কিভাবে শিশুর বিকাশ ঘটে আমার এই পোষ্ট থেকে আপনারা সম্যক ধারনা পাবেন। শিশুর বিকাশের প্রতিটি পর্যায় একটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ, যা আগের পর্যায়ের ভিত্তির উপর দাঁড়ানো এবং পরবর্তী পর্যায়কে প্রভাবিত করে। সব শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ একই গতিতে হয় না। কারো কারো বিকাশ ধীর গতিতে হতে পারে। আবার তা অপর্যাপ্ত পুষ্টি,দুর্বল স্বাস্থ্য, উদ্দীপনার অভাব কিংবা আরো গুরতর সমস্যার কারনে হতে পারে। আজকের পর্বে ১ মাস বয়সী শিশুর বিকাশ সম্পর্কে লিখছি-
১ মাস বয়সে শিশু যা করতে পারবে:
১। গালে বা মুখে আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করলে সে ঐ হাতের দিকে মাথা ঘুরিয়ে তাকাবে।
২। নিজের মুখের দিকে দু,হাত টেনে নিয়ে আসবে।
৩। পরিচিত কণ্ঠস্বর ও শব্দের দিকে মাথা ঘুরিয়ে তাকাবে।
৪। মায়ের স্তন চুষার সময় হাত দিয়ে তা র্স্প্শ করবে।
এ সময় মা-বাবা ও শিশুর যত্নকারীর জন্য পরামর্শ-
১। শিশুকে মায়ের ত্বকের স্পর্শে রাখবেন এবং জন্মের এক ঘন্টার মধ্যেই মায়ের বুকের দুধ খেতে দিবেন।
২। শিশুকে কোলে নেয়ার সময় হাত দিয়ে তার মাথা ধরে রাখবেন।
৩।মাঝেমাঝেই শিশুর গায়ে হাত বুলাবেন এবং আদর করে বুকে জড়িয়ে ধরবেন।
৪।সব সময় শিশুকে খুব যত্নের সাথে নড়াচড়া করবেন। এমনকি আপনি যখন ক্লান্ত বা বিরক্ত তখনও।
৫।ঘন ঘন বা চাওয়ামাত্র শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াবেন।
৬। শিশুর মল সব সময় সতর্কতার সাথে পরিস্কার করবেন এবং প্রতিবার সাবান দিয়ে হাত ধোবেন এবং পরিস্কার কাপড় দিয়ে হাত মুছবেন।
৭। যতবেশী সম্ভব শিশুর সাথে কথা বলবেন এবং তাকে ছড়া আউড়ে গান গেয়ে শোনাবেন।
৮। শিশুকে নিয়মিত স্নেহ ভালবাসা দেবেন।
এ সময় শিশুর যে সব লক্ষন দেখে সতর্ক হবেন-
১। শিশু স্তন কম চুষলে বা চুষতে না চাইলে।
২। হাত পা খুব কম নাড়াছাড়া করলে।
৩। জোরে শব্দ হলে বা উজ্জ্বল আলো দেখলেও শিশুর মধ্যে খুব কম প্রতিক্রিয়া হলে বা কোন প্রতিক্রিয়া না দেখালে।
৪। বোধগম্য কোন কারন ছাড়া দীর্ঘক্ষন কান্নাকাটি করলে।
৫।বমি ও ডায়রিয়া হলে, যে কারনে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়।
এসব লক্ষন দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
২য় পর্বে থাকবে ৬ মাস বয়সী শিশুর বিকাশ নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২১