১ । মনে করুন, এমন একটি যাদুঘর বানানো হবে যেখানে বিশ্বের বিখ্যাত সব চরিত্রের মোমের মূর্তি সাজানো থাকবে । জেমস বন্ডের বাহুলগ্ন হয়ে থাকবে কোন এক বন্ড গার্ল, এখন বলুন কোন যুক্তিতে এই যুগল মূর্তির সামনে শার্লক হোমসের মূর্তি রাখা যাবে না????
উঃ বন্ড- বন্ড গার্ল জুটির যেই পরিমাম “হট” ঐ পরিমাণ গরমে ঠান্ডা মাথার(পড়ুন মোমের) শার্লকের মূর্তির নাক গলে যেতে পারে । জেমস বন্ডের পারসোনাল ব্যাপারে হোমসের এই “নাক গলানো” বন্ড নিশ্চয়ই ভালো নজরে দেখবে না ।
(নোটঃ এখন আবার জিজ্ঞাস করে বসবেন না বন্ডদের মূর্তি কেন গলে গেল না, এই প্রশ্নের জবাব দিতে গেলে লেখককে আঁতলামির আশ্রয় নিতে হতে পারে ।)
২ । ভরপেট খাওয়ার পর যে কারো পেটে “অনাগত ভবিষ্যত” চলে আসে । না না, আগেই ঘাবড়ে যাবেন না, এই “অনাগত ভবিষ্যত” আসলে অন্য জিনিস । আপনি যেই খাবারটা খেলেন সেটা যথাযথভাবে পরিপাক হয়ে কয়েক ঘণ্টা পর এক বিশেষ রূপে আবার বের হয়েও যাবে । এই “বিশেষ রূপ” টিই হল তথাকথিত “অনাগত ভবিষ্যত”........।
৩ । একজন লিবারেল ভেকধারী পাঁড় আওয়ামী লীগ সাপোর্টার এবং একজন সত্যিকারের লিবারেল রাজনীতি সচেতন লোকের মাঝে তর্ক হচ্ছেঃ
আওয়ামী সাপোর্টারঃ বিএনপি দুর্নীতি করেছিল গোপনে, শৈল্পিকভাবে। বিএনপির দুর্নীতিতে একটা আর্ট আছে, তাদের শাসনামলে তাদের দুর্নীতির কথা জনতা ঢালাওভাবে জেনে যায়নি। আওয়ামি লিগ স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করে। তারা কথা বলে স্বচ্ছতার সাথে, দুর্নীতি করে স্বচ্ছতার সাথে। আওয়ামী লীগ নিজেই ন্যাঙটা হতে জানে, তাদের অন্য কারো “হাত” লাগে না.......বিএনপি বরং আওয়ামী লীগকে এই শিল্প শিখাইতে পারে...........”
দ্বিতীয় লোকটি বললেন, “এটা কোন কথা হল নাকি??? আর বিএনপির কাজ-কামের কথা মানুষ জানেনাই কে বলছে আপনাকে??? মানুষ কি তাদের এমনিই রিজেক্ট করছিল নাকি??? আপনার মত এমন যুক্তি যদি কয়দিন পর বিএনপি-জামাত শিবির দেয়??? তারা যদি বলে আমরা দেশের ভালো চাই তাই এত কারণ থাকা সত্ত্বেও হরতাল কম দেই, শিবিররা যদি বলে আমরা আরসব সংস্থাগুলোর মত টেন্ডারবাজি-লুটপাট না করে কোচিং করিয়ে তহবিল সংগ্রহ করি তাই আমরা ধোয়া কাঁঠাল পাতা.....তবে??? কোন অধিকারে আপনি তাদের সমালোচনা করে পারবেন???"
আওয়ামী সমর্থক কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন, এরপর একটি আধ ভাঙগা রেকর্ডার বের করে বোতাম টিপে দিলেন......নিয়মিত বিরতিতে তা তার আগের কথাটির রিলে করতে থাকে..................
৪ । সরকারি অফিসগুলোতে করাপশন ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে । ঠিক করা হল ঘুষ বাণিজ্য প্রতিরোধ করার সুবিধার্থে জায়গায় জায়গায় অভিযোগ বক্স বসানো হবে । সেখানে ভুক্তভুগীরা সবাই নিজের নিজের কপ্লেন জানাতে পারবে । একটি গ্রান্ড সংবাদ সম্মেলন ডেকে ঘোষণাটি জানিয়ে দেয়া হল ।
এক ভুক্তভোগী সাংবাদিকের প্রশ্ন, “প্রবলেম বক্সে অভিযোগ ওঠাতে কত টাকা দিতে হবে স্যার???”!!