জন্মের পর নানুমনি আদর করে নাম রেখেছিল সোহাগী। পুরো নাম সোহাগী জাহান তনু। তাকে সবাই খুব আদর করতো। তনুকে তার বাবা পরম স্নেহে বুকে নিয়ে বলতো, মা’রে তোরে আমি বুকের মধ্যে আটকে রাখতে চাই। এই বলে মেয়েটাকে বুকে জড়িয়ে নিতো তার বাবা। মেয়ে তখন বলতো- বাবা আমি তো বড় হয়েছি। তুমি কি পারবে সারাজীবন আমাকে তোমার বুকের মধ্যে আটকে রাখতে। বাবা তখন বলতো, পারবো। কিন্তু আসলেই কি বাবা তার আদরের ধন, কলিজার টান তনুকে ধরে রাখতে পেরেছেন। একজন ছাপোষা বাবা কি তার মেয়েকে নিয়ে দেখা সব স্বপ্নের স্বাদ নিতে পেরেছেন, পারেননি। কিংবা মেয়ে কি পেরেছে তার সহজ-সরল বাবার হৃদয়ে মাথা গুঁজে থাকতে, পারেনি। এ সমাজে গরীব বাবা-মেয়ের স্বপ্ন দেখতে হয় না। গরীব সেতো অস্পৃস্য, নিচুতলার মানুষ। তাদের আবার পড়ালেখা, শিক্ষকতা মানায় নাকি। তবু বাবার বড় শখ তার মেয়ে পড়বে, মানুষের মত মানুষ হবে। কিন্তু মেয়েকে পড়ানোর শিক্ষাব্যয় বহনে কেরানি বাবার সামর্থ্য নেই। মেয়েও সব বুঝত। তাই নিজের খরচেই এতদিন পড়াশোনা চালিয়ে নিচ্ছিলো বেশ। দুই দুইটা টিউশনি করতো সে। আর তাই দিয়ে নিজের পাঠ চালিয়ের নেয়ার খরচ নির্বাহ করতো। সেদিনও টিউশনিতে গিয়েছিল সে। কিন্তু আর ফিরলো না। সেদিন ২০ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে প্রতিদিনের মতো তনু ঘর থেকে বের হন। বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে। কিন্তু চেষ্টা ব্যর্থ হলে যে বাসায় টিউশনি করতেন সেখানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ওই বাসা থেকে তিনি বের হয়ে গেছেন। তনুর মা মন খারাপ করে বসে আছেন। অপেক্ষা তনুর বাবা ইয়ার হোসেন আসলে একটা উপায় বের হবে।
ইয়ার হোসেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী, ছাপোষা কেরানি। সেদিন তার ডিউটি ছিল বেলা দুইটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। রাত সোয়া দশটায় সাইকেলে করে বাসায় ফিরেছেন তিনি। দুয়ারে এসে দেখেন, তনুর মা মেঝেতে মন খারাপ করে বসে আছে। জিজ্ঞেস করলেন তনু কোথায়? উত্তর আসলো মেয়ের বাসায় না ফেরার কথা। তখন তিনি প্রতিবেশী ক্যান্টনমেন্ট বালক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিকদার কামালকে ঘটনাটা জানান। এরপর টর্চলাইট নিয়ে মেয়ের খোঁজে বের হন। বেশি দূর যেতে হয়নি তাকে। বাসার কাছেই একটি কালভার্ট আছে। কালভার্টের পাশে টর্চলাইটের আলো ফেললেন তিনি। এদিকে ভয়ে বুক কাঁপছে। অজানা আশঙ্কা ভর করছে তার বুকে। টর্চের ফর্সা আলোয় দেখেন মেয়ের একটি জুতা পড়ে আছে সেখানে। তখন আকাশ ফাটা চিৎকার দিয়ে তিনি কালভার্টের নিচে নেমে পড়ে তিনি। তার গলার এমন ভয়ানক আওয়াজ শুনে ছেলে রুবেলও (তনুর ছোট ভাই) বাসা থেকে চলে আসে। সাহস সংশয় করে আরো কিছুদূর যেতেই তিনি খুঁজে পান সম্প্রতি মেয়েকে কিনে দেয়া সেল ফোনটা। কিন্তু কোনোভাবেই তিনি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। জুতা আর মোবাইল ফোন হয়তো অন্য কারো। এসব তার মেয়ের হতে যাবে কেন। তিনি কোনোভাবেই শক্তি সঞ্চয় করে ঘটনা সামাল দিতে পারছেন না। সামনে আগানোর বল পাচ্ছেন না। এরপর খুঁজতে খুঁজতে ইয়ার হোসেন আরো কিছুদূর আগান। এবার একটু উঁচু জায়গায় জঙ্গল ও গাছগাছালির মধ্যে তনুকে পেলেন তিনি।
