আমরা শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এর আত্মার সন্তান।
আর তোমরা "ঘষেটি বেগম" মাসুদা শরফুদ্দিনের আত্মার সন্তান।
১৯৭১ এ আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছি তোমাদের কাছ থেকে। তোমরা পরাজিত হয়েছ আমাদের কাছে।
দেখতো নিচের ছবি ৩ টা । মনে পরে কিছু ? ১৯৭১ এর ১৮ ডিসেম্বরের ছবি। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নতজানু তোমরা। ক্ষমা , প্রান ভিক্ষা চাচ্ছো।
ক্ষমা চায় কারা ? পরাজিতরা। আমরা তোমাদের ক্ষমা করেছি। আমাদের দয়ায় বেঁচে আছো তোমরা। তোমাদের এই জীবন আমাদের দয়ার দান। বেঁচে আছো, আমরা তোমাদের জীবনকে ভিক্ষা দিয়েছি বলে। কেন ভুলে যাও এক্থা ?
তোমরা আজ বা আগামীতে হতে পার এদেশের অনেক কিছু। হয়তো থাকবে গাড়িতে লাল সবুজ পতাকা । কিন্তু তোমাদের নামের সাথে জড়িয়ে গিয়েছে জগতের সবচেয়ে বড় গালি : রাজাকার। যুগের পর যুগ শতাব্দীর পর শতাব্দী , বংশপরম্বপরা তোমরা এভাবেই থাকবে। কখনো কি গর্বভরে বলতে পারবে তোমরা " আমি বিশিষ্ট রাজাকার গোলাম আজম , মতিউর রহমান নিজামী , মুজাহিদী,দেলওয়ার হোসেন সাইদী,সাকা চৌধুরী বা তাদের উত্তরাধিকারী "? বলেছ কখনো ?
কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধার কোন পরিচয়ের সংকট নেই। হয়ত সে আমাদেরই ভুলে এখন রিক্সা চালায়। নিজে তেজদীপ্ত ভাবে বলতে পারে " আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ওনার সন্তান চিৎকার করে বলতে পারে " আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান "। এটাই তোমাদের সাথে আমাদের পার্থক্য।
কারা পরিচয় দিতে পারেনা ? তোমাদের ছাগু বললে খুব গায়ে লাগে তোমাদের। এখানকার সুশীল কিছু ব্লগারের খুব মন খারাপ হয়। তোমরা বলো " আমরা বিশিষ্ট বীর রাজাকার অথবা রাজাকারের সন্তান।" দেখি তোমাদের মনের জোর।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী করলেই তোমরা বিভিন্ন কৌশলী কথা বলো। আওয়ামী লীগে লুকিয়া থাকা রাজাকারদের কথা বলো। রাজাকারতো রাজাকারই , তা সে যে দলেই থাকুক না কেন ! সব রাজাকারদের বিচার চাই আমরা। প্রমানের কথা বলো। বাংলাদেশের কোন মানুষ জানে না , কারা রাজাকার ছিল ? তোমরা কথায় কথায় ইসলাম কে টানো। " তোমরা জেনেশুনে মিথ্যা গোপন করোনা। আর সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেক না "। এই হাদীস কি তোমরা অমান্য করছনা ? নাকি এটা তোমাদের জন্য প্রযোজ্য নয় ?
দেখ এটা। সামহোয়ারইন ব্লগের প্রথম পাতায় এটা আছে। এই সামহোয়ারইন ব্লগের উদ্যগে কত লক্ষ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছিল জান তোমরা ? জেনে নিও। সোনা ব্লগে গিয়ে " আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই না " এটা লিখে কমপক্ষে ১১ লক্ষ স্বাক্ষর সংগ্রহ কর। মনের জোড় বাড়বে তোমাদের।
ছাগু বললে রাগ কর তোমরা। উল্টা ভাদা বলো। ছাগু শব্দটা এখন বাংলা ভাষার একটি শব্দ হয়ে গিয়েছে । তোমরা কি ভুলে গিয়েছ ইতিহাস ? তোমাদের জন্মের পর হতে আজ পর্যন্ত একা হেটেছ কখনো ? কখনো ইয়াহীয়া , কখনো পাকিস্থানী সেনাবাহিনী, কখনো বিএনপি, কখনো আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর দিয়ে হেটেছ তোমরা। শুধু ১৯৯৬ এ একা হাটতে গিয়ে হাটু ভেংগে পরে গিয়েছিলে। তোমরা প্রমান করেছ, তোমরা শূণ্যলতা ,পরজীবি, আগাছা , মেরুদন্ডহীন। সবাইকে নিজেদের মত ভাবো।
আবার যদি কখনো দেশ রক্ষায় রক্তের প্রয়োজন হয় , তোমাদের ইতিহাস বলে ,তোমরা আবারো দালাল ই হবে। করন সব সময় তোমরা দালালি করে এসেছ। মীরজাফররা এভাবেই থাকে।
১৯৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা বা এর চেতনা ধারকরা আবারও দেশ রক্ষায় বুকের তাজা রক্তই দেবে। তখন ছাগু বা ভাদা কেউই রক্ষা পাবেনা।
আমি অত্যন্ত লজ্জিত যে রাজাকারদের তুমি বলেছি।
মাসুদা শরফুদ্দিনের ছবিটা দিয়েছেন ব্লগার রাইসুল জুহালা।
অনেক কৃতজ্ঞতা ওনার প্রতি ।