পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় আহত শ্রীলঙ্কান খেলোয়ার উপোল থারাঙ্গা
আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্থান সফর যে কারনে সমর্থন করি সেটি হল গত দুবছরের তুলনায় এ বছর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার পরিমান এবং তা থেকে হতাহতের সংখ্যাও বেশ কিছুটা কম। যদিও এ বছরের ডিসেম্বরের হিসাব ছাড়াই পরিসংখ্যান আপনাদের সামনে তুলে ধরতে হচ্ছে। এখন আপ্নারাই বিচার করে দেখেন আমি ভুল বলছি কিনা। যদিও গত দুদিনেই তিনটি ভিন্ন হামলায় মারা গেছে ৩০ জনের মত। আশা করি সেটা মূল পরিসংখ্যানে কোন প্রভাব ফেলবে না।
আমাদের অত্যন্ত সন্মানিত সংসদ সদস্য প্রাক্তন বিসিবি চেয়ারম্যান লোটাস কামাল এবং বর্তমান বিসিবি চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান পাপন সাহেবের প্রতি পূর্ন আস্থা রেখে আমাদের প্রানপ্রিয় ক্রিকেটারদের পাকিস্থানে যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানাবেন না। শুধু শুধু বিনা কারনে বিপিএলে "ম্যারী মি শহীদআফ্রিদি" লেখা প্ল্যাকার্ড দেখার হাত থেকে আমাদের বঞ্চিত করবেন না। পাকিস্থানের অবস্থার উন্নতির প্রমান স্বরুপ গত তিন বছরের পাকিস্থানের সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা এবং তাতে নিহত এবং আহতের সংখ্যা তুলে দিলাম।
পাকিস্তানে সন্ত্রাসের কারনে নিহতদের এবং আহতদের একটি সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান (২০১০ - ২০১২):
বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ২০১২ঃ ৬১২টি। এতে নিহত ৯২৫ জন, আহত ২৩৯৪
বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ২০১১ঃ ৬৩৯টি; নিহত ১০৯২ জন, আহত ২৬৩৩ জন
বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ২০১০ঃ ৪৭৩টি; নিহত ১৫৪৭ জন, আহত ৩৫৮১ জন
সুইসাইড এ্যাটাক ২০১২ঃ ৩৬টি; এতে নিহত ৩৩৯ জন, আহত ৫৪৫
সুইসাইড এ্যাটাক ২০১১ঃ ৪১টি; নিহত ৬২৮, আহত ১১৮৩
সুইসাইড এ্যাটাক ২০১০ঃ ৪৯টি, নিহত ১১৬৭ জন, আহত ২১৯৯
সব ধরণের সন্ত্রাসী হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ২০১২ সালে ৫৯৬২ জন, ২০১১ সালে ৬৩০৩ জন, ২০১০ সালে ৭৪৩৫। ২০০৩ থেকে ২০১২ সালে মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪,৮৮৮ জন।
যদিও পাকিস্তান তাদের নিজেদের পুলিশ হেড কোয়ার্টারকে বোমা হামলার হাত থেকে বাচাতে পারেনি, ক্যান্টন্মেন্টের ৫০ গজের মধ্যে বোমা হামলা থামাতে পারেনি, প্রাক্টিক্যালি ক্যান্টন্মেন্টের মধ্যে বিন লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেনি, বিদেশী অতিথী অবস্থানরত পাচতারা হোটেলে বোমা হামলা থামাতে পারেনি, শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের উপর হামলা থামাতে পারেনি তথাপিও ......... তথাপিও উপরেরে পরিসংখ্যান দেখেও কি আপনারা অস্বীকার করবেন যে পাকিস্থানের নিরাপত্তা ব্যবস্হা ভাল নয়?
সুত্রঃ Pakistan Data sheet