সিগারেট...একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর জিনিস।
তবে যারা সিগারেট খোর তারা সেটা ভালো মতই জানেন, অথচ তারপরেও খান। আমিও সিগারেট খাই। দিনে চার পাঁচটার মত লাগেই।
সিগারেট ছাড়ার প্রথম পরিকল্পনাঃ
এটা আসলে ছাড়ার পরিকল্পনা বললে ভুল হবে। এটা ছিলো সাময়িক। আইবিএ তে ভর্তি পরীক্ষা দেব। তাই ঠিক করলাম ভর্তি পরীক্ষার আগে আর খাবো না। পরে খাবো। এক মাস টানা সিগারেট খাই নাই। কিন্তু পরীক্ষা খারাপ দিয়ে এসেই ধরাইলাম। সেইটা চলল, একমাস।
সিগারেট ছাড়ার দ্বিতীয় পরিকল্পনাঃ
আবারও ভর্তি পরীক্ষা। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিট এ ভর্তির জন্য সেরকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। সিগারেত অফ রাখলাম দুই মাসের মত। অথচ পরীক্ষা ভালো হলো, সেই আনন্দে আবার শুরু করলাম।
সিগারেট ছাড়ার অসীম পরিকল্পনাঃ
এরপর মনের সাথে অনেক যুদ্ধ করেছি। আগে বেনসন খাইতাম। সেইটা থেকে ভাবলাম লাইটস খাইলে আর সমস্যা নাই। কিন্তু লাই্টস খাইলেই কাসি হয়। তাই আর সেটা কন্টিনিউ করলাম না। খাবোই যখন বেনসনই খাই।
এর মধ্যে জুটলো কিছু সিগারেট খোর বন্ধু। তাদের সাথে দেখা হইলেই সিগারেট খাইতেই হয়। সিগারেট আর চা। অনেকের মত আমারও প্রিয় আড্ডার উপকরণ।
এই বন্ধুরা এখনও আছে। তাদের সাথে দেখা হলেই খেতে হয়। তাই আর ছাড়া হলো না। রোযার মাসে চা বিড়ির দোকানে লুকিয়ে সিগারেট খাই, অথবা রিক্সার হুড তুলে খাই। কিন্তু খাওয়া চলে। ছাড়তে পারি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের অনেক বড় ভাই আর টিচার পরিচিত থাকার কারণে ক্যাম্পাসে খাই না। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বাসায় আসার পথে অনেক প্রমিজ করতে থাকি আর খাবো না, অথচ কেমন করে যেন অবচেতনে কিনে ফেলি সিগারেট।
হয়তো আর ছাড়তেই পারবো না। মনের সাথে এই যুদ্ধ এক তরফা ভাবে চলতেই থাকে।
মাঝখানে ভাবলাম খাওয়া কমাবো। অথচ সেই পাঁচ ছয়টা থেকে আর কমাতেই পারছি না।
আজকে এই ব্লগের সবার সামনে নিজের এই কুৎসিত মূর্তিটা তুলে ধরলাম। আমি চাই, কিন্তু পারি না। কেন আমি নিজেও বুঝি না।
নিজেকে এই জন্য অনেক ঘৃণা করি। অথচ শরীরটা কেমন যেন হয়ে গেছে। আনন্দ লাগলেও খেতে হয়, দুঃখ পেলে তো কথাই নাই।