তিন বছর।
আশ্চর্য। দেখতে দেখতে তিন বছর পেরিয়ে গেল। এই সেদিন মনে সামুতে নিক খুললাম আর আজ চোখের পলকে আমি সামু তিন বছরের এক বৃদ্ধ ব্লগার। সত্যি সময় কি দ্রুত চলে যায়।
তো প্রথমেই দেখে নেই আমার ব্লগ পরিসংখ্যানঃ
পোস্ট করেছেন: ১১০টি
মন্তব্য করেছেন: ১০৮২৯টি
মন্তব্য পেয়েছেন: ৬৮৬৫টি
ব্লগ লিখেছেন: ৩ বছর ৫ দিন
ব্লগটি মোট ১৪৭৪৪০ বার দেখা হয়েছে
এর আগে কখনোই সামুতে বর্ষপূর্তি পোস্ট দেয়া হয়নি।এক বছর গেল, দুই বছর গেল, পঞ্চাশতম বা শততম পোস্ট- কখনোই কোন স্পেশাল পোস্ট দেয়া হনি। দেয়ার প্ল্যান ছিল না- একথা বলব না। কিন্তু অলস মানুষ। তাই যা হওয়ার তা-ই হয়। প্ল্যানগুলো সব মাথার ভেতরেই থেকে যায়, বাস্তবে আর রূপান্তরিত হয় না।
তবে সামুতে না দিলেও বর্ষপূর্তি পোস্ট দিয়েছিলাম বর্নমালায় আর চতুরে। বর্নমালায় একাউন্ট খুলেছিলাম ২০১১ এর শুরুর দিকে, ফেব্রুয়ারী বা মার্চে-ঠিক মনে নেই। এই বছর হঠাৎ কি মনে করে বর্নমালায় বর্ষপূর্তি পোস্ট দিয়েছিলাম। কোন ব্লগে এটাই আমার দেয়া প্রথম কোন বর্ষপূর্তি পোস্ট।পোস্টটা ছিল চরম ফ্লপ।সর্বসাকুল্যে কমেন্ট করেছিলেন দুইজন ব্লগার
এর পর বর্ষপূর্তি পোস্ট দিয়েছিলাম চতুরে। গতবছর জানুয়ারীতে চতুরে নিক খুলেছিলাম। একট পোস্ট লিখেছিলাম, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে গুগল ডুডল পরিবর্তনে তরুনদের প্রচারনা নিয়ে। এই পোস্টটাকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই মূলত চতুরে নিক খোলা।
এ বছর মে মাসে এসে হঠাত দেখি চতুরে আমার বয়স ১ বছর ৫ মাস। তাই তাড়াহুড়া করে একটা বর্ষপূর্তি পোস্ট দেয়া।
সেদিক থেকে দেখলে সামুতে বরং বর্ষপূর্তি পোস্টটা অনেক তাড়াতাড়িই দিচ্ছি। চতুরে পোস্ট দিতে গিয়ে যেখানে ৫ মাস দেরী হয়ে গিয়েছিল, সেখানে সামুতে মাত্র কয়েকদিন দেরী। নিঃসন্দেহে অলসতার মাত্রা কমছে
সামুতে বর্ষপূর্তি পোস্ট দেয়ার কয়েকটা প্যাটার্ন লক্ষ্য করেছি। সিনিয়র ব্লগাররা সাধারনত তাদের বর্ষর্পূর্তি পোস্টগুলোয় পুরনো দিনের কথা স্মৃতিচারন করেন, পুরনো ব্লগারদের কথা বলেন।ব্লগের মডারেশন নিয়ে তাদের সেই লেখাগুলোয় ক্ষোভ থাকে, প্রতিভাবান ব্লগারদের চলে যাওয়া নিয়ে কষ্ট থাকে, আগের মত মত সেই লেভেলের লেখক ব্লগ থেকে উঠে আসছে না, ব্লগের পরিবেশ-এসব নিয়ে হতাশা থাকে। এসব পোস্ট পড়লে ব্লগের ইতিহাস সম্পর্কে একটা ভাল ধারনা পাওয়া যায়, অনেক হারিয়ে যাওয়া লেখকের ব্লগের সন্ধান পাওয়া যায়।ব্লগার একরামুল হক শামীমের পাঁচ বছর পূর্তি, ব্লগার আবদুর রাজ্জাক শিপনের চার ও পাঁচ বছর পূর্তি পোস্টগুলো এই ক্যাটাগরীতে পড়বে।
আরেক টাইপের পোস্ট দেখা যায় যেগুলো আকারে খুব বেশী বড় হয় না। লেখক অল্প কথায় জানিয়ে দেন তার অত বছর পূর্ন হয়েছে,সকলকে ধন্যবাদ ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।সেলিব্রেটি ব্লগাররা এধরনের পোস্ট কখনো দেন না।এই পোস্টগুলো আসে সত্যিকারের সাধারন ব্লগারদের কাছ থেকে।
তৃতীয় টাইপের পোস্টগুলোতে লেখক শুরুতে জানিয়ে দেন তার বর্ষপূর্তি কথা। এরপর পোস্টে থাকে প্রিয় ব্লগার বা যেসব ব্লগারের লেখা ভাল লাগে তাদের বিশাল লিস্ট। এ ধরনের পোস্ট লিখতে একেতো সময় আর ব্যাপক পরিশ্রমের প্রয়োজন, তার উপর কোন ব্লগার নিজের নাম না দেখে দুঃখ পাওয়ার আশংকা থাকে।আবার অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে নিজের নাম দেখে খুশিতে গদগদ হয়ে ওঠেন।এই টাইপের পোস্টে ব্যাপক তেলের ছড়াছড়ি দেখা যায়।
এই বর্ষপূর্তি পোস্টটা কোন ক্যাটাগরিতে পড়বে?