গাছের তলায় তনুর মাথা দক্ষিণ দিকে আর পা উত্তর দিকে পড়ে আছে। মাথার নিচটা থেঁতলে গেছে। পুরো মুখে রক্ত আর আঁচড়ের দাগ। এভাবেই একজন বাবা তার আদরের মেয়েকে আবিষ্কার করলেন। যা কোনোদিন জগতের কোনো বাবাই চায় না। বাবা যখন বুঝতে পারলেন, তার মেয়ে ধর্ষণ করে প্রাণে মেরে ফেলা হয়েছে তখন তার মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল? পৃথিবীর আর দ্বিতীয় কোনো বাবা সেটা কোনোদিন বুঝতে পারবে না। তনুর এমন করুণ মৃত্যুতে তনুর বাবার মনের ভেতর দিয়ে কী ঝড় বয়ে গেছে তখন, তনুর মায়ের মনের ওপর দিয়ে তখন কেমন দুঃখ বন্যা বয়েছিল? এ হতভাগ্য দম্পতির সমস্ত অস্তিত্বজুড়ে এখন কী অসহ্য অমেয় বেদনার পাহাড় চেপে বসে আছে! আমরা তা কল্পনা করতে পারছি না। আমরা এই চাপ নিতে পারছি না। তাদের কী প্রাণবন্ত একটা মেয়ে ছিল। যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাসে পড়তো। নাটক, আবৃত্তি করতো। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ওর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।ছবিতে দেখা যায়- মাথায় স্কার্ফ, মুখে মুচকি হাসি, চোখে বুদ্ধির ঝলক। কদিন আগেও তনু তার ফেসবুকে লিখেছিল- আমাকে আমার মতো থাকতে দাও/ আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি। সত্যিই কত গোছগাছ আর পরিপাটি করে আমরা তাকে থাকতে দিয়েছি। তার প্রাণহীন বিক্ষত দেহ পড়ে রইল কালভার্টের পাশে, জঙ্গলের ভেতরে। কিন্তু তনু কোনোদিন আর ফেসবুকে লিখবে না, সে কেমন আছে? কেমন থাকতে চায়? তনু আজ আকাশের পানে তাকিয়ে শুয়ে আছে মাটির কবরে। আর চাঁদের আলোতে কবরের ঘাসে ঝিকমিক করছে তার প্রাণোচ্ছ্বল অবিরাম সেই হাসি। আর তনুর বন্ধুরা ফেসবুকে তনুকে নিয়ে এখন শোকগাঁথা লিখছে। বন্ধু মানুছরা সাথী তনুকে নিয়ে লেখা এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন ‘সন্ধ্যা ৫ টায় বের হয়েছ, প্রাইভেট পড়িয়ে আসার পথে, পিছন থেকে আঘাত, নাক বরাবর ঘুষি, চুলটেনে ছিঁড়ে ফেলেছে। বাবা খুঁজতে বের হয়েছে রাস্তায়। তার (সোহাগী) জুতা চুল, একটু দূরে মোবাইলটা, আর একটু দূরে তনুর লাশ, বাবা চিৎকার করে বলল মা, মা, মা, মা আমার।’ ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সোহাগী তার মাকে বলেছিল, মা টেইলারের কাছ থেকে আমার নতুন জামাটা আজ নিয়ে আইসো, আমি কাল নতুন জামা পরে কলেজ যাবো। এতোটুকু পড়ে আর পড়া যায় না। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। তনু যে আরো কোনোদিন নতুন জামা পড়বে না। কখনো যাবে না ভিক্টোরিয়ার ক্যাম্পাসে। নাটক আর কবিতায় শিহরণ তুলবে না আর কোনে প্রাণে। আর কোনো বন্ধু তাকে নিয়ে ফেসবুকে লিখবে না, আপু তুমি কিভাবে চলে গেলে, আমরা যে অপরাধী হয়ে গেলাম। জানো আপু, ভিক্টোরিয়া থিয়েটারে তোমার করা নাচ আমার খুব ভালো লাগতো। আর সবচেয়ে ভাল লাগতো তোমার মুখের ভাইয়া কথাটা। ঘুম থেকে ওঠে যখন শুনলাম তুমি আর নেই, মনে হলো আকাশটা আমার মাথায় পড়লো। ওরা তোমার লাশটাও দেখতে দিল না। তোমাকে যারা মেরে ফেললো তাদের বিচার চাই।’
