আজ দুপুরে একটি কাজে অফিসের গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম বালুঘাটে। বাড্ডা থেকে মিরপুর হয়ে বালুঘাট বেশি দূর হয় বলে ড্রাইভার উত্তরা জসিম উদ্দিন রোড দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল। দুলিপাড়া পার হবার পর (জায়গাটার নাম জানিনা) যখন আমরা এয়ারপোর্টের দেয়াল ঘেষা রাস্তা ধরে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি সামনে একজন নেশাখোরদের মত দেখতে কাল শার্ট পরা যুবক গাড়ি থামার নির্দেশ দিচ্ছে। গাড়ি থামানোর পর যা শুনলাম তা হল আমাদের গাড়ির পেছনের বাম্পারে লেগে নাকি তাদের মটর সাইকেলের হেডলাইট ভেঙে গেছে, সাথে ড্রাইভারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি। বাস্তবিক অর্থে আমরা এমন কোন আওয়াজ পাইনি বা চলার পথে ওদের বাইক দেখিনি। লোকটি হঠাৎ একটি মোড় থেকে উদয় হয়। যা হোক আমি পেছনে গেলাম বাইকটি দেখতে। দেখলাম ভাঙ্গাটি সদ্য নয়। কিন্তু কিছু বলতে সাহস হল না কারন সাথে আরেকজন ছিল। আর আশেপাশে লোকজনও নেই রাস্তা ফাঁকা, তারপর ঐ এলাকার ছেলে, আবার পরিচয় দিল ছাত্রলীগ করে। তাদের দাবি ১৮ শ টাকা লাইটের দাম। ড্রাইভার ১ শ টাকা দিতে চাইলে বলল তাদের অপমান করা হচ্ছে। এরপর তাঁরা বলতে থাকে টাকা না দিলে পোলাপাইন আসবে তখন মোবাইল, গাড়ির সামনের গ্লাস দুইই যাবে। উপায় না দেখে আমার কাছে অল্প যা টাকা ছিল সব দিয়ে দিলাম। অফিসের গাড়ি বলে কথা আবার ড্রাইভারকেও বারবার হুমকি দিচ্ছিল মারপিট শুরু করল বলে। টাকা পেয়ে তাঁরা আমার ওয়ালেট, পকেট সার্চ করে দেখল আরো আছে কিনা। কিন্তু কিছুই পেল না। এরপর বাইক নিয়ে তাঁরা দ্রুত প্রস্থান করে। আমার সস্তা পুরানো মোবাইলটা নিতে বোধ হয় তাদের আগ্রহ হল না। ব্যাপারটি ঘটে যায় ১০ মিনিটে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৩