আমি নিজে এখনো জানিনা। লেখা এগোতে থাকুক। দেখি কোনদিকে যায়।
তো প্রসঙ্গে ফিরে আসি।বর্ষপূর্তি পোস্ট। সুতরাং স্মৃতিচারন থাকবেই। সামুর প্রথম সন্ধান পাই ২০০৯ এর ডিসেম্বরে। তখন মাত্র নিজের নেট কানেকশান নিয়েছি, সারাদিন ফেসবুকে পড়ে থাকি। একদিন হঠাৎ সিএসই এর বন্ধু একট লিংক দিল চ্যাটে। বলল, দেখ বুয়েট নিয়ে কিসব লিখেছে।প্রত্যেক বুয়েটিয়ানের মধ্যেই বুয়েট নিয়ে একটা আলাদা আবেগ কাজ করে।সুতরাং লিংকে ক্লিক করাটা ছিল অবধারিত।
হলও তাই। দিলাম ক্লিক আর আমি প্রথম প্রবেশ করলাম সামুতে।
পোস্টটা ছিল “মৌমাছি” নামক একজন ব্লগারের। পোস্টের বিষ্যবস্তু ছিল বুয়েটিয়ানদের দোষ বা তাদের চরিত্রের খারাপ দিকগুলো।লেখক নিজেই দাবী করেছিলেন বুয়েটিয়ান ভাল দিকগুলো আর তাদের সাফল্য নিয়ে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা তিনি লিখতে পারবেন। যেহেতু সেসব বহুবারই লেখা হয়েছে, তাই তিনি নতুন কিছু লিখতে চান, তিনি লিখবেন বুয়েটিয়ানদের খারাপ দিকগুলো নিয়ে। একটা লিস্ট ছিল, তাতে মোট দশটা পয়েন্টে বুয়েটিয়ানদের চরিত্রের খারাপ দিকগুলো তুলে ধরেছিলেন।
উল্লেখ্য, পুরো পোস্টে ডাহা মিথ্যা কথা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। উদাহরনস্বরূপ বলতে পারি, লেখকের দাবী অনুসারে বুয়েটের ছেলেরা পরীক্ষা পেছানোর দাবীতে মিছিল করে স্যারদের আবাসিক এলাকায় ঢুকে স্যারদের বাসায় ঢিল মারে, পরীক্ষা না পেছালে স্যারদের পরিবার ও তাদের কাজের লোকেরা ছাত্রদের হাতে আক্রান্ত হয়, বুয়েটের ছাত্ররা দেশে ফিরে আসে না, দেশের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই- ইত্যাদি ইত্যাদি।
বুয়েটের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা দেখলেই বুঝতে পারবেন দাবীগুলো কতটা মিথ্যা। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা একজন ছাত্রের ওপর আক্রমনের প্রতিবাদে সাধারন ছাত্রদের আন্দোলন (জানুয়ারী ২০১২) বা সর্বশেষ ঘটে যাওয়া ভিসি বিরোধী আন্দোলনের দিকে তাকালেই বোঝা যায় বুয়েট ছাত্ররা কতটা শান্তিপ্রিয়। মারপিট বা ভাংচুর দূরে থাক, এইসব আন্দোলনে কোন গাছের একটা পাতাও ছেড়া হয় নী। আর সেখানে ইনি দাবী করলেন কেবলমাত্র পরীক্ষার পেছানোর দাবী ছাত্ররা স্যারদের বাসায় আক্রমন করে। কি হাস্যকর।
বুয়েটের যে পরিমান ছাত্র, সে হিসেবে অন্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনার সামুতে বুয়েটিয়ান বগারের সংখ্যা সবসময়ই বেশী।তাই পোস্টে প্রতিবাদ হতে কোন দেরী লাগেনি।লেখক কমেন্টে করা একটা প্রশ্নেরও জবাব দিতে পারেননি। উলটো দাবী করে বসে সে বুয়েটের সিএসই’র প্রথম দিকের ব্যাচের ছাত্র(৯০ বা ৯১) এবং পরবর্তীতে শিক্ষক, এখন পিএইচডি’র জন্য বাইরে আছে। সেখানেও সে ধরা খায়। কারন ৯০ বা ৯১ ব্যাচ হলে তার ৯৭ বা ৯৮ সালের মধ্যে পাশ করার কথা। এরপর ডিওয়ার্টম্যান্টে যোগ দিয়ে ২০০৯ এ পিএইডির জন্য যাবে (মাঝখানে ১০+ বছর)-এটা কোনভাবেই বিশ্বাসযোগ্য না।