তনুর এসব বন্ধু, ভাইয়া আর সহপাঠীরা এভাবেই প্রথমে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে তনুর বিচার চেয়ে পোস্ট করেছিল। পরে যেটা ভাইরাল হয়েছিল। কুমিল্লায় মাঠে নেমেছিল তনুর ৩০ হাজার সহপাঠী। বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে বসে থাকতে পারেননি রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাও। তনুর বন্ধুদের সঙ্গেই হাতে হাত ধরে রাজপথে নেমে আসেন সব ভেদাভেদ ভুলে। এক কাতারেই দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সব দল আর মতের লোকেরা। এসব দৃশ্য দেখে সাধারণ মানুষের মাঝে আন্দোলনের শক্তিটা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যদেরও বার বার চোখ মুছতে দেখা যায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাট্যসংঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে। রাজধানীর শাহবাগে, ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন, মিছিল আর সমাবশে হয়েছে। প্রেসক্লাবে কয়েকশ মানবাধিকার সংগঠন সভা করেছে। সব পক্ষের একটাই প্রশ্ন সেনাকুঞ্জের ভেতর কিভাবে একটি মেয়ে ধর্ষণ হতে পারে। আর সেটা ধামাচাপা দিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার এতোদিন অতিক্রম হলেও প্রশাসন নিরব থাকায় আন্দোলন কারিরা অবরোধ ও হরতাল দেয়ার ঘোষণাও করে। সব মহলের পক্ষ থেকে তনু হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ফঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার দাবি জানানো হয়।
পরিস্থিতি যখন এমন, তখন অবশেষে আইএসপআর তথা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হলো। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শুক্রবার রাতে একটি বিবৃতি দিয়েছে। আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২০ মার্চ তারিখ রাত আনুমানিক ১১ টায় কুমিল্লা সেনানিবাসের সীমানা সংলগ্ন এলাকায় সোহাগী জাহান তনুর অচেতন দেহ খুঁজে পাওয়া যায়। তৎক্ষণাৎ সিএমইচে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ ময়নাতদন্ত করে। আইএসপিআর বলছে, হত্যার কারণ অনুসন্ধানে এরমধ্যেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং একাজে সেনাবাহিনী পুলিশ ও প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। কিন্তু ব্যাপার হলো- হত্যার প্রায় পাঁচদিন পরে আইএসপিআর থেকে এ ধরণের বিবৃতি এল। যেহেতু সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সেহেতু প্রথমদিকে মিডিয়ায়ও খবর বেরুচ্ছিলো না। