♥ ♥ ♥ ♥ ♥
♥ ♥ ♥ ♥
♥ ♥ ♥
♥ ♥
♥
♥
♥ ♥
♥ ♥ ♥
♥ ♥ ♥♥
♥ ♥ ♥ ♥♥
বড় ভালোবাসি....অনেক ভালোবাসি...এত্তো ভালোবাসি....এই লুতুপুতু আর লরে-লাপ্পা কথাটা বলার জন্য তরমুজ ছাড়া আমার মাথায় আর মনে আপাতত আর কিছু নাই। কোন খাবার থেকে শুরু করে জিনিসের প্রতি ও দীর্ঘস্হায়ী আসক্তি নিজের মধ্যে কাজ করেনা। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবত গরমেরদিনে তরমুজের কথা ভেবে বড়ই ফুরফুরা মুডে থাকি। দেখা গেল ভাতের মতন তরমুজ খাই। কয়েকদিন আগে মেডিনোভা থেকে মাকে নিয়ে বাসায় ফেরার সময় সিএনজি পাইনা বলে রিক্সা করে অসুস্হ মাকে নিয়ে ফিরছি । রাস্তায় একদম লাল টকটকে কাটা তরমুজ দেখে নিতে চাইলাম পরে মা ঝাড়ি দিয়ে বলে তারে রিক্সা থেকে নামিয়ে দিয়ে ১০-১২টা তরমুজ বাসায় নিতে যেতে আর সে নাকি হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরবে আবার সেদিন কাওরানবাজার গেলাম ব্যাংকের কাজে,ফেরার পথে এক প্রাইভেটমেটের সাথে দেখা.... দেখা না হলেও ফোনে যোগাযোগ হয় মাঝে মাঝে। দেখা হবার পর সে খুবই আহলাদ করে বলে চলো হাঁটতে হাঁটতে ফার্মগেট যাই পরে তুমি রিক্সা নিও আর সে বাসে করে চলে যাবে। গল্প করছি আর হাটছি রাস্তায় তরমুজ থেকে দামদর করছি দেখে সে কেমন জানি গাইগুই করে বলে রিক্সা পাওনা তরমুজ নিবা ক্যামনে। তারে আশ্বাস দিলাম এটা বলে যে এতদিন পরে ফ্রেন্ডের সাথে দেখা তো ফ্রেন্ডরে খুশী করার জন্য তরমুজটা কি কোলে করে নিতে পারবানা দেখলাম তার মুখ হাড়িরতলার মতন কালো হয়ে গেছে আর একটু পরে খালি বাস পেয়ে বিজি বলে বাসের জন্য দৌড় দিলো। সেদিন তরমুজ খাইতে না পেরে মনের দুঃখে ফ্রেন্ডরে হুমকি দিছি যাতে আমার সামনে কয়দিন না আসে,তাইলে তার মাথায় তরমুজ ভেংগে সেই তরমুজ খাবো।মিনমিনে গলায় বলে রাস্তা দিয়া কোলে করে তরমুজ নিয়া হাঁটবো তার কি প্রেস্টিজ নাই নাকি
যাইহোক এত কচকচ করলাম অথচ তরমুজপ্রীতি কিভাবে শুরু হলো সেই কাহিনী বলিনাই। আগে অনেক অসুস্হ থাকতাম.....একবার এমন অসুস্হের সময় খালি ফ্যাঁচফ্যাঁচ করে কান্দি,কিচ্ছু খেতে ও পারতাম না বলে স্যালাইন দিয়ে রাখলো। কেউ দেখতে এসে কি খেতে মন চায় জানতে চাইলে আস্তে করে বলি তরমুজ খাবো....অথচ সেই সিজনে তরমুজ পাওয়া যায়না। আর মা-র ধারণা হলো অসুখে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে কারণ আমি এর আগে তরমুজ পছন্দ করতাম না। প্রাণসখী কণা আশ্বাস দিলো যেভাবেই হোক সে আমারে তরমুজ খাওয়াবেই । পরে সুস্হ হবার পর কণার সাথে সে কি ঝগড়া সে আমারে কেন তরমুজ খাওয়াইলোনা...যদি সেই অসুখে আমি মরে যেতাম তাইলে কি হতসেই সময় আমার মা নিচে ময়লা ফেলতে গেছে আর সে নাকি ময়লা ফেলার জায়গায় একপিস তরমুজ দেখে মনে হয়েছে সেই ময়লা তরমুজ তুলে এনে আমাকে খেতে দেয় আর তার মেয়ের শখ পূরণ করে। মায়ের কথা শুনে চোখে পানি এসে গেল আর তারে বুঝালাম সে অন্যকিছু দেখে তরমুজ মনে করেছে। কারণ সে সিজনে তরমুজ পাওয়া যায়না বলেই জানি...!
গরমের সিজনে সবাই বেশী বেশী করে তরমুজ খান....হ্যাপী তরমুজ সিজন