গুলিস্তান ডাংগুলি সমিতির সর্দার মগাধিরাজের কাছে অতিসম্প্রতি একখানা অদ্ভূত প্রস্তাব আসিয়াছে । ইহা অবশ্য অবধারিতই ছিল বলা চলে, কারণ সংগঠক হিসাবে উপরে উঠিবার লাগিয়া মগাধীরাজের চেষ্টার কমতি ছিল না । নানা জায়গায় টুক্কা মারিয়া নিজের টাউটারি ব্র্যান্ডিং করিবার অভিপ্রায়ে মগাধীরাজ সর্বদা সক্রিয় থাকিতেন । এমতাবস্থায় আচমকা তিনি মতিঝিল ডাংগুলি সমিতির প্রস্তাব পাইলেন । ওই সমিতি তাহাকে ছারপোকার চাইতেও বেশি দায়িত্ব নিয়া পৃষ্ঠপোষকতা করিবার আশ্বাস দিল । কিন্তু মতিঝিল সমিতি একটা শর্তও দিয়াছিল । শর্তটা হইল গুলিস্তানের দল গিয়া মতিঝিল পোলাপানের সহিত ডাংগুলি খেলিবে । কিন্তু মতিঝিলে ঘনঘন ধসের কারণে প্রায়ই গোলযোগ বাঁধিয়া যায় । একারণে যৌক্তিকভাবেই গুলিস্তানের ডাংগুলির সাথে জড়িত সবাই মগাধীরাজকে শাপ-শাপান্ত করিতে আরম্ভ করিলেন । তখন মগাধীরাজ ডাংগুলির বিকাশে তার অবদান সম্পর্কে তার অবদান বলিয়া বেড়াইতে লাগিলেন । মগাধীরাজের বস “সাইকো” ও একপর্যায়ে ক্ষমতাবান শিষ্যেকে আশকারা প্রদানে মাতিয়া উঠিলেন ।
অন্যদিকে সাইকো এখানে সেখানে বলে বেড়াতে থাকলেন, “আমাদের সময়েই আবুদুবরা বেশি মার্বল গাত্তার ভিতরে হান্দাইসে ।’’ যে কথাটি তিনি বললেন না সেটি হল এর জন্য তারা যেখানে খুশি সেখানে পাঠাইবার অধিকার রাখেন । যাহাই হউক, মগাধীরাজ সাহেব কিন্তু জ্যোতিষচর্চাও কিন্তু মন্দ বুঝেননা । তার ভবিষ্যবাণী মোতাবেক বখরাবাজারের যাবতীয় আবালেরা সত্যি সত্যিই আবাল বনিয়া গিয়াছিল । তাও আবার একজন নয় হে, একেবারে লাখে লাখে……অমন বড় জ্যোতিষি হওয়া কি মুখের কথা নাকি হে??? তার মত একজন জ্যোতিষি দেখান দেখি, জানি পারবেন না……। কতিপয় গোমুখ্যু খামোখা তাহার ইংরাজি উচ্চারণ লইয়া তামাশা করে, আরে ইংরাজি ভাল না জানিয়াই টাউটারি দুনিয়ার সর্দার হইয়া গেলেন জানিলে তো এতদিনে রজনীকান্ত হইয়া যাইতেন সেটা কেন কেউ বুঝেনা?
আরে……যদি উনি খালি জ্যোতিষ চর্চায় চিপকাইয়া থাকিতেন তাহলেও এক কথা ছিল । কিন্তু মাল্টিট্যালেন্ট মগাধীরাজ তো চেপে থাকার লোক নন, দরকার পড়িলে প্রতিভা তাহার কেরাটিনাইজড স্ট্রাটিফায়েড স্কোয়ামাস চামড়া হইতে কেরামতিস্বরূপ উগলাইয়া মাসপাবলিককে সিগনিফিক্যান্টলি হরিফায়েড করিয়া দিতে বাধ্য থাকিবে । একারণে কদিন পর তাহাকে গভীরভাবে ঠ্যাং পর্যবেক্ষণ করিতে দেখা গেল, কার সেটা বিবেচ্য নয়……প্রশ্ন হইল, যে ভাব লইয়া উনি ওই উড়াধুড়া আদমসন্তানের উরা দেখিতেছিলেন তাহাতে তাহার গাটসের তারিফ না করিয়া পারি না ।
যাহাই হউক, বিশিষ্ট জ্যোতিষ, হেকিম, বহুভাষাবিদ, সাহসী, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মগাধীরাজ “নিখিল বিশ্ব ডাংগুলি সমিতি”র চূড়ামণি হইবার লক্ষ্যে আগাইয়া যাইতেছেন । তাহার যাত্রাপথেই তিনি যেন ভালমত উষ্টা খাইতে পারেন, এই বদদুয়া করিয়া কচকচানি অফ করিলাম
এইরকম আরো একটি স্যাটায়ারঃ
মিশন ড্যাম্পসিবলঃ গোস্ত প্রটোকল (একটি মহামারী স্যাটায়ার)