কিন্তু ব্লগার রাজীব (থাবা বাবা) নিহত হবার পর, আমি দেখলাম আমরা বাংলা পরীক্ষার সময় ইংরেজি পড়া শুরু করেছি। আন্দোলনের মূল বিষয় রেখে সে নাস্তিক ছিলো কি না, তার জানাযা পড়া জায়েজ কি না, তার জন্য আলাদা কর্মসূচি পালন করা উচিত কি উচিত না এগুলো নিয়ে বেশি কথা হচ্ছে।
জামাত-শিবির ঠিক এটাই চাচ্ছিলো বলে আমার মনেহয়। এই আন্দোলনটাকে বিভক্ত করার জন্য তারা এমন একটা ঘটনা ঘটালো যেটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হবার উপক্রম এখন। আর আমরা তাদের তৈরি ফাঁদেই পা দিচ্ছি।
আমি আন্দোলনকারী সবার উদ্দেশ্যে বলছি, আমরা যেন আমাদের দাবীগুলো নিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি সেভাবে আন্দোলনটাকে পরিচালিত করুন। যারা রাজীবের নাস্তিকতা নিয়ে বিরূপ, তাদের বলছি, সে কেমন মানুষ ছিলো তা বিবেচনায় না এনে সে আমাদের সহযোদ্ধা ছিলো সে পরিচয়ে তাকে চিনুন। এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলি, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁরা সবাই আস্তিক ছিলেন তা কিন্তু না। কিন্তু তাঁদের সকলের শহীদ পরিচয়টাই আমাদের কাছে তাঁদের আসল পরিচয়।
আর আন্দোলন পরিচালনাকারী সহযোদ্ধাদের বলছি, এমন কোন কর্মসূচী দিবেন না যেটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে কোন বিভেদ তৈরী হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য অর্জনটাই মূল বিষয়, লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে সেটাই হবে রাজীবের জন্য সবচেয়ে সম্মানের। এ বিষয়ে আপনাদের আরও সুচিন্তিত পদক্ষেপ আশা করি।
সবার শেষে আবার ঐ একই কথা, আমরা যেন বাংলা পরীক্ষার সময় বাংলাই পড়ি। আমাদের মূল দাবীগুলো আদায়ের জন্য এক লক্ষ্যে সবাই মিলে যেন কাজ করে যেতে পারি।