যা-ই হোক, এরপর থেকে সামুকে ফলো করা। বন্ধুরা সামুর বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে। আমি পড়ি, কমেন্ট করতে হাত নিশপিশ করে, কিন্তু নিক নেই বলে কমেন্ট করতে পারি না। এরই মধ্যে আমাদের ক্লাসের দুজনের সামুতে নিক আছে বলে জানতে পারি। আমার নিক খোলার পেছনে তাদের নিক থাকাটা বেশ প্রভাব রেখেছিল। অবশেষে ১৭ই জুন ২০১০ এ সামুতে নিক খুললাম।
পেরিয়ে গেল এক সপ্তাহ। কিন্তু জেনারেল করেনা। তাই কোন কমেন্টও করতে পারি না, প্রথম পাতায় এক্সেসও পাই না।একজনের পরামর্শে তখন পোস্ট দিলাম, এতে নাকি নিক দ্রুত সেফ হয়। প্রথম পোস্ট দেয়ার পর কাজ ছিল খালি মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকা আর একটু পর পর পেজ রিফ্রেশ করা। যদি কেউ পোস্ট পড়ে, যদি কেউ কমেন্ট দেয়।আমার পোস্টে প্রথম কমেন্ট দিয়েছিলেন ব্লগার মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন। তাকে ধন্যবাদ।
এরপরের গল্প সিম্পল।ক্লাস শেষে রুমে আসি, পিসি অন করি, তারপর সারাদিন সামুর সামনে।বহুদিন এটাই ছিল আমার রুটিন।
ঐ সময় সামুতে প্রচুর পরিমানে ১৮+ জোক্স আসত।হিট হত ভালই, কিন্তু কমেন্ট থাকত না।অস্বীকার করব না আমার জোক্স পোস্ট করার পেছনেও কারন ছিল এটাই-হিট।কিন্তু একটা সময় বুঝতে পারলাম লোকে এধরনের পোস্ট পড়ে বটে, কিন্তু যারা ১৮+ জোক্স পোস্ট করে- তাদের ভাল চোখে দেখে না।তাই শেষ পর্যন্ত জোক্স পোস্ট করা বাদ দিয়েছিলাম।
সামুতে আমার অন্যতম সফল সিরিজ ছিল “আসুন আরেকবার জানি সামু সম্পর্কে”। সামু নিয়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যানমূলক তথ্য তুলে ধরাই ছিল এর উদ্দেশ্য।এই সিরিজ লিখতে গিয়ে কি পরিমান ব্লগে সময় দিতে হয়ছে আর কত ব্লগারের ব্লগ ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে তা কেবল আমিই জানি। তবে পাঠক সিরিজটা পছন্দ করেছিল-এটাই সুখের কথা।
সামুতে আরো বেশ কয়েকটা সিরিজ লেখার চেষ্টা করেছিলাম।রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে ঘড়ির সমন্বর ঘটিয়ে কিছু স্যাটায়ার টাইপ গল্প লেখার চেষ্টা করেছিলাম, পরে আর সিরিজটা কন্টিনিউ করা হয় নী। একইভাবে “অবিশ্বাস্য ইঞ্জিনিয়ারিং” নামে আরেকট সিরিজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু দেখলাম এখানে সিভিল ছাড়া বাকিদের খুব বেশী লেখার সুযোগ নেই,। কেননা বড় বড় স্থাপনাগুলো ছবি দিয়ে দেখানো সম্ভব আর অল্প কথা বলে দেয়া যায় কেননা অবিশ্বাস্য ইঞ্জিনিয়ারিং বলছি। কিন্তু অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বলতে গেলে প্রচুর টেকনিক্যাল টার্ম চলে আসে-যা হয়ত সাধারন পাঠকের অ্যান্টেনার শতহাত ওপর দিয়ে যাবে।তাই এই সিরিজটাও কন্টনিউ করা হয়নি।
