১.
সময় সূত্রের বিষন্ন সমাধান ছুয়ে
এক হাজার বছর আগে ছুটে আসছি আমি।
দেখছি খোড়া শালিকের পায়ে
অনিশ্চয়তা সম্পর্কিত যন্ত্রনা।
হৃদপিন্ডের যে প্রকষ্ঠে জমিয়ে রেখেছি তোমার চিঠি;
তেজষ্ক্রিয়তায় বিকলাঙ্গ হয়ে যাচ্ছি।
মহাশূন্যে যে অন্ধকার আমাকে দিয়েছিলো
উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যাডমিয়াম স্থিরতা-
তাদের সাথে নিয়ে পদ্মায় ভেসে যাচ্ছি; আর মারিজুয়ানা।
২.
আমি যখন হেবেল কে হত্যা করি
তখন পর্যন্ত আমি জানতাম না,
আপেক্ষি তত্ব নিয়ে সুর বাধা যায়।
অথচ যেদিন তুমি দেখিয়েছিলে,
ফরমালিন যুক্ত কলার খোসার সুস্থতা- তোমার উরু।
আমি হিরোশিমায় ছুড়ে দিলাম পারমানবিক সিজোফ্রেনিয়া ।
৩.
তোমার প্যারিদাস রোড ভ্রমন সম্পর্কিত উপন্যাসে
আমি লিখে দিয়েছি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের খামখেয়ালি কবিতা।
যেহেতু আমি জেনেছি তোমার স্তনে,
উপযুক্ত স্নেহের উপর নির্ভর করে জাতিসংঘের হাসি।
একশ বছর সিরিয়া আক্রান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছি
কিন্তু কি নোবেলটা আমি আজো পাইনি।
এই ক্রোধে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে ছড়িয়ে দিচ্ছি ঘৃনার সাইকোডেলিক চিৎকার।
৪.
সংবিধান এবং তোমার বয়ঃসন্ধিকালীন পত্র পাঠে
আমিও গনতান্ত্রিক হয়ে উঠছি ক্রমশ-
সিনেমেটিক সিংহ পুরুষ হয়ে উঠছি
তোমার চুলে মিথুন জাতকের পরকীয়ার গন্ধ শুকে।
৫.
পৃথিবীটাকে স্নায়ু বিকারগ্রস্থদের জেলখানা
ভাবার যথেষ্ট কারন আমার আছে।
জীবনের নামে তোমার সাথে খেলে যাচ্ছি রাশান রোলেট।
মদ ও মারিজুয়ানা কেন্দ্রে রেখে,
হাতে তুলে দিচ্ছি উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত হৃদয়।
৬.
ঋতুস্রাবে ভেজা তোমার অস্বস্তির নিচে তুমিও
বয়ে বেড়াচ্ছো আগ্নেয়গিরি- ডেভিল ট্রায়াঙ্গেল
বুঝতে না পেরেই ঝাপ দিয়েছি সমুদ্রে।
এতোটা বিস্ফোরক ও বীর্যের স্রোত আমার অসহ্য লাগে।
তবু রাতের নিষিদ্ধ নীল দৃশ্যে
নিজেকে কিউপিড ভেবে হস্তমৈথুন করেছি আমিও- বহুবার।
৭.
হেলেন এবং ট্রয় দু'টোই যেহেতু যুদ্ধ বিষয়ক উপাদান
পরিসংখ্যান মতে আমার উচিত কলম ছেড়ে ড্যাগার হাতে নেয়া।
অথচ চালাতে শিখিনি কিছুই
না হাত
না চাবুক
না রাইফেল
এমনকি নিজের পুরুষাঙ্গটি পর্যন্ত না।
এবারও কি তবে যুদ্ধে পরাজিত হবো?