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা চাপা শঙ্কা তৈরি হয়। যেহেতু সেনানিবাস এলাকায় তনুর লাশ পাওয়া গেছে, এর তদন্ত সেনাবাহিনীই করবে কিনা জনমনে এমন জিজ্ঞসাও ছিলো। অবশেষে বিবৃতির মাধ্যমে সেটা পরিষ্কার হলো। যদিও হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা এখনো গ্রেপ্তার বা আটক হয়নি। তবে আশার কথা হচ্ছে সেনাবাহিনী এ কাজে তাদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছে। অচিরেই এ নির্মম খুনের বিচার জাতি দেখতে পাবে। কোনোভাবেই যেন ইয়াসমিন ধর্ষণ মামলার মতো বিলম্বিত না হয় এর বিচার কাজও। তনু হত্যার প্রতিবাদের মিছিল বড় হোক। এ প্রতিবাদ থেকে প্রগতি ছড়িয়ে পড়ুক। ওই প্রতিবাদের আগুন আমাদের চেতনায় মশাল হয়ে জ্বলুক। আর রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালনে যেন বিন্দুমাত্র গড়িমসি না করে। ব্যক্তিও যেন নিজেকে শুদ্ধ করতে ব্রতী হয়। গোটা সমাজ যেন পুরুষবাদী মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসে। মানববাদী হয়ে ওঠে, নারীবান্ধব হয়ে ওঠে।
মৃত্যুর মাত্র ৪দিন আগেও তনু তার ফেসবুকে লিখেছিল মান্না দে’র সেই বিখ্যাত গানটি। সবাই তো সুখী হতে চায়/ তবু কেউ সুখী হয় কেউ হয় না। কলেজছাত্রী নাট্যকর্মী তনুও হয়তো সুখী হওয়ারই স্বপ্ন দেখেছিল। আর নাটক, আবৃত্তিতে ফুটে তুলেছিল বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন। কিন্তু তার কপালে তা সইলো না। হায়েনাদের নখড়ে নখড়ে ক্ষত-বিক্ষত তনুর তনুমন আজ বিউগলে বিষণ্ন সুর তুলে উড়ছে মুক্তির আকাশে।
গাইছে শেকল ভাঙার গান। তনু নেই। কিন্তু তার আত্মার প্রতিধ্বনিটুকু নিয়ে জ্বলে উঠুক আমাদের সব বিবেকী হৃদয়। পরিবার মসজিদ-মন্দির-মিডিয়ায়, বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মনোজগত তৈরির সব কারখানায়, সর্বত্র তনুর মতো নারীর জয়োধ্বনি ধ্বনিত হউক। পাশাপাশি প্রতিটি পুরুষও নারীর জন্য কাঁটা না হয়ে বরং একেকটি ফুল হয়ে ফুটুক। কারণ পৃথিবীটা মানুষের অর্থাৎ নারী-পুরুষ উভয়ের। পাশাপাশি নারীর প্রতি সহিংসতা সর্বস্তরে বন্ধ করার আন্দোলনও সূচিত হোক আজকের দিনটি থেকেই। আমাদের তিনজন নারীর দুজনই নির্যাতিত হন নিজ ঘরে। আজকে যে তরুণেরা প্রতিবাদী হয়ে নেমেছেন রাজপথে, বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ঘরে না ফিরুক তারা।
কী দোষ করেছিল তনু? কেনই বা তাকে মাংসখাদকদের হাতে এমন বিভৎস যন্ত্রণা ভোগ করে মরতে হল? কে দেবে সেই জবাব, তনুর চোখ দুটির দিকে তাকিয়ে রাষ্ট্র কি এই ঘৃণ্যতার প্রতিবাদে সরব হতে প্রস্তুত? হয়তো প্রস্তুত, হয়তো না। কিন্তু সন্তানের অকাল মৃত্যুতে পিতার মনে যে বেদনা, যে দগদগে ক্ষতের জন্ম হয়েছে কোন রঙে তাতে প্রলেপ দেবো আমরা। এমন কোনো শব্দপুঞ্জ কি আছে যা দিয়ে তনুর পরিবারকে মৃত্যুর মূল্য দেয়া সম্ভব। এই হত্যা কোনো অবস্থায় মেনে নেয়া যায় না। পড়াশুনা ছাড়াও সংস্কৃতিক অঙ্গনে পরিচিতি ছিল বেশ। আর এমন একটি মেয়েকে.....গলা কেটে হত্যা করা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ আর দ্রোহের অঙ্গীকার নিয়ে তনুর ঘাতকদের গ্রেপ্তার চায় সাধারণ মানুষ। এ ভয়ানক খুনের বিচার নিয়ে সব দল আর মতের লোকেরা আজ উচ্চকণ্ঠ ও একাত্ম।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