মনটা দারুন বিক্ষিপ্ত আজ । এলোমেলো কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে । কিন্ত শুদ্ধ করে লিখতে পারি না একলাইন, তারপর ও পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে চলি। কি ধৃষ্টতা আমার । লোকে বলে বলিহারি বাপু, তোমার ধৈর্য্যের প্রশংসাই করতে হয় ।সে লেখা পড়ে লোকজন বলে 'সাধারন', আমি সামনে একটি অ বসিয়ে নিয়ে মনে ভাবি না না উনি নিশ্চয় অসাধারন ই লিখেছে । আমি দারুন খুশি হই ,আড়ালে মুচকি হেসে ওঠে কেউ কেউ।
ভাগ্যে বিশ্বাস করি না তারপর ও সকাল হলেই পত্রিকা টেনে নিয়ে রাশিচক্র খুলে বসি । দেখিতো আজ হয়তো ভালো কিছু লিখেছে আমার রাশিতে। লেখা আছে আজ আপনার দিনটি অনেক অনেক ভালো যাবে । চরম বিষন্ন মনে অশ্রুসজল চোখে লেখাগুলো ঝাপ্সা হয়ে আসে । তারপর ও খুটিয়ে খুটিয়ে দেখি কোথায় ভালো আমার, কোন খানে তুই লুকিয়ে আছিস বল ?
সব কিছু সরল সোজা চোখে দেখা আমার অভ্যাস ছিল । ইদানিং কি করে জানি বেঁকে যায় সব কিছু।
আকাশ দারুন মেঘলা করে আছে , ভাবি আজ নির্ঘাত সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাবে বৃষ্টিতে। চাল ডাল ধুয়ে চট জলদি হাড়িতে খিচুড়ি চড়াতেই দেখি আমাকে ব্যাঙ্গ করে কাঠ ফাটা এক সুর্য্য উঠে বসেছে চারিদিক উড়িয়ে পুড়িয়ে দিয়ে। ঘেমে টেমে একসা হয়ে ইলিশ মাছ আর খিচুড়ি নিয়ে বসি ।
মানুষ চেনার ব্যাপারে নিজেকে ভীষন পন্ডিত ভাবি কখনো সখনো । ভাবি সব্বাইকে আমি চিনি আমার হাতের তালুর মত, কিন্ত না, মানুষ আমার আজও চেনা হলো না ।
চিনতে ঠিকই ভুল করে ফেলি দারুন ভাবে । মুখ মিষ্টি মানুষটাকেই পরম বিশ্বাসে বিশ্বাস করে বসি। হাতে হাত রাখি, এক সময় দেখি শুধু হাত নয় নীল হয়ে গেছে গোটা শরীর। তা যাক নীল আমার ভীষন প্রিয় রঙ । বিষ হলেই বা কি ? প্রিয় তো ?
পাশের খোপে খোপে বাস করা কবুতরগুলোর খুশির কূজন গুন্জনে ভারী হিংসে হয় যা কিনা আমার স্বভাববিরূদ্ধ। একবার ইচ্ছে করে আচ্ছা মত ঠুকরে দেই। পরক্ষনেই মনে পরে কেন ওরা আমার কি করেছে শুনি !
বয়স তো তোর কম হলো না । এখন থেকে মন যা ভাববে ভাবুক , আমি আর ভেবে ভেবে মরবো না বাপু।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