এটা একটা গ্যাজানো পোষ্ট!
ট্যাক্স নিয়ে নানা আলাপ প্রলাপ শুনা যায় নানা আড্ডায়। আমরা সকলেই আমাদের চলার রাস্তাটা টিকমতো চাই, কাজের জন্যে বিদু্ৎ চাই, ফ্যাক্টরির জন্যে রান্নাবান্নার জন্যে গ্যাস চাই, চাকুরি করি বেতন চাই শুধু চাই চাই আর চাই। কিন্তু এত চাওয়া পুরনটা কে করবে শুনি। টাকশালে ইচ্চামতো টাকা ছাপিয়ে যদি সরকার সে টাকা দিয়ে দেশ চালাতে পারতো তা হলে কথা ছিল না। কিংবা সরকারের যদি কুবেরের ধন থাকতো তাহলেও কথা ছিল না। কিন্তু সেসব যখন নেই তখন কি আর করা।জনগনের দাবী মেটাতে হলে জনগনের কাছ থেকেই ট্যাক্স বা খাজনা তো তুলতেই হবে।
খাজনা বা ট্যাক্সের ধারনাটি বেশ পুরোনো। গ্রীক মিথলজিতে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। ধারনা করা হয় রাষ্ট যখন থেকে সংহত রুপ ধারন করতে শুরু করেছে তখন থেকেই এর উদ্ভব। অতি প্রাচিনকালে সরকারী কর্মকর্তারা খাজনার টাকা তুলত রাজা বা রাষ্টপ্রধানের প্রাত্যাহিক খরচ নির্বাহের জন্যে। কালে কালে তা বদলেছে। এখন ও খাজনা বা অন্য সকল প্রকার কর তোলা হয় রাষ্টের প্রতিদিনের খরচ নির্বাহের জন্যে। কথা হল অতি প্রাচিনকালে রাজার দায়দায়িত্ব ছিল কম। আর এখন সকল প্রকার দায়দায়িত্ব সরকারের।
কথা হল একজন মানুষ কিভাবে তার উপর আরোপিত করের পরিমান নির্ণয় করবে!
সে জন্যে একটা নির্দিষ্ট মেথড বা পন্থা আছে। বর্তমানে যদি আপনি বাংলাদেশের নাগরিক হন আর আপনার মোট আয় যদি ১৬৫,০০০ টাকার বেশী হয় তাহলেই ধরে নেয়া হবে আপনার করযোগ্য আয় আছে। সেটা এর পরবর্তী ২৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত করের পরিমান হবে ১০%।
বিষয়টা কিন্তু খুবই সহজ। একটু চেষ্টা করলেই আপনি আপনার করযোগ্য আয়ের পরিমান বের করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশে বিদ্যমান সম্পদ বিবরনীর ফর্ম যেটা আয়কর বিভাগ প্রতি বছর করদাতাদের বিলি করে থাকে সেটা আনেক করদাতাই বুঝে না বলে অভিযোগ আছে। কিন্তু প্রফেশনালদের অভিমত বাংলাদেশের কর সিস্টেমটা খুবই সহজ পদ্ধতির। নতুন করে যে ইউনিভার্সেল সেলফ সিস্টেমটা হয়েছে করদাতারা এ আইনের অধীনে নিজের মোট আয় এবং কর নিজে নির্ধারণ করে সম্পদ ও ব্যয় বিবরনী যথাযথ ভাবে পুরন করে জমা দিতে পারেন। ফলে আগের সিস্টেম অনুযায়ী কর অফিস আপনাকে হয়রানি করতে পারবে না। আপনাকে কোন চিঠি বা নোটিশ ইস্যু করতে পারবে না। কর-কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশেই এবং বিনা পরিদর্শনেই এই জাতীয় দাখিলার এসেসমেন্ট সম্পন্ন করতে হয়।
নিয়মিত কর দিন। দেশের উন্নয়নে আপনার অংশীদারীত্ব নিশ্চিত করুন।