স্বপ্ন সবাই দেখে। তবে স্বপ্নপূরন সবার হয় না। স্বপ্নপূরন করতে হলে নিজেকে সেভাবে তিলে তিলে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হয়।
বেশ কয়েকবার আমার বসকে বিভিন্ন জায়গায় নামিয়ে দেওয়ার পরে বসের ড্রাইভার আমাকে বলেছে বসের পাজেরো জীপে চড়ে ফেরত যেতে। প্রতিবারই আমার রিপ্লাই ছিলো, "আমি যদি কোনদিন বসের মত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারি, এবং আল্লাহ যদি আমাকে তৌফিক দেন, তাহলে আমি নিজের পাজেরোতে উঠবো। আর যদি যোগ্যতা অর্জন না করতে পারি আর আল্লাহ যদি সেই তৌফিক না দেন, তাহলে উঠবো না "। বসের ড্রাইভার আর কোন কথা বলেনি। আমি জানি আমি বস না। আমার বর্তমান যোগ্যতা এবং প্রাপ্য সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল।
জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না কি তার নিজের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল? অজ্ঞাত ব্যাক্তি যখন তাকে "জিওসি লেভেল" বা জেনারেল বা সেনাপ্রধানের সাথে কথা বলার প্রস্তাব দিচ্ছিলেন, তখন কি একবারও তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে সঠিক ধারনা হয়নি? একবারও কি একথা মনে প্রশ্ন জাগেনি যে তিনি কি এতই গুরত্বপূর্ণ ব্যাক্তিত্ব যে জেনারেলরা তার সাথে কথা বলার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকবে? ভদ্রলোক যদি নিজের প্রকৃত অবস্থানটা একবার ভালোভাবে বিচার করতেন, তাহলে হয়ত এত হাসির পাত্রে নিজেকে পরিনত করতে হতো না।
এবার একটু ভিন্ন কিন্তু প্রাসংগিক বিষয়ে আসি।
স্টিং অপারেশন। এটি আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি বিশেষ ধরনের অপারেশন যেখানে সন্দেহভাজন অপরাধীদের বিভিন্ন টোপ ফেলে অপরাধ সংঘটনের ঠিক আগে আগে প্রমানসহ গ্রেফতার করে। বেশ কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে একজন বাংলাদেশী ছাত্র ফেডারেল ব্যাংকে বোমা হামলার পরিকল্পনার জন্য গ্রেফতার হয়। প্রথমে এফবিআই তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধারনা করে। এরপর ছদ্মবেশী এজেন্ট তাকে তাল দিয়ে দিয়ে সময়মত উপযুক্ত প্রমানসহকারে আটক করে। একেই বলে স্টিং অপারেশন।
জনাব মান্নার বর্তমান অবস্থান বা যোগ্যতা বিচারে জেনারেলরা তার সাথে কথা বলার জন্য মুখিয়ে থাকার বিষয়টা বাস্তবতাপূর্ণ বলে আমার বিচারে মনে হয় না। উনি কি তবে স্টিং অপারেশনের একজন লক্ষ্যবস্তু ছিলেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪১