উপকরণঃ
১।ময়দা ৮৫০ গ্রাম।
২।চিনি ৬০০ গ্রাম ।
৩।হাসের ডিম ৫টি ।
৪।নারকেল কোরোনো ১ কেজি।
৫।সুগন্ধী/ভ্যানিলা এসেন্স আধা টেবিল চামচ ।
৬।সামান্য কালো তিল ।
৭। সামান্য তেল।
কি করে তৈরী করবেনঃ
প্রথমেই কোরানো নারকেল সামান্য পানি দিয়ে চিপে রস বের করে নিন, তারপর মাঝারী আচে চুলোয় বসিয়ে দিন যতক্ষন না একটু ঘন হয়ে আসে।
এরপর ময়দার সাথে চিনি মিশিয়ে নিন এখন তাতে সেই নারকেলের দুধ আস্তে আস্তে মেশাতে থাকুন যতক্ষন না পর্যন্ত তা ময়দার সাথে গলে মিশে যায় । একটি পাত্রে ডিম ভেঙ্গে বিটার/চামচ দিয়ে ভালো করে ফেটে এবার তার সাথে ময়দা আর তিল ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। গোলাটা একটু পাতলা হবে । ইচ্ছে করলে অল্প লবন ও দিতে পারেন। এবার সমান একটি লোহার পাত্রে একটু তেল দিন । এটা বানানোর জন্য রোটি কিং এর মত ছাঁচও কিনতে পাওয়া যায় সেখানে।
টং মুয়ান বানানোর ছাঁচ।
এখন এই পাত্র গরম হয়ে উঠলে তাতে চামচ দিয়ে পরিমান মত সেই মিশ্রনটি ঢেলে পাতলা চ্যাপ্টা করে রুটি বা আমাদের চাপটির মত বিছিয়ে দিন। দুদিক হলুদ করতে চাইলে উলটে দিন ।ভাজা হয়ে গেলে গরম থাকতে থাকতেই গোল করে ফেলুন । হয়ে গেল মজাদার মুচমুচে টং মুয়ান । আমি তো সেখানে গেলে প্রায়ই খাই। আপনারাও আজ বিকেলে বানিয়ে খেয়ে দেখুন, আশাকরি ঠকবেন না ।
বিঃদ্রঃ ময়দার পরিমান কিছুটা কমিয়ে তার সাথে আপনি কাসাভার গুড়োও ব্যাবহার করতে পারেন ।
হাসের ডিমে অনেকের আপত্তি থাকায় ইচ্ছে করলে আপনি মুরগীর ডিম ও ব্যাবহার করতে পারেন ।
খাবার জন্য তৈরী মচমচে কুড়কুড়ে মিষ্টি স্বাদের টং মুয়ান
আমার সাময়িক নিবাসের সামনে চারতলা গাড়ী পার্কিং এর নীচ তালায় সপ্তাহে চার দিন বসে এই মার্কেট, যেখানে রয়েছে ঘর সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র । সেখানেই এই হাসি খুশী দোকানীর টং মুয়ানের আমি হচ্ছি এক নিয়মিত ক্রেতা ।
ছাঁচের ছবিটি বাদে সব ছবি আমাদের ক্যামেরায় তোলা ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২০