
আগেই বলেছি "বডের হাড্ডি কি জিনিস কত প্রকার ও কি কি"

কখন যে সেই মাইর পিটের মাঝে নিজেই ঢুকে পরতাম বুঝতে পারতাম না । আমিও সমানে নাক মুখ খিঁচিয়ে ভিলেন পিটানোর মহৎ কর্মে ইয়া! ঢিসুম ! টিসুম বলে হাত ছুড়াছুড়ি শুরু করে দিতাম । এই হাত ছুড়াছুড়ি করে কতবার যে কত জায়গায় আঘাত পেয়েছি । কখনো বা দরজায়, দেয়ালে । আবার কখনো চেয়ারে । তাতে আমার উৎসাহ আরো বেড়ে যেত । ভিলেনদের যখন দেখতাম মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে সজোরে হাত তালি দিতাম । তারপরই দেখা যেত স্বল্প বসনে ইয়া মোটা নায়িকা ছুটে আসছে নায়কের কাছে ।


♫♪"আমার সারা অঙ্গ রসে রসে ভরা...
এই যৌবন জীবন তোমারই লাগিয়া...ও ও ও ও" ♫♪

কেন যেন গান শুরু হলেই আম্মু টিভি অফ করে দিতো । বলতো "এসব দেখতে নেই" । আমি হাউকাউ করলে দিতো ধমক । হতাশ হয়ে বসে থাকতাম টিভির সামনে

মার্শাল আর্টের এতো বিদ্যা যখন অর্জন করলাম সেগুলো কাউকে না দেখালে কি চলে ?



তোরা মার্শাল আর্ট ছবি দেখিস ?
-হুম দেখি ।
ফ্লাইং কিক মারতে পারিস ?
-পারি ।
কচু পারিস । দেখি পারিস কিনা ?
সবাই তাদের প্রতিভা দেখানো শুরু করলো । আর আমিও তাদের নানা খুঁত দেখিয়ে দিতে শুরু করলাম । ততক্ষণে ক্লাসের আরো ছেলে পিলে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছে । ওদের একজন বলল- দোস্ত, তুই এবার দেখাইয়া দে কেমনে ফ্লাইং কিক দিতে হয় ? আমি মহা উৎসাহে আয়োজন করে ফ্লাইং কিক দেখানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম । নায়কের মতো দিলাম কিক । তারপর..................
তাল সামলাতে না পেরে ধপাস করে পড়লাম কনক্রিটের মেঝেতে ।


তারপর ছবির মতো আমাকে দেড় মাস থাকতে হয়েছিল । তখনো আফসোস করছিলাম -" হাত ভেঙ্গেছে দু:খ নেই । কিন্তু পরীদের সামনে এভাবে হিরু থেকে ভিলেইন হওয়ার দু:খ কোথায় রাখি


জীবনের ক্যানভাসের অন্য পর্ব গুলো
১. প্রথম প্রেমের অনুভূতি
২. আমাকে লেখা মেয়েটির সেই প্রেমের চিঠি
৩. আমার প্রথম পর্ণো দেখা