সামুতে মোটমাট জেনারেল হয়েছিলাম চারবার। প্রথম যখন ওয়াচ থেকে জেনারেল হলাম, তারপর সেফ। এর কয়েকদিন পরই রাজাকার কন্যা ফারজানা মাহবুবাকে গালি দিয়ে আবার জেনারেল। সেবার মনে বড় ব্যাথা পেয়েছিলাম। তৃতীয়বার জেনারেল হই নটবর ভাদার পোস্ট নিয়ে মডুকে গালি দিয়ে। নটবর ভাদার পোস্ট দেখে মেজাজ সেবার নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারিনি, ফলশ্রুতিতে আবার জেনারেল। আর শেষ জেনারেল হয়েছিলাম য়চিনপুরের বুয়েট বিরোধী পোস্টের কাউন্টার পোস্ট দিয়ে।এরপর থেকে সাবধান হয়ে গেছি। ক্যাচাল থেকে এখন দূরে থাকারই চেষ্টা করি।
গত তিন বছরে সামুতে অনেক সিন্ডিকেটেরই উত্থান ও পতন দেখেছি।আমি ব্লগে আসার আগেই এ টীমের পতন ঘটেছিল। যখন ব্লগে আসি তখন নাস্তিকদের ব্লগে মারাত্মক দাপট, বাতাসে উড়ো খবর ভেসে বেড়াতো মডু প্যানেলেও নাকি এই নাস্তিক সিন্ডিকেটের লোকজন দিয়ে ভরা।তাই নাস্তিক নামধারী ইসলাম বিদ্বেষীরা যত জঘন্য পোস্টই দিক কোন সমস্যা নাই, কিন্তু সামান্য প্রতিবাদ করলেই জেনারেল, ব্যান ইত্যাদি।
সেই নাস্তিক সিন্ডিকেট আর নাই। এক্সময়ের প্রবল পরাক্রমশালী মামা-ভাগিনা ওরফে সিঙ্গারা-সমুচা সিন্ডিকেটও একসময় ভেঙ্গে পড়েছিল।ব্যাপক ঘোষনা দিয়ে ব্লগে এসেছিল জাতীয়তাবাদী সিন্ডিকেট, যদিও তাদের কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না এখন।ব্লগে কাডল পাতার অভাব হয়ায় ছাগুদের ম্যাতকারও আগের মত আর শুন্তে পাই না।
সামুতে বিনোদনের অভাব হলেই মাঝে মাঝে কিছু গ্রুপ নিকের সৃষ্টি হয়, যার কাজই থাকে ভাড়ামো করে হিট বাড়ানো।এই নিকের তালিকায় আমি মনে প্রথম দেখেছিলাম প্রিন্স-নাভান সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।লুলামিতে এই নিক ছিল অদ্বিতীয়। এই লিস্ট পরবরতীতে আরো আসে রাশেদ হাসান- যার কাজ ছিল বাংলা ভাষাকে ধর্ষন করা। তবে এই ধারায় সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পায় সাঃ উঃ জাঃ মোর্শেদ কুতুব মজনু।এখন আর এ ধরনের নিক দেখা যায় না। (স্যার জাকারিয়া এই লিস্টে আসবেন কিনা তা নিয়ে আমার মনের মধ্যে আজও সন্দেহ রয়ে গেছে।)
সামু নিয়ে আরো অনেক কিছুই লেখার ছিল। আর টাইপ ক্রতে ইচ্ছা করছে না। কোন প্রিয় ব্লগারের লিস্ট দিলাম না, পোস্ট তাহলে আর শেষ করতে পারব না। স্মৃতিচারন করতে গেলেও অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে। সবতো আর এক পোস্টে লেখা সম্ভব না, তাই ভাবছি নতুন একটা সিরিজই শুরু করব-“আমার দেখা সামু”।
আজ এ পর্যন্তই। সকলকে শুভ রাত্রি।
হ্যাপী ব্লগিং।জয়তু ফ্রেশ ব্লগিং।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৯