somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খবিশ সিঁধুরে পিটাইয়্যা ভর্তার রেসিপি

১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(ডিসক্লেইমার: এটা নিছকই ফান পোস্ট... কেউ অহেতুক সিঁধুপ্রেমী হয়ে ক্যাঁচাল করতে আসলে তাকে ও ভর্তা বানানো হবে...ভর্তা বানানের সিরিয়ালে অবশ্য মন্দিরাবেদী ও ছিলো কিন্তু সে এবার মুখেতালা দিয়ে ভালোই করেছে। সিঁধু আমাদের যেভাবে হেয় করে কথা বলে সে তুলনায় আমরা যথেষ্ঠ ভদ্র থেকে নীরব থাকি কিন্তু আমাদের নীরবতাকে যদি খবিশটা দূর্বলতা ভেবে লাগাতার এমন কটাক্ষ করে তাহলে আমরাই বা নীরব থাকবো কেন?)

মনে ম্যালা দুঃখ বুয়া কোম্পানির এমডি হয়ে বসে আছি....মানুষজন আজকাল দরকারের সময় বুয়ার খোঁজখবর নেয় আমার কাছ থেকে। ব্লগে আফাদের সাথে তাল মিলিয়ে ভাইজানরাও কত শত রেসিপি পোস্ট দেয় অথচ অকামের বুয়া আমি একটা ও রেসিপি পোস্ট দিতে পারলাম না।সেই দুঃখ দূর করার জন্য আজকে খবিশটারে নিয়া ভর্তার রেসিপি পোস্ট দিলাম। উল্টাপাল্টা কাম করতে আমার তুলনা শুধু আমিই । নভ........সিঁধু (খবিশটার পুরা নাম লিখতে বিরক্ত লাগে) হলো বর্তমানে বাংলাদেশের অনেকেরই আলোচলা,সমালোচনা আর ঘৃণার মানুষ। খবিশটারে নিয়ে এফবিতে সব গ্রুপেই মেম্বার হয়ে বসে আছি কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো ভাইজানেরা দেখি তারে কত্ত গালি দেয় আর আমরা আফামণি হয়ে মনে মনে গালি দিয়ে চুপ থাকি ...বড়জোড় হারামজাদা বলি(এটা ও নাকি আজকাল ভদ্র গালি হয়ে গেছে) কিন্তু মনে মনে গালি দিলে কি রাগ কমে? যাইহোক গালি না দিয়ে এবার ডাইরেক্ট এ্যাকশনে যাবো মানে খবিশটারে ভর্তা বানবো।

ইএসপিএনের ফ্লোরে বসে সিধু ব্যাটা যতই কচকচ করুক সে কি ভাবে তার পরর্র্তী সময়ে কোনদিন বাংলাদেশে আসা লাগবেনা? ঐ ব্যাটা আসুক বা না আসুক এটা কল্পনা করে ও শান্তি পাই যে ধরে খালি মাইর দিতাছি। ধরি, ইএসপিএনে আজকে বসে বাংলাদেশরে নিয়া যাতা বলে বাসায় ফেরার সময় খোশমেজাজে পাঞ্জাবী ভাংরা গুণগুণ করতে করতে যখনই গাড়ীতে উঠতে গেল তখনই আচমকা ঝড়-তুফান শুরু হয়ে গেল। আসলে ঝড়-তুফান কিছুই না বাংগালীদের অভিমান,ক্ষোভের সাথে প্রকৃতি ও সায় দিলো।সেই সময় প্রবল বাতাসে সিঁধুর সাধের পাগড়ীখানা উড়তে উড়তে একেবারে মিরপুর স্টেডিয়ামের উপর এসে পড়লো। সিঁধু তার সাধের পাগড়ির চিন্তায় বেপোয়ারা হয়ে যে কখন টাইগারদের এলাকায় ঢুকে গেছে সেটা খেয়ালই নাই। পাগড়ীর ঠিকঠাক করে পরে যেই পিছন ফিরলো দেখে একটা দুইটা করে লোকজনে স্টেডিয়াম ভরে যাচ্ছে। জোকারটা প্রায় চ্যানেলের লাফটার শোতে গিয়া যেভাবে ভাংরা নাচের মতন দুহাত উপরে তুলে কথা বলে ঠিক সেভাবেই ওয়ে গুরুঊঊউ তো হয়ে যা শুরু সেইম ডায়লগ দিয়ে রেসপন্স না পেয়ে ভয় পেল। পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে আয় তোরে মাইর শুরু করি বলেই এমন দৌড়ানি আর লৌড়ানি দিলো যে সিঁধু কয়েক চক্কর দেবার পর কাহিল হয়ে পড়ে গেল.....এরপর গণধোলাই ....সিঁধুব্যাটা কিন্তু মাইর খাইয়্যা পটল তুলে নাই। মাইর শুরু হবার কয়েকমিনিটের মাথায় হেড এ্যাটাক( ভয়ে হার্ট তার মাথায় উঠে গেছিলো) পটল তুললো। খবিশটা এতই হাবিজাবি আর অদরকারী কথা বলত যে পটল তোলার পর ও দেখলাম পাবলিক অশান্ত হয়ে রইলো।ভীড়ে খবিশটারে একটা মাইরও দিতে পারিনাই তাই পাবলিক কমতে শুরু করার পর ভর্তা বানানোর কাজে হাত দিলাম।

ভর্তার উপকরণ ও তৈরীর প্রণালী....
১.একটা বড়সাইজের বুলডোজার
২.মাংসসেদ্ধ করার জন্য পানি গরম করার বড় ডেকচি
৩.বিল্ডিং তৈরীর সময় ইট বালু সুরকি যে মেশিনে মিকচার করে সেটা (নাম জানা নেই )
৪.কয়েক বস্তা বোম্বাই মরিচ
৫.আলকাতরার টিন(বড় সাইজের কয়েকটা)
৬.লালমরিচের গুড়া(৭০কেজি)

খবিশদের মাংস,হাড্ডি নাকি সেইরকম শক্ত অনেক সময় লাগে মিহিন(ফাইন) হতে ।বাসার পাশে রাস্তায় কাজ চলছে একটা বুলডোজার আছে সেখানে পটলতোলা সিঁধুরে কয়েকদফায় থেঁতলে নিলাম। থেঁতলানো সিধুরে বড় ডেকচিতে আলকাতরা আর লালমরিচের গুড়া পুরাটাই মিক্সড করে কয়েক ঘন্টা ধরে সেদ্ধ করতে হবে। এরপর বিল্ডিং তৈরীর সময় ইট বালু সুরকি যে মেশিনে মিকচার করে সেটাতে পুরা ডেকচির জিনিসপাতি ঢেলে দিয়ে মিহিন না হওয়া পর্যন্ত মিকচার করতে হবে। মাংস আর হাড্ডিগুড্ডি পুরাটাই মিহিন হয়ে গেলে সব উপকরণ বোম্বাই মরিচের সাথে মিশিয়ে গরম গরম কলাপাতায় পরিবেশনের জন্য সাজাতে হবে।


খবিশ সিঁধুর ভর্তা টেস্ট করার জন্য শিয়াল,কুকুর-বিড়াল,গুরু ,ছাগল এমনিকি ইঁন্দুরকেও দাওয়াত দেওয়া হলো। তারা এমন রেসিপি দেখে লাফ দিয়ে নাকসিটিয়ে দশ হাত দূরে গিয়ে অভিযোগ জানাল এই ভর্তা থেকে নাকি কেমন জানি একটা খ্যাইশট্টা গন্ধ বের হচ্ছে। তাদের ক্যামনে বুঝাই খবিশটার খ্যাইশট্টা গন্ধে আমরা ম্যাঙ্গু পাবলিকরাই কতটা ত্যক্ত ছিলাম.....শেষে দেখা গেল পশু হলেও তাদেরও এই খবিশটার মাংসতে ভারী অরুচি। কি আর করা এত কষ্ট করে বানানো ভর্তা আশে-পাশে পঁচা-ডোবাতে ফেলে দিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।

ছবি কৃতজ্ঞতা: ব্লগার ~স্বপ্নজয়~
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:০৯
৫৪টি মন্তব্য ৫৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বডি সোহেলের মন ভালো নেই !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২৫


আমাদের জাতীয় নেতাদের বংশধরেরা বড়ই অদ্ভুত জীবন যাপন করছেন। তাদের বাপ চাচাদের মধ্যে মত-বিরোধ থাকিলেও একে অপর কে জনসম্মুখে অপমান করেন নাই। এক্ষেত্রে নেতাদের প্রজন্ম পূর্বপুরুষ দের ট্রাডিশন ধরে রাখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পত্রিকায় লেখা প্রকাশের ই-মেইল ঠিকানা

লিখেছেন মি. বিকেল, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৩৩



যারা গল্প, কবিতা, সাহিত্য, ফিচার বা কলাম লিখতে আগ্রহী, তাদের জন্য এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতা, সাহিত্য পাতা ইত্যাদির ই-মেইল ঠিকানা দেওয়া হলো। পত্রিকায় ছাপা হলে আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তার দায়ভার কি সেনাবাহিনী নেবে? তাদের সমালোচনাকে অনেকে সেনাবাহিনীর সমালোচনা মনে করছে কেন?

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:২৯

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখনও আমাদের জন্য গর্ব এবং আস্থার জায়গা। কারণ দুর্নীতির এই দেশে একমাত্র সেনাবাহিনীই সেই প্রতিষ্ঠান যার আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় সুনাম এখনও আছে। কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ: মৃতদেহ সৎকার এবং সঙ্গীতসৎকার....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯

প্রসঙ্গ: মৃতদেহ সৎকার এবং সঙ্গীতসৎকার....

কথা সাহিত্যিক শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বহু বছর আগে তার “শ্রীকান্ত” উপন্যাসে ইন্দ্রকে দিয়ে সর্বকালীন এবং সর্বজন গৃহীত একটি উক্তি করিয়েছিলেন, সেটি হলো,- ”মরার আবার জাত কি”!

মৃতদেহ সৎকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: শেষ রাতের সুর (পর্ব ২)

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০

রাফি সাহেবের পড়ে যাওয়ার খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল দ্রুত। সকালের মিষ্টি রোদ গাজীপুরের এই ছোট্ট গ্রামে যখন পড়ছে, তখনই কাজের লোক রহিমা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকল। সিঁড়ির নিচে রাফি সাহেব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×