সহস্র দিবস অতিক্রান্ত হইবার পর গুরুদেব হঠাৎ করিয়া চক্ষু উন্মেলন করিলে ভোম্বল নড়িয়া চড়িয়া বসিল।গুরুদেব স্সিত হাস্যের অবতারণা করতঃ বলিতে আরম্ভ করিলেন " ভোম্বল বংগদেশ তথা বাংলাদেশে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য অবলোকন করিতেছি।ইহা অতীব চমৎপ্রদ আর নাট্যগূন সম্পন্ন। ভোম্বল নিবেদন করিল "গুরুদেব বর্ননাকরত ধন্য করূন"।
গুরুদেব চক্ষু মুদিয়া বলিতে লাগিলেন " এক্ষনে দুইজন দেবী ও তাহাদের যুবরাজ সদৃশ দুই পূত্র বংগদেশের রংগমন্চে আবির্ভূত দেখিতেছি।দেবীদ্বয় কিন্চিত বৃদ্ধা তবে শাপ ও গরল বর্ষনে অতীব চন্চলা।ইহারা মর্তে জনদেবী ও দেশদেবী নামে সমাদৃতা।দেশদেবী অতীব প্রতিহিংসা পরায়না তির্যক স্বভাবা। এক্ষণে তিনি পারিষদ সমবিবহারে পশ্চিমদেশ ভ্রমনে ব্যপৃতা।দেশদেবী স্বল্পভাষিনী, চাটূকার পরিব্রাতা , ফ্যাশন নামক কলায় আসক্তা, কঠোর স্বভাবা।এক্ষনে তিনি আসন্ন 'নির্বাচন' নামক যগ্জ্যে করনীয় বিষয়ে চিন্তামগ্ন।তাহার পুত্র 'খাম্বা যুবরাজ' দেশদেবীর প্রতিহিংসায় পরবাসী।তাহার প্রর্তাবর্তন দেবীর চিন্তার কারণ।পক্ষান্তরে জনদেবী পুত্র 'লুইচ্চা যুবরাজ' প্রায়শ প্রজাকুলে আবির্ভূত হইতেছে এবং নানাবিধ গরল নির্গমণ করিতেছে।
দেখ ভোম্বল, বাংলাদেশে নির্বাচন যগ্জ্য ব্যাপক বিনোদন সম্ভাবনাময় এবং উত্তেজক।ইহার ভবিষ্যৎ কল্পনায় স্বয়ং নারদমুণী হিমসিম খাইতেছেন। কলি কলি ঘোর কলি'